***পান কি চুনের সহমর্মিতা (রম্য ছোট গল্প)***

লিখেছেন লিখেছেন egypt12 ২৩ জুলাই, ২০১৪, ১০:৩৯:৩৬ সকাল



অনেক দিন আগের কথা...

আফ্রিকার একটি বনে অনেক গুলো গ্রামের সমন্বয়ে একটি বুনো দেশ গড়ে উঠেছিল। সেখানে প্রতিটি গ্রামের গ্রাম্য সরকার স্বাধীন ছিল তাই পুরো দেশের শাসন ব্যবস্থাকে বলা হত ''ইউনাইটেড জাঙ্গল ভিলেজেজ'' সংক্ষেপে "ইউভি"। সংক্ষেপে বলা যায় অনেক কাল আগেই ঐ জঙ্গলে একটি সু সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল।

তো খ্রিষ্টীয় ১১৫ সালের দিকে ঐ জঙ্গলের গ্রাম গুলোর মাঝে অনেক বড় একটি যুদ্ধ সংগঠিত হল যার নাম প্রথম জঙ্গল যুদ্ধ। ঐ যুদ্ধের ফল স্বরূপ অনেক বড় একটি গ্রাম রাষ্ট্র নাম আটিমান গ্রাম; যারা একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল তাদের গ্রাম ভেঙ্গে গিয়ে অনেক নতুন নতুন গ্রামের সৃষ্টি হল। তেমনই একটি গ্রামের নাম পলিস্তিন। তো ঐ গ্রাম নতুন একটি দেশ যার নাম বিটিশ তারা দখল করে নিল।

এরপর বিটিশেরা ঐ গ্রামে তাদের নিজ গ্রাম ও বিস্তৃত আঞ্চলিক গ্রাম্য জাতি গুলোর মাঝে বিবাহ বহির্ভূত জম্ন নেয়া জারজ-কুলাংগার ও খান্নাসদের এই দখলিকৃত নতুন গ্রামে পাঠাতে লাগলো। এরই মাঝে মাত্র ৩০ বছরের ব্যবধানে ঐ জঙ্গলের গ্রাম গুলোর মধ্যে আবার একটি যুদ্ধ সংগঠিত হল। যার নাম ২য় জঙ্গল যুদ্ধ।

এই গ্রাম গুলোর মধ্যে যুদ্ধরত একটি শক্তিশালী গ্রামের নাম ছিল কারমান গ্রাম আর তার একনায়ক দূরদর্শী শাসকের নাম ছিল বিটলার। সে বুঝতে পারলো তাদের পুরো জাঙ্গল ভিলেজের দুর্দশার জন্য দায়ী তার দেশের জারজ সুদখোর একটি জাত। তাই সে তাদের ভিন্ন পন্থায় হত্যা করতে উদ্যত হল। বিটলার সাহেব সিদ্ধান্ত নিলেন পুরো কারমান গ্রামের মানুষের ত্যাগকৃত বায়ু সংগ্রহ করে একটি বদ্ধ ঘরে ছেড়ে দিয়ে এইসব কুলাংগারকে হত্যা করবেন এবং তিনি নিজের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু করে দিলেন, এবং এই হত্যা পদ্দতির নাম দিলেন "মেস চেম্বার মার্ডার" আর যারা মারা পড়ছিল তাদের কাছে এখনও ঐ সময়ের মৃত্যুর পদ্দতির নাম "পলোকাস্ট"।

তো পলোকাস্টের শিকার জারজেরা বিটিশ গ্রামের সাহাজ্যে তাদের দখলীকৃত ভূমি পলিস্তিনে বসবাস শুরু করে আর পলিস্তিনের সাধারন বাসিন্দারা জারজদের বিপদে এগিয়ে এসে তাদের জীবন বাঁচাতে মানবিক সাহা্য্য করে। ২য় জঙ্গল যুদ্ধ শেষ হবার পর বিটিশের সহায়তায় জারজ গুলো নিজ দেশে ফিরে না গিয়ে পলিস্তিনেই বসবাস শুরু করে এবং কয়েক দশকের মাঝেই স্থানীয় আশ্রয়দাতাদের ঘরবাড়ি দখল করে তাদের বাস্তুহারা করে এবং জারজ গুলোর মূল অস্র ছিল ধর্ষণ। বছরের পর বছর ধরে পলিস্তিনের বাসিন্দাদের এই ধর্ষণ থেকে বাঁচার কোন উপায় ছিল না। কিন্তু এক সময় এই ধংসস্তুপ থেকে উথে আসে "কামাস" নামের একটি শক্তি যাদের মুল লক্ষ্য হল এই জারজ জাতির লোকদের তীব্র কাম স্পৃহাকে বশীভূত করা, ধর্ষণের সময় নৃপংসুক করে দেয়া এবং খামছিতে খামছিতে এদের বাহ্যিক সুন্দর চেহারা তাদের মনের মতই বিকৃত করে দেয়া।

