***শফিকের বাবা হওয়া অতপর উপলব্ধি***

লিখেছেন লিখেছেন egypt12 ২২ মার্চ, ২০১৪, ০৮:৩২:৪৬ সকাল



মানুষটির নাম সফিকুল ইসলাম শফিক। জন্ম থেকে সারা জীবন কষ্টই করেছে, ক্লাস সেভেন থেকেই লজিং থেকে পড়াশুনা করতে হয়েছে। দরিদ্রতার কারনে তাঁর বাবা-মা পড়াশুনায় এবং জীবন গঠনে তাকে তেমন সাহায্য করতে পারেনি। তাই শফিকও তাঁর জীবনে বাবা মায়ের অবদান আছে তা কখনই মনে করত না।

যা হোক সে নিজ চেষ্টায় মিরসরাই ডিগ্রি কলেজ থেকে ডিগ্রি পাশ করে অনেক কষ্টে চট্টগ্রাম কলেজে বাংলায় মাস্টার্সে ভর্তি হয়, পড়াশুনার সাথে চলে জীবন সংগ্রামে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। তাই সে দিনে ৮-১০ ঘণ্টার চাকরি শেষে তাঁর পড়াশুনা করত এবং মাস্টার্সে ভালো মানের দ্বিতীয় শ্রেণী নিয়ে পাশ করে গেল। ঘটনাটা ছিল ১৯৮৬ সালের দিকের তখন শিক্ষিত মানুষের অনেক অভাব ছিল তাই শফিক সহজেই বেসরকারি কোম্পানিতে নিজের জন্য চাকরি জুটিয়ে নিল। বেতন ভালোই ছিল মাসে ৮৫০০ টাকা।

এক বছর যেতে না যেতেই নিজ সহকর্মীর বোনকে বিয়ে করে ফেলল। মেয়েটির নাম জান্নাতুল মাওয়া, ডাক নাম ছিল জান্নাত। শফিক আচার আচরণে ভালো ছিল কোন বদ অভ্যাস ছিল না তাই সহকর্মী সফিকের অভিভাবকের অনুপুস্থিতিতেই নিজ বোনকে বিয়ে দিতে চিন্তা করেনি। আসলেই ব্যক্তিগত ভাবে শফিক অনেক ভালো মানুষ ছিল। কিন্তু তাঁর বাবা কৃষক হওয়ায় এবং চরম দরিদ্র হওয়ায় সে নিজের বাবার পরিচয় ও ফ্যামিলির পরিচয় নিয়ে কারো সাথে কথা বলতে চাইত না। সে যেহেতু মনে করত তাঁর এই অর্জনে তাঁর বাবা মায়ের কোন অবদান নেই তাই বাবা মায়ের খোঁজ রাখা তাঁর কর্তবের বাইরে বলেই সে মনে করত।

শফিক নিজ রক্তের মানুষদের থেকে অনেক দূরে থাকত এবং তাদের সাথে কোন যোগাযোগ রাখত না। সে সব সময় ভাবত তাঁর সন্তানের জীবন তাঁর মত কষ্টের হবে না। শফিক নিজের সব ভালোবাসা ও সামর্থ্য দিয়ে তাঁর জান্নাতকে ভালবাসত এবং এক কথায় জান্নাতের জন্য পাগলই ছিল। জান্নাত অনেক ফরহেজগার মেয়ে ছিল; সে মাঝে মধ্যেই শফিকের বাড়িতে যেতে চাইত এবং শফিককে তাঁর মা-বাবার খবর রাখতে বলত। শফিককে সে মা বাবার সেবা ও তাদের দোয়া পাওয়ার প্রয়জনীয়তা নিয়ে অনেক বোঝাতো। তা ছাড়া জান্নাত চাইত না তাদের পদচারণার এবং ভবিষ্যৎ সন্তানদের পচারনার গণ্ডি এত ছোট হোক।

শফিকের স্ত্রীর গর্ভে যখন তাঁর প্রথম বাচ্চা আসে তখন সে অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ে, সার্বক্ষণিক নিজের চাকরির বাইরে স্ত্রীকেই সময় দিত। দিনে দিনে তাঁর স্ত্রীর বাচ্চা প্রসবের সময় হয়ে আসে। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর পরামর্শে সে স্থির করল সে তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে নেবে না, কারন সে দেখেছে হাসপাতালে অযাচিত ভাবে হলেও সিজার করানো হয়। সে তাঁর প্রিয় স্ত্রীকে এভাবে কাটাছেড়া হতে দিতে চায় না। তাই বাসায় অভিজ্ঞ নার্স দিয়ে বাচ্চা প্রসবের ব্যাবস্থা করল।

প্রসবের আগের সময়ের কথা, শফিক তাঁর বাসার বাইরে বসে ছিল তাঁর স্ত্রী বার বার স্বামীর কাছে ছুটে আসছিল আমি মনে হয় বাঁচব না আমাকে একটু বিষ দাও আর পারছিনা এমনি কাকুতি জানাচ্ছিল প্রসব ব্যাথার যন্ত্রণায়। তাঁর স্ত্রীর প্রতি কদমে রক্ত ঝরছিল, সারা বাসায় ফোঁটা ফোঁটা রক্তে ভরে গেছে। শফিক স্ত্রীর কষ্টে অনেক ভয়ে ছিল এবং সে তাকে সান্তনা দেবার মত ভাষাও পাচ্ছিল না। তবুও অনেক কষ্টে নিজেকে স্থির রাখল।

শেষ মেষ টানা ১৬ ঘণ্টার গুমোট ভয়ের পর ভোর ৪টার দিকে শফিক তাঁর সুস্থ ও সুন্দর ফুটফুটে ছেলে সন্তান পেলো। কিন্তু তাঁর অনেক উৎকণ্ঠা এখনও রয়েই গেল তাঁর প্রানপ্রিয় জান্নাতকে ঘিরে, সে যে এখন নিস্তেজ হয়ে গভীর ঘুমে অচেতন। সকাল দশটায় জান্নাতের ঘুম ভাঙলো, আসলে প্রসবের পর শারীরিক দুর্বলতা এবং কিছুদিনের ঘুমহীনতায় এমন হয়েছিল। শফিক এতক্ষণ বাচ্চা নিয়েই স্ত্রীর পাশেই বসে ছিল। স্ত্রীর ঘুম ভাঙতে দেখে সে আনন্দে আত্মহারা হল। আসে পাশের প্রতিবেশী এবং নার্স শফিকের স্ত্রীকে বলল বাচ্চাকে দুধ দিতে। শফিকের স্ত্রী বাচ্চাকে দুধ খাইয়ে দিল।

শফিক আজ অনেক খুশি সে মিষ্টি বিলি করেছে প্রতিবেশীদের মাঝে তখনি এক প্রতিবেশী ভদ্রমহিলা বলে উঠল বাবা শফিক- ভয় কেটে গেছে, তোমার স্ত্রীর প্রথম বাচ্চা প্রসব ছিল বলেই সে এত বেশী কষ্ট পেয়েছে। হটাৎ শফিকের কলজে মোচড় দিয়ে উঠলো সে চিন্তা করল সেও তো তাঁর মায়ের প্রথম সন্তান। তাঁর মাও তো এমনি জীবন বাজি রাখা কষ্ট করে তাকে দুনিয়ার আলো দেখিয়েছে। কিন্তু সে নিজে তাদের সাথে কেমন আচরন করছে? তারও তো ছেলেই হয়েছে এই ইতিহাস যদি আল্লাহ তাঁর বেলায় আবার ফিরিয়ে আনেন? আসলে প্রতিবেশীর ঐ কথাটি শফিকের মনে দারুনভাবে গেথে গিয়েছিল।

শফিকের মনে পাপ বোধ জন্ম নেয়ার পর শফিক তাঁর স্ত্রীকে শাশুড়ির তত্ত্বাবধানে রেখে তাঁর মা বাবাকে দেখতে গ্রামে ছুটে যায়। বাড়িতে গিয়ে দেখল- তাঁর মা মৃত্যু শয্যায় আর তাঁর বাবা তাঁর মায়ের শিয়রে বসে পানি ঢালছে, শফিককে দেখে তাঁর বাবা উৎফুল্ল হল না শুধু বলল খবর কার কাছে শুনেছ? ওদিকে তাঁর মা শফিক এসেছে শুনে অসুস্থ অবস্থা থেকেই সব শক্তি নিয়ে উঠে সন্তানের গলা জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বেহুঁশ হয়ে গেল।

এইদিকে চিৎকার ও আর্তনাত শুনে শফিকের দুই বোন ও ছোট ভাই দৌড়ে এলো; এসে ভাই থেকে দুরেই অবস্থান রেখে মাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। শফিক আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি সে চিৎকার করে ছোট বাচ্চার কাদতে লাগলো আর ভাই বোনদের বুকে জড়িয়ে নিল, (ওদিকে শফিকের বাবা নিরবে চোখের পানি ফেলতে লাগলো)। শফিক ভাই বোনদের বললঃ আমি আমার সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে হলেও আবার মাকে সুস্থ করে আনব ইনশাল্লাহ।

শফিক তাঁর মাকে নিয়ে থানা সদর হাসপাতালে গেল সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেল। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর মা সুস্থ হয়ে উঠল ইতিমধ্যে জান্নাতও মোটামুটি সুস্থ হয়ে গেছে। শফিক সবাইকে নিয়ে নিজের বাসায় গেল, জান্নাত সবাইকে পেয়ে অনেক খুশি হল, আর খুশিতে বলল আমার সন্তান তাহলে সবার আদর পেয়েই মানুষ হবে? এটাই আমার অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি তোমাকে অনেকবার বলেছিনা বাবা মাকে সহ সবাইকে আমার কাছে আনতে? যাক আজ আমার মনের আশা পূরণ হল জান্নাত খুশিতে বলল।

জান্নাত ও শফিক বাচ্চার আকিকা খুব ভালভাবেই করার পরিকল্পনা করল এবং আকিকার অনুষ্ঠান করল শফিকের গ্রামের বাড়িতেই। রাতে তারা নিজেরদের আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে খাওয়ালো। সারা দিন বউ শাশুড়ি মিলে রান্না করেছিল তাই সবাইকে খাইয়ে নিজেরাও তৃপ্তি পেল।

আসলেই নতুন মিলনের এই এমনি অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না। সবাই অনেকদিন পর প্রান ভরে আনন্দ করেছিল। রাতের বাকীটা সময় সবাই মিলে জান্নাতকে নিয়ে গল্প করেই কাটালো। শফিক শুধু পুকুর ঘাট হতে সব নিরবে দেখছিল; প্রতিটি ক্ষণে যেন তাঁর মনে নতুন জীবন বোধের আনন্দ দোলা দিচ্ছিল। শফিক আনমনে বলে উঠল- জীবনের সব উপাদানের মাঝে অনেক বড় উপাদান বুঝি সবার মঝে সবাইকে নিয়ে থাকা!?

