শিবির সভাপতিকে আহত, অজ্ঞান ও মুমুর্ষ অবস্থায় ডান্ডাবেড়ী পরিয়ে আদালতে হাজিরের নেপথ্যে
লিখেছেন লিখেছেন ক্ষেপনাস্ত্র ২১ মে, ২০১৩, ০৪:২০:০৮ রাত
শিবির সভাপতিকে আহত, অজ্ঞান ও মুমুর্ষ অবস্থায় ডান্ডাবেড়ী পরিয়ে আদালতে হাজিরের নেপথ্যে একটি বিশেষ কারন রয়েছে বলে আমার ধারনা।
আসুন একটু খতিয়ে দেখি বিষয়টিঃ
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে গত ১৯ মে, দুই জন মন্ত্রী ঘোষনা করেছেন সারাদেশে আগামী ১ মাসের জন্য সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ। অঘোষিত একটি জরুরী অবস্থা জারী করেছে সরকার। মন্ত্রীদের হুকুমমতো প্রধান বিরোধীদলও তাদের মুখে কুলুপ এটে দিল। কোন প্রতিবাদ কর্মসুচী পর্যন্ত দেওয়া হলো না প্রধান বিরোধীদলের পক্ষ থেকে। জামায়াত ও শিবির তো ইচ্ছে হলেই অঘোষিত মিছিল করে, কারন সরকার জামায়াত ও শিবিরকে মিছিল মিটিং কোনটাই করতে দেয় না। সুতরাং বিএনপিকে ভয় পাইয়ে গর্তে ঢুকানোর কাজে সরকার মোটামুটি সফল।
এমতবস্থায়, অধ্যাপক গোলাম আজমের মামলার রায়ের পূর্বে সরকার জামায়াত-শিবির কে একটু বাজিয়ে দেখতে চাচ্ছে, এই নিষেধাজ্ঞা অবস্থায় তারা সাহস করে রাস্তায় নামে কি না, যদি রাস্তায় নামে তাহলে তাদের শক্তি ও সামর্থ কেমন হবে, তাছাড়া সরাসরি হত্যা, কিছু আটক ও উর্দ্ধতন নেতাদের গোপন অবস্থানের খোঁজ পাওয়াটাই সরকারের সাফল্য হবে।
সেই সাথে পরবর্তীতে স্থায়ী ভাবে সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করলে জামায়াত-শিবিরের অবস্থান কি হতে পারে তা একটু যাচাই করে নিতে চাচ্ছে সরকার। যদি খুব সহজেই জামাত-শিবিরকে দমানো যায় তবে দীর্ঘমেয়াদে সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করবে সরকার।
একারনে শিবির সভাপতিকে আহত, অজ্ঞান ও মুমুর্ষ অবস্থায় ডান্ডাবেড়ী পরিয়ে আদালতে হাজির করিয়েছে যাতে, শিবিরের সমর্থক-কর্মী-নেতারা এটা সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। আর যদি শিবির রাস্তায় না নামে তবে তো বাকশালের নবযাত্রা পুরোপুরি সফল।
বিষয়: বিবিধ
২৫৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন