খাল কাটা এবং দাওয়াত দেয়া দুটোই শেষ..., কুমির আসতে আর কত বাকী?
লিখেছেন লিখেছেন শফিউর রহমান ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:১৭:১৭ দুপুর
"তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে আইএস প্রমাণ করতে পারলে, আমাদের দেশে জঙ্গি নিধনের অজুহাতে তাদের সেনাবাহিনী ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্ট করবে। তারা সাধারণ ঘটনাকেও আইএসের কর্মকাণ্ড বলে প্রচার করে। কাজেই কোনো দেশ যাতে এ রকম সুযোগ না পায়।" Click for link
এই তিনিটা কে তা আপনারা সবাই জানেন - দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যাক্তি। তিনি বলছেন, তারা সাধারণ ঘটনাকেও আইএসের কর্মকান্ড বলে প্রচার করে। কিন্তু আমরা যদি অল্প কিছুদিন পিছনে যাই তাহলেই দেখতে পাবো সামান্য ঘটনায় আইএসের নাম প্রথমে কে নিয়েছিল। ভুলে গেছেন নাকি? আমাদের দেশেরই হর্তা-কর্তারা বলেছিল আইএসের নাম। তারপর আরো কত নাটক। কেউ বলে আইএস আছে বাংলাদেশে, আবার তাদেরই কেউ বলে নাই।
এখন যখন যাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এতকছিু করা, তা যখন হয়েই গেছে, তখন তরী উল্টো ঘুরিয়ে বলা হচ্ছে, তারা আইএসের কর্মকান্ড বলে প্রচার করছে।
কিন্তু কেন আবার এই নাটকীয় ভাষা? কারণ উদ্দেশ্য যা, তাতো সফল হতেই চলেছে। এখন দোষটা কেন আমার গায়ে রাখবো? দোষটাও তাদেরই ঘাড়ে চাপিয়ে আমাকে নিষ্কলুশ প্রমাণ করার কাজটাওতো করতে হবে। আর এতে করে উচ্ছিষ্টভোগী এবং বেতনভুক মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবিরাতো সাথেই রয়েছে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্যে রূপান্তর করে জনগণকে খাওয়াতে। তাছাড়া বিবেক বিক্রীত দলীয় কর্মী-সমর্থকরাতো রয়েছেই তৃণমূল পর্যায়ের গলাবাজীর কাজটুকু সম্পন্ন করার জন্য।
আর এভাবেইতো পিতৃ হত্যার বদলা পুরা হবে, কিন্তু কেউ টিকিটিও ছুঁতে পারবে না। কিন্তু, বিবেক বর্জিত কর্মী-সমর্থকরা মোটেই বুঝতে পারছে না তাদের সমর্থন তাদেরসহ পুরা দেশ ও জাতিকে কোন্ ধ্বংসের গহ্বরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সহজ জিনিসটা এরা মোটেই বুঝতে চেষ্টা করছে না যে, জাতির সর্বস্তরের মানুষ যার পিতা-মাত-ভাই-ভাবীসহ একজন ছাড়া সবাইকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় উল্লাস করলো, আনন্দ করলো সেই জাতির উপরে এর চাইতে উত্তম প্রতিশোধ আর কিভাবে নেয়া যেতে পারে যে, সেই দেশকে ইরাক, সিরিয়া বা আফগানের প্রতিরূপ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা? আর এতে যে এটা করবে তার নতুন করে হারানোর কি আছে? তিনিতো প্রতিশোধের আগুনে আগে থেকেই জ্বলছে, যা তিনি গোপনও করেন নি। বরং স্পষ্টভাবেই বলেছেন বলে প্রচার রয়েছে সাংবাদিকের রেফারেন্সে। তাছাড়া, তার যারা এখন রয়েছে, তারা আজ কোথায়? কোন একজনও কি বাংলাদেশের বাসিন্দা? বাংলাদেশ পুরাটাও যদি বঙ্গোপসাগরের তলদেশে তলিয়েও যায়, তবুও কি তার আর এক ছটাক পরিমাণও ক্ষতির কোন সম্ভাবনা আছে? অর্থাৎ নতুন করে হারানোর কিছুই যখন আর নাই, তখন উপযুক্ত প্রতিশোধ হিসাবে এর চাইতে মোক্ষম আর কি হতে পারে?
আমরা কবে বুঝবো আমাদের সত্যিকারের মঙ্গল এবং অমঙ্গল? কবে বুঝবো সত্রু-মিত্রের পার্থক্য। কবে ভাবতো শিখবো নিজের এবং নিজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রকৃত মঙ্গলের কথা?
বিষয়: বিবিধ
১৩৬০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"চেতনা"র নেশায় "অচেতন" "জাতির বিবেক(মিডিয়া)"
আমজনতা উদ্ভ্রান্ত দিগভ্রষ্ট "পন্ডিত"দের বয়ানে,
সম্বিত ফিরে পাবে বসনের আগুনে-
যা হবার হবে শেষ ততক্ষণে...
হায়! আমরা যদি বুঝতাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন