হাসিনা সফল - পিতৃহত্যার বদলা নিতে বাপকি বেটি
লিখেছেন লিখেছেন শফিউর রহমান ২৯ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:০১:৫৪ রাত
অনলাইন নিউজে দেখলাম, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অব রেপ্রিজেন্টেটিভস) একটি শুনানির আয়োজন করা হয়েছে। শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন দ্য ডেডিস ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ফরেন পলিসির এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো লিসা কুর্টিস, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ ও হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সরকার সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক জে কানসারা।
শিরোনাম দেখে প্রথমে একটু খুশীই লেগেছিল, যেমনভাবে খুশী হয়, পানিতে হাবুডুবু খাওয়া কেউ পানিতে ভাসমান খড়-কুটা দেখে। খুশী হওয়ার কারণ হলো, বাংলাদেশে পাশ্চাত্যের আবিষ্কার গণতন্ত্রের যে বিবস্ত অবস্থা তা আমার আপনার চাইতে বে বেশী জানে? কিন্তু সেই অবস্থাটাই যদি সঠিকভাবে জানতে পারে বিশ্বের মোড়ল, গণতন্ত্রের জন্মদাতারা তাহলে একটা ব্যবস্থা হতেও পারে তাকে বাঁচানোর। হাজার হলেও বাবা কি ফেলতে পারে তার সন্তানকে?
কিন্তু, শুনানির বিষয় হিসাবে নেয়া দ্বিতীয় অংশটি দেখে খুশী পরিবর্তিত হলো বিষাদে। বুঝলাম, হাসিনা সত্যিই বাপকী বেটী। সে সফল। সত্যিই সফল। যার বাপকে হত্যা করার পর পুরা দেশ খুশীতে বাগ বাগ হয়ে উৎসবমূখর হয়েছিল সেই দেশকে জঙ্গী উপাধী দিয়ে গণতন্ত্রের বাপকে দিয়ে শায়েস্তা করার মোক্ষম রাস্তা ঠিকই বের করে নিয়েছে। আর তাই আজকে গণতন্ত্রের হত্যা হতে দেখে ধর্মীয় উগ্রবাদ খোঁজার ঘোষণা দিয়েছে আলট্রাসাউন্ড করে।
বাপের হত্যার বদলার এর চাইতে উপযুক্ত ওয়েতে আর কি হতে পারে? যে দেশের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রীতির এক সফেদ দৃষ্টান্ত সেই দেশের মানুষের মাঝে আজ ধর্মীয় উগ্রবাদ খুঁজতে রাস্তা তৈরী করে দিয়েছে যে, সে অবশ্যই বাপকী বেটি। পুরা জাতির উপরে নিজের বাপের হত্যার প্রতিশোধ এর চাইতে উত্তম কোন্ শিরোনামে হতে পারে?
দেশের মানুষ! হাসো। আর আনন্দ করো। বয়ে যাও স্রোতের অনুকূলে। নিজেকে হারিয়ে দাও খুঁজে না পাওয়ার জগতে, যেখান থেকে বিবেক আর কখনো স্বাভাবিক চিন্তার জগতে ফেরত আসতে না পারে।
বিষয়: সাহিত্য
১৩৬০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এবারতো হাসিনা ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদেরকে বের করে দিয়েছে মাত্র। আগামীকে পোলিং এজেন্ট হওয়ার কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমন সবাইকে কি করা হবে আগামী ভোট আসার আগেই?
এখনো বুঝলেন না? হাসিনার ঘোষণা শোনেন নি? যারাই আন্দোলনে সন্ত্রাসী কর্মে জড়িত ছিল তাদেরকে একে একে খুঁজে বের করা হবে।
কি করবে খুঁজে বের করে? দেশী মুরগীর গোশ দিয়ে বাশমতি চালের ভাত নিশ্চয় খাওয়াবে না।
সব ছাপ করা হবে - এমনটিই তার কথার ভিতর লুকিয়ে থাকা মিনিং বাতারাহে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
জাতির সবাইকে মারা কোনদিনই কারো দরকার হয় নি। যাদেরকