একটি প্যারালাল সমাজ সংস্কৃতির সদস্য এরা
লিখেছেন লিখেছেন শফিউর রহমান ১৪ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:২৫:৩৯ দুপুর
ফাঁসী নয়, সংশোধনের সুযোগ দেয়া হোক। বিবেকবান সবাই প্রতিবাদ করুন ছোট্ট এই মেয়েটিকে ফাঁসির মাধ্যমে আর একটি শিশু হত্যার কার্যক্রমকে রুদ্ধ করতে সোচ্চার হোন সবাই। যেমনভাবে সোচ্চার হয়েছিলেন রাজন হত্যার বিরুদ্ধে।
রাজন হত্যার ব্যাপারে আপনারা সোচ্চার হয়েছিলেন এমন সময় যখন রাজন আর ছিল না। কিন্তু ঐশী! সেতো এখনো আমাদের সামনে রয়েছে। কিছু করতে হলে এখনই করতে হবে। হত্যার পরে যতই প্রতিবাদ করুন না কেন ফিরে আসবে না কোন দিনই।
আবেগপ্রবণ জনগণের সস্তা বাহবা পাবার উদ্দেশেই কি তাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হলো?। জনগণের এই অংশটি সর্বদাই কোন বিষয়কে শুধুমাত্র উপরে উপরে দেখে, আবছা আবছাভাবে দেখে। ভিতরে ঢুকে কোনদিনই দেখে না, বা দেখার যোগ্যতা নাই। তাহলে শুধুমাত্র তাদেরকে খুশী করার জন্য একটি নাবালিকা (বা সাবালিকার দারপ্রান্তে) বালিকাকে কেন ফাঁসি দেয়া হবে?
আমার প্রথম দাবী হলো, তাকে ফাঁসি না দিয়ে সংশোধণ ক্যাম্পে পাঠনো হোক।
আমরা চাই সংশোধন, ফাঁসি দিয়ে নিছক হত্যা নয়। সমাজের পচন রোধে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু ফাঁসি দিয়ে হত্যার মধ্যে সমাজের কোন্ কল্যাণটি বয়ে আনবে?
কারণ যখন ঘটনা ঘটে তখন সে একজন বালিকা মাত্র ছিল। সে যে পথে গেছে তার জন্য তার আসে-পাশের সমাজ সংস্কৃতি, পিতা-মাতা, যারা তাকে মাসে ৫০,০০০ টাকা হাত খরচ হিসাবে দিতো। সেই হাত খরচের ৫০,০০০ টাকা নিশ্চয় পুলিশ অফিসারের বৈধ পথের আয় ছিল না। এই সমস্ত অফিসাররা আমাদের সমাজের ভিতরে থেকে তাদের নিজেদের মধ্যে এমন একটি প্যারালাল সমাজ সংস্কৃতির সদস্য, যারা একটি নয়, এমন হাজারো ঐশি তৈরী হতে দিচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, ঐশী মানে শুধু পিতা-মাতার খুনী নয়। বরং সমাজের একটি পঁচে গলে যাওয়া বিকৃত অংশের রূপ, যে হয়তো শেষ পর্যন্ত পিতা-মাতাকে খুন পর্যন্ত করেতে পেরেছে। কিন্তু আরো অনেকেই রয়েছে, যারা তার চাইতে খুব সামান্যই পিছিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ ঐশী এবং তাদের মধ্যে খুব বেশী একটা পার্থক্য নাই।
কাজেই শুধু তাকে কেন ফাঁসী দেয়া হবে? যার এর অনুঘটক তারা কোথায়? তাদেরকে কে শাস্তি দেবে? বরং যারা অনুঘটক তাদেরকে প্রথম বিচারের আওতায় আনলে তবেই ঐশীদেরকে শাস্তির আওতায় আনা বৈধতা পাবে।
এক ঐশীকে ফাঁসী দিলেই কি সমাজের সকল বিকৃতীর দুয়ার রুদ্ধ হয়ে যাবে?
আবেগপ্রবণ জনগণের সস্তা বাহবা পাবার উদ্দেশেই কি তাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হলো?। জনগণের এই অংশটি সর্বদাই কোন বিষয়কে শুধুমাত্র উপরে উপরে দেখে, আবছা আবছাভাবে দেখে। ভিতরে ঢুকে কোনদিনই দেখে না, বা দেখার যোগ্যতা নাই। তাহলে শুধুমাত্র তাদেরকে খুশী করার জন্য একটি নাবালিকা (বা সাবালিকার দারপ্রান্তে) বালিকাকে কেন ফাঁসি দেয়া হবে?
আমার প্রথম দাবী হলো, তাকে ফাঁসি না দিয়ে সংশোধণ ক্যাম্পে পাঠনো হোক।
আমরা চাই সংশোধন, ফাঁসি দিয়ে নিছক হত্যা নয়। সমাজের পচন রোধে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু ফাঁসি দিয়ে হত্যার মধ্যে সমাজের কোন্ কল্যাণটি বয়ে আনবে?
কারণ যখন ঘটনা ঘটে তখন সে একজন বালিকা মাত্র ছিল। সে যে পথে গেছে তার জন্য তার আসে-পাশের সমাজ সংস্কৃতি, পিতা-মাতা, যারা তাকে মাসে ৫০,০০০ টাকা হাত খরচ হিসাবে দিতো। সেই হাত খরচের ৫০,০০০ টাকা নিশ্চয় পুলিশ অফিসারের বৈধ পথের আয় ছিল না। এই সমস্ত অফিসাররা আমাদের সমাজের ভিতরে থেকে তাদের নিজেদের মধ্যে এমন একটি প্যারালাল সমাজ সংস্কৃতির সদস্য, যারা একটি নয়, এমন হাজারো ঐশি তৈরী হতে দিচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, ঐশী মানে শুধু পিতা-মাতার খুনী নয়। বরং সমাজের একটি পঁচে গলে যাওয়া বিকৃত অংশের রূপ, যে হয়তো শেষ পর্যন্ত পিতা-মাতাকে খুন পর্যন্ত করেতে পেরেছে। কিন্তু আরো অনেকেই রয়েছে, যারা তার চাইতে খুব সামান্যই পিছিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ ঐশী এবং তাদের মধ্যে খুব বেশী একটা পার্থক্য নাই।
কাজেই শুধু তাকে কেন ফাঁসী দেয়া হবে? যার এর অনুঘটক তারা কোথায়? তাদেরকে কে শাস্তি দেবে? বরং যারা অনুঘটক তাদেরকে প্রথম বিচারের আওতায় আনলে তবেই ঐশীদেরকে শাস্তির আওতায় আনা বৈধতা পাবে।
এক ঐশীকে ফাঁসী দিলেই কি সমাজের সকল বিকৃতীর দুয়ার রুদ্ধ হয়ে যাবে?
বিষয়: বিবিধ
১২৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন