রেশমা উদ্ধার ও একটি সত্য-মিথ্যা
লিখেছেন লিখেছেন ক্ষেপনাস্ত্র ১৫ মে, ২০১৩, ০৩:০০:৩২ রাত
গার্মেন্টস কর্মী রেশমা উদ্ধারের পর সে বিষয়টিকে যখন অনেকেই নাটক ভেবে ঝড় তুলছিলেন তখন আমি বলেছিলাম প্রথমেই বিষয়টিকে নেগিটিভ ভাবে না নেওয়ার জন্য। বলেছিলাম রেশমার আদি-অন্ত পরিচয় ও সাম্প্রতিক সময়ের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রমান করতে ওটা নাটক কিনা। সেই সাথে অপেক্ষা করছিলাম সেনাবাহিনী ও রেশমার নিকট থেকে কোন ব্রিফিং আসে কি না। অবশেষে মানুষের নাটক ভাবার কৌতুহল কে ভুল প্রমান করতে রেশমার ব্রিফিং দেওয়া হয়।
এখানেই সবচেয়ে বড় ভুল করে ফেলল সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টিকে তারাই নাটক হিসেবে প্রমান করে ফেলল।
রেশমার ব্রিফিং চলাকালে তার বর্ণিত ঘটনার সাথে উদ্ধার কর্মীদের বর্ণিত ঘটনার অনেকটাই অমিল পাওয়া গেলো। কেউ বলল বেইমেন্টে মসজিদের ভিতর, সেনা কর্মকর্তারা বলল দোতলায়, রেশমা বলল ক্যান্টিন ছিল, কাপড়ের দোকান ছিল, আসলে কি ছিল? ১৭ দিনে মাত্র ৪ টি বিস্কুট খেয়ে কিভাবে এত শক্তি অর্জন করল যে দোকান খুজে বের করে সেখান থেকে তার নিজের শরীরের মাপমতো পোষাক খুজেঁ বের করা ও পোষাকের সাথে ম্যচিং করে ওড়না পাওয়া? হাতের নখ গুলোই বা কিভাবে সুন্দর করে কাটা হলো? এমন কি তার মুখে ক্লান্তির তেমন কোন ছাপ দেখাও যাচ্ছিল না।
আমার প্রশ্ন হলো বেইমেন্ট ও দোতলা কি এক জিনিষ? ডাক্তাররা বলল রেশমা নাকি কোন আঘাত পায়নি, তাহলে আঘাত না পেলে তার পোষাক একদমই ছিড়ে গেলো কিভাবে? আর যদি খুব টানা হেচড়ায় পোষাক ছিড়ে যায় তবে তার মুখে ও শরীরে কোন ময়লা লাগেনি?
সবকিছু বিশ্লেষন করে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ উদ্ধারকারী বালক, সৈনিক, সেনা কর্মকর্তা ও রেশমা, কারও কোন কথার সামঞ্জস্য নেই। সবকিছু অগোছালো। ব্রিফিংকালে রেশমার মুখের অভিব্যক্তি, কথা-বার্তার ধরন ও সেনা কর্মকর্তাদের মুখের অভিব্যক্তি দেখে সহজেই অনুমেয় রেশমা শেখানো কথা বলছে এবং কোন ভুল হতে গেলেই সেনা কর্মকর্তারা সেটা আগাম বলে দিচ্ছিলেন। সুতারাং আমি আমার ধারনা পরিবর্তন করে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি "রেশমা উদ্ধার" খুব সম্ভব একটি অপরিপক্ক নাটকের মঞ্চায়ন।
আমি জানিনা কেন এই নাটকের মঞ্চায়ন হলো, হয়ত খুব বড় কোন ইস্যু থেকে দেশের ও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দিতে এই নাটক হতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৬০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন