বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন সাচ্ছা মুসলমান ও ইসলাম প্রিয় মানুষ আজ সেই দলের অনুসারীরা ইসলাম বিদ্দ্বেসী নাস্তিক রাজীবের মতবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।সারা বাংলার মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে।
লিখেছেন লিখেছেন আল আমিন ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৩:৫২:৫৬ দুপুর
এদেশের জনগণ সত্যিকার অর্থে ’৭১-এর আসল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। কিন্তু তারা বিচারের নামে ইসলাম তাড়ানোকে সমর্থন করে না। শাহবাগের বার্তার সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বার্তার কোনো মিল নেই। মিডিয়া যতই একে গণজাগরণ বলে চালানোর চেষ্টা করুক, যেখানে ধর্মকে অপমান করা হয়, অন্যায় আবদার করা হয়, পত্রিকা বন্ধের দাবি করা হয় সেটি কখনও গণজাগরণ হতে পারে না
শাহবাগ আন্দোলনের বিরাট অসঙ্গতি হচ্ছে, স্ববিরোধিতা। এর আগে আমরা দেখেছি, এই শাহবাগে বামপন্থী যুবকরা সৌদিতে কয়েক বাংলাদেশীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। অথচ এই একই গোষ্ঠীর যুবকরা আদালতের রায় উপেক্ষা করে কয়েক ব্যক্তির ফাঁসির জন্য আন্দোলন করছে সেই একই স্থান শাহবাগে! রাজীব হায়দার একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। সেই নাস্তিক রাজীবের আবার জানাযা হলো শাহবাগ চত্বরে; তাও আবার বিনা অজুতে, তিন তাকবিরে যে ইসলাম মানে না, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে গালি দেয় তার আবার জানাযা কিসের? শুধু তা-ই নয়, তাকে আবার শহীদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে!
দুনিয়ার প্রত্যেকটি আন্দোলনের পেছনে নৈতিক ভিত্তি থাকে। কিন্তু শাহবাগ আন্দোলনের কোনো নৈতিক ভিত্তি ছিল না। আদালতের রায়কে মেনে না নেয়া আদালত অবমাননার শামিল, তারপরও তারা আদালতের রায়কে অশ্রদ্ধা করে আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে কিছু ব্যক্তির ফাঁসি দাবি করেছে। শাহবাগের আন্দোলনকারীরা ’৭১-এ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে; কিন্তু তাদের মুখ থেকে কখনোই ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী ফিরিয়ে এনে বিচার করার দাবি উত্থাপিত হয়নি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত সব দলেই ’৭১-এ পাকিস্তানের সমর্থকরা কমবেশি আছে। কিন্তু শাহবাগের কোনো কর্মী মনের ভুলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো রাজাকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়তে পারেনি। উল্টো তারা মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে রাজাকার বলায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে নব্য রাজাকার উপাধি দিয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১২১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন