এখন বেগম খালেদা জিয়ার যা করা উচিৎ

লিখেছেন লিখেছেন ক্ষেপনাস্ত্র ২৯ অক্টোবর, ২০১৩, ০৩:০৯:১৬ দুপুর

দুই নেত্রীর ফোনালাপ শেষে প্রায় তিন দিন পার হতে চলল। এখন নতুন করে আরেক সংকট দেখা দিয়েছে পুরনারায় কে কাকে আগে ফোন করবেন। এই জটিলতায় আবারও অনিশ্চয়তা বাসা বাধঁছে জনমনে। কি হবে? কেনো কেউ নমনীয় হচ্ছে না? তবে কি আবারও ভয়বহ কিছু হতে চলেছে দেশে? ইত্যাদি ইত্যাদি। দুই নেত্রীর ফোনালাপ শুনেছি, তাতে বোঝা যায় কেউ তার স্থান থেকে সরে আসার নয়। প্রধানমন্ত্রী দু'একটি কথাই বারবার বলতে চেষ্টা করেছেন তা হলো গণভবনে এসে খাবার খাওয়ার জন্য ও সর্বদলীয় সরকার মেনে নেওয়ার জন্য আর বেগম খালেদা জিয়া তত্বাবধায়ক সরকার পূর্নবহালের জন্য অনুরোধ করেছেন। যা-ই হোক এখন বরফ গলবে কি করে?

আমার মনে হয় এই মূহুর্তে বেগম খালেদা জিয়ার একটি চিঠি লেখা উচিৎ প্রধানমন্ত্রী বরাবর। চিঠির বিষয় বস্তু এমন হওয়া উচিৎঃ

১) আমি ---- তারিখ ---টার সময় গণভবনে আপনার সাথে আলোচনা করতে আসছি। আপনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত হন।

২) আলোচনায় অংশগ্রহনের জন্য আমার সাথে ১৮ দলীয় জোটের ---জন নেতা উপস্থিত থাকবেন। (প্রয়োজনে নামের তালিকা সহ দেওয়া যেতে পারে)

৩) আলোচনার বিষয়বস্তু হবে আপনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন ও অন্তর্বতী বা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন একজন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ ও সর্বজন গ্রহনীয় একজন ব্যাক্তি।

৪) ১৮ দলীয় জোটের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।

আমার মনে হয়, বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী বরাবর এইধরনের একটি চিঠি দিলে সকলের কাছে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে গৃহীত হবে। আর যদি প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার কাছ থেকে এইধরনের চিঠি পাওয়ার পরও এই চিঠি মোতাবেক আলোচনায় রাজি না হন তবে সংলাপের নামে প্রধানমন্ত্রীর ভাঁওতাবাজী সম্পর্কে জনগন পরিস্কার হবে। সেই সাথে প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থাও সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ বুঝতে পারবে। তখন ১৮ দলীয় জোট যেভাবে পারে, যত কঠিন ও কড়াকড়ি ভাবে পারে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে পারে।

গণভবনের খাবার গ্রহনের পূর্বে একটি বিষয় বেগম জিয়ার স্মরণ রাখা উচিৎঃ আওয়মীলীগের বেশকিছু হাইপ্রোফাইল নেতাদের সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা "র" এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা "র" বর্তমানে বাংলাদেশের প্রশাসনের উপর মারত্নক প্রভাব বিস্তার করে আছে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও যে "র" এর প্রভাব নেই একথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর যদি সত্যিই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে "র" এর প্রভাব থেকে থাকে তবে সরকার বিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেতা বেগম খালেদা জিয়ার যে কোন ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়। হতে পারে বেগম জিয়ার খাবারের সাথে এমন কিছু প্রয়োগ যাতে, কিছুদিনের ভিতর ধীরে ধীরে বেগম খালেদা জিয়ার মস্তিস্ক বিকৃতি হতে পারে। এধরনের ষড়যন্ত্র দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঘটতেই পারে।

বিষয়: বিবিধ

১৩২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File