তো এই নতুন শক্তির এই পরিকল্পনায় ২য় জঙ্গল যুদ্ধের পরে জারজদের পরিকল্পনায় গঠিত "ইউভি" সহ সব জারজ পৃষ্ঠপোষক গ্রাম নড়ে চড়ে বসে এবং তারা দাবী জানায় পলিস্তিনিদের ধর্ষণ উপভোগ করতে হবে কিন্তু কোন ভাবেই জারজদের খামছি এবং নৃপংসুক করে দেয়া যাবেনা। এ লক্ষ্যে "ইউভি" এর প্রধান "পান কি চুন" জারজ ভিলেজ পরিদর্শন করে কিন্তু তাকে শত চেষ্টায়ও ধর্ষণের শিকার পলিস্তিনিদের ব্যাপারে বোঝানো গেল না সে শুধু বলতে লাগলো কামাস কে এই খামছি দেয়া বন্ধ করতে হবে এবং জারজ ভিলেজের মানুষদের ধর্ষণে পূর্ণ সহায়তা করতে হবে (এতে জারজ গ্রাম ও তাদের সহযোগীরা খুশি হলেও অন্যরা ছি ছি করতে লাগলো তবুও অন্যরা দুর্বল হওয়ায় কিছুই করতে পারছিল না। কিছু করার থাকলেও পলিস্তিনিদের স্বজাতি কিছু ক্ষমতা লোভীর চক্রান্তে তা আলোর মুখ দেখছিল না)।

তো এই ভ্রমণের মাঝে পান কি চুন এবং তার পরিবার জারজ ভিলেজে ঘুরে বেড়াতে লাগলো এবং সে নিজেও এক পলিস্তিনি কে দেখে কাম চরমে উঠলে ধর্ষণে লিপ্ত হবার চেষ্টা চালাল পরে কামাস এই চেষ্টায় বাঁধ সাধে এবং এই পান কি চুন কে নৃপংসুক করে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় দেখতে পেল এই পান কি চুন আগে থেকেই নৃপংসুক তাই তারা একে ছেড়ে দিল এবং কামাস বুঝতে পারলো এক পুরনো নৃপংসুক নতুন নৃপংসুকদের পক্ষে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারন ধর্ষণের মজা যেমন জারজ ধর্ষক বোঝে তেমনি নৃপংসুক হবার বেদনাও আরেক নৃপংসুক বুঝতে পারে।

মরালঃ- যে যেমন রঙ্গী-তার তেমন সঙ্গী।

আচ্ছা এই ঘটনা তো আফ্রিকার জঙ্গলে বহু আগে হয়েছিল আপনারা কি এখন এই সভ্য যুগে এমন ঘটনার কথা চিন্তা করতে পারেন!? এখন না পৃথিবী অনেক উন্নত ও সভ্য হয়েছে!?

***বিঃদ্রঃ- উপরোক্ত ঘটনা সম্পূর্ণ কাল্পনিক যদি কারও সাথে মিলে যায় তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র***

বিষয়: সাহিত্য

২০৩৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

247485
২৩ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:১৫
নূর আল আমিন লিখেছেন : এই জারজগুলি ইহুদির বাচ্চা
২৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:০৯
192374
egypt12 লিখেছেন : চিনে নিলেন!?
247605
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:১০
বিনীত তারেকুল ইসলাম লিখেছেন : দারুণ লিখেছেন ভাই
২৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:০৯
192376
egypt12 লিখেছেন : ধন্যবাদ তারক ভাই...কেমন আছেন?
247686
২৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:০০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কি একখান গপ্প????
২৪ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:১০
192377
egypt12 লিখেছেন : গপ্প সপ্প না করলে কি হয় ভাই!? Tongue
247978
২৫ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:১৮
শেখের পোলা লিখেছেন : তা বেশ৷ অতঃপর?
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:২৬
192707
egypt12 লিখেছেন : অতপর ইহা চলমান রহিল কারণ সত্য পথের পতাকা যে বহুধা বিভক্ত :(
248060
২৫ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৩২
হতভাগা লিখেছেন : জাতি সংঘই ইহুদীরকে প্যালেস্টাইনে নিয়ে এসে বসতি গড়তে দিয়েছে জোর করে । এর আগে তারা ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঝামেলা লাগিয়েই যাচ্ছিল ।

২য় বিশ্ব যুদ্ধে হিটলারের দৌড়ানী খেয়ে তাদের অবস্থা নাকাল হয়ে গিয়েছিল । যুদ্ধের পর ইহুদীদের একটা গতি করতেই মিত্র শক্তির দেশগুলো জাতি সংঘের নামে তাদেরকে ফিলিস্তিনে নিয়ে আসে ।

এরা সূঁচ হয়ে ঢুকে এখন ফাঁড় হয়ে বের হয়েছে ।

এরা যে এরকম তা ইউরোপিওরাও জানে । কিন্তু এখন মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলীদের কাজ কারবার পশ্চিমাদের মধ্যপ্রাচ্যে নাক গলানোর সুযোগ করে দিয়েছে । আর পৃথিবীর রাজনীতি চলেই এই মধ্যপ্রাচ্যকে ঘিরে ।

জাতিসংঘ কি তার প্রসব করা সন্তানের বিপক্ষে কিছু বলবে / করবে?
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:২৭
192708
egypt12 লিখেছেন : বিচারপতির বিচারও একদিন হবে আল্লাহ ভালো জানেন তিনি কি কল্যাণ চান Praying

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File