বিষয়: Contest_father

১৫৭৬ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

196021
২২ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৩৮
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২২ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৪৮
146152
egypt12 লিখেছেন : আপনাকে দেখে আমারও ভালো লাগলো HappyLove Struck
196023
২২ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৪৩
শেখের পোলা লিখেছেন : ভাল লাগল৷ আসলেই নিজে ভুক্ত ভোগী নাহলে অনেকেরই হুশ হয়না৷
২২ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
146153
egypt12 লিখেছেন : আবার অনেকের কখনই হুশ হয় না :(
২২ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৯
146354
শেখের পোলা লিখেছেন : তাদেরও হবে, কেয়ামতের দিন৷ সেদিন মাথার চুল ছিঁড়বে আর আঙ্গুল কামড়াবে৷
196039
২২ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২২
মিডিয়া ওয়াচ লিখেছেন : ভালো লাগলো । আপনি তো অনেক ফাষ্ট Tongue Tongue
২২ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩০
146163
egypt12 লিখেছেন : নাহ আমি অনেক সেকেন্ড Happy
196061
২২ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:১৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : একজন মানুষের সত্যিকার উপলব্ধির গল্প।
অনেকটা শাহেদ আলির "একই সমতলে" গল্পের মত স্বাদ পেলাম।
ধন্যবাদ।
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
146209
egypt12 লিখেছেন : শাহেদ আলির গল্পটি আমি পরিনি লিঙ্ক হবে কি- সবুজ ভাই?
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:১৬
146222
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : খালি ফ্রিতে লিংক খুজেন কেন অ্যাঁ!!
ফ্রি তে পাওয়া যাবেনা। কষ্ট করে কোঅপারেটিভ বুক সোসাইটির দোকানে যান। "শাহেদ আলির শ্রেষ্ঠ গল্প" বইটা কিনুন।
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২৫
146223
এনামুল মামুন১৩০৫ লিখেছেন : এই বইটা আমার কাছে আছে- ১০০০ টাকা দেন- আমি দিব-
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৭
146240
egypt12 লিখেছেন : রিদওয়ান কবির সবুজ ভাই টাকা বাঁচিয়ে আপনাকে চা খাওয়াবো Happy
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৭
146241
egypt12 লিখেছেন : চেক কেটেছি এনামুল ভাই আসেন নিয়ে জান Tongue
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:১৯
146813
এনামুল মামুন১৩০৫ লিখেছেন : আশার দরকার হলে আপনি আসেন- আমি কেন আসবো!!!!
196097
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২৪
এনামুল মামুন১৩০৫ লিখেছেন : কী করি আপনাকে বলেনতো?? মডূ লিখার আহবান করার সাথে লিখে পেল্লেন?? যাক আপনাকে ধণ্যবাদ-
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৮
146242
egypt12 লিখেছেন : আমার জন্য দোয়া করবেন Praying
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:২৮
147332
egypt12 লিখেছেন : আচ্ছা আপনি আসিয়েন না :(
196098
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২৭
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকে আবার অনেকদিন পর দেখলাম, এসেই এত্ত সুন্দর গল্প উপহার! অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা Rose Rose Rose
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:২৮
146243
egypt12 লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু Happy আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আরও লিখতে পারি Happy
196099
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২৭
আহমদ মুসা লিখেছেন : জীবনযুদ্ধ, পারিপার্শিক অবস্থা, নতুনভাবে তৈরী হওয়া নিজের পরিবেশ উপযোগী স্ট্যাটাস, বিলাসী জীবনের চোয়া, ক্ষেত্র বিশেষে অভাবের তাড়না, স্বভাবের প্রভাব, জীবনসঙ্গীর রঙ্গিন মোহনীয় জাদুর প্রভাব, সাথী-সঙ্গী, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গদোষ অথবা সঙ্গগুণ, অস্থায়ী রঙ্গিলা দুনিয়ার মোহে নিজেকে হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি বিষয়গুলো মানুষের জীবনে সময়ের ব্যবধানে প্রভাব বিস্তার করে। এ প্রভাব যদি ইতিবাচক না হয়ে নেতিবাচক হয় তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জীবনের বাঁকে বাঁকে যে সব গলদ ও ভুলগুলো অনেক সময় হৃদয়ঙ্গম করতে পারলেও কেউ কেউ শোধরিয়ে নেয়। আবার কেউ কেউ ভুলের কাছে হার মেনে নিজের মিথ্যা অর্জনকে লালন করার জন্য ভুল পথটাকেই আরো প্রশস্ত করে ফেলে। নিজের জেহালত তথা অন্ধত্বকে লুকানোর জন্য এ শ্রেণীর লোকগুলো নিত্য নতুন আরো ভ্রান্তির পথ ও পন্থা অনুসরণ করে এবং তাদের অনুসারীদেরও এ পথে ধরে রাখার চেষ্টার অংশ হিসেবে বিভ্রান্তি চালায়। এ শ্রেণীর লোকগুলোই চুড়ান্তভাবে শয়তানের ধোকায় আক্রান্ত হয়।
আর যাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পরে তারা নিজের ভুল সহজেই বুঝতে পারে। এরা শয়তানের ধোকায় সাময়িকভাবে আচ্ছন্ন হলেও নিজের রবের কাছে তাওবা আর ইসতেগফারের মাধ্যমে ভুলগুলোকে শোধরানোর চেষ্টা করে। অনেক সময় মহান আল্লাহ তার বান্দাদের ভুলগুলো প্রেক্টিক্যালি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কিছু নগদ উদাহারণও সৃ্ষ্টি করে দেন। যারা আক্কেলওলা জ্ঞানবান খুব সহজেই এসব বিষয় থেকে ইবরত তথা শিক্ষা হাসিল করেন। আর তারাই হচ্ছেন সৌভাগ্যবান। তারা নিজের ভুল বুঝার কারণে তাওবা করে আল্লাহর কাছে। আল্লাহও বলেছেন তাওবার মাধ্যমে নিজের কৃত ভুলগুলোর জন্য বার বার ক্ষমা চাওয়ার।
পারিবারিক কঠিন দারিদ্রোর কষাঘাতে জর্জরিত একটি পরিবেশে জন্ম নিয়ে শফীক সাহেব অনেক কষ্ট করেই পড়াশুনা করে বড় হয়েছেন। অর্জন করেছেন সামাজিক সম্মান ও খ্যাতি। হয়তো এ সুযোগে বিয়েও করেছেন কোন এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের কণ্যাকে। স্বাভাবিক কারণেই তার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তার এ পরিবর্তনটা যে কিছুটা বাঁকা পথে হয়েছিল তা বুঝতে তার প্রিয়তমা স্ত্রীর মাতৃত্বকালীন প্রসব বেদনার সীমাহীন যন্ত্রণা স্বচক্ষে দেখার পরেই বোধগম্য হয়েছিল।
আমরা সবাই এই বলে দোয়া করি- আমাদের জীবন যুদ্ধের বাঁকে বাঁকে সংঘঠিত ভুলগুলো যেন বিনা প্রেক্টিক্যালি আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফীক দেন এবং সে অনুযায়ী শোধরিয়ে নেয়ার সুযোগ যেন হয়।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি ব্লগ উপহার দেয়ার জন্য।

বি. দ্র. লাঞ্চের সময় হয়ে গেয়ে। মন্তব্যটি লিখার পর রিভাইস দিতে পারিনি। দ্রুত টাইপ করতে গিয়ে হয়তো ভুল হয়ে যেতে পারে। এজন্য পাঠকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৩১
146244
egypt12 লিখেছেন : মুসা ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ অনেক বড় মন্তব্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন ব্লগারদের স্থান আপনার হ্রদয়ের সুরক্ষিত স্থানে বেশ ভালো ভাবেই রয়েছে Love Struck Love Struck Love Struck
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:২২
146815
এনামুল মামুন১৩০৫ লিখেছেন : এত বড মন্তব্য এর জন্য মুসা ভাইকে ধন্যবাদ-
196171
২২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৫০
মোঃজুলফিকার আলী লিখেছেন : অনেক সুন্দর। ‍"প্রিয় বাবা"র গল্প লিখেছেন। ধন্যবাদ।
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:২৮
147333
egypt12 লিখেছেন : পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় হাইকু কবি Love Struck
196244
২২ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আসলেই ব্যক্তিগত ভাবে শফিক অনেক ভালো মানুষ ছিল।যে বাবা মায়ের কোন খুজ নিলোনা সে কিভাবে ভালো মানুষ হয় ?
২২ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০২
146374
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : হুম
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:২৯
147334
egypt12 লিখেছেন : ভালো ছিল বলেই নিজের ভুল শুধরে নিয়েছে <:-P
১০
196652
২৩ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:১৯
ইকুইকবাল লিখেছেন : আপনি দারুণ গল্প লিখেছেন। অজান্তেই চোখে পানি এসে গেছে। মুছে মন্তব্য করতে চাইলেও কিছুই লেখতে পারছিনা। ধন্যবাদ
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:২৯
147336
egypt12 লিখেছেন : দোয়া করবেন যেন আরও লিখতে পারি Good Luck
১১
226507
২৬ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১১
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : সবার অনুভব যেন সত্যিই এমন সুন্দর হয়। অনেক ধন্যবাদ।
২৭ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫৯
173766
egypt12 লিখেছেন : আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে সঠিক সময়ে হেদায়াত দিয়ে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন...এই দোয়া রইল Praying

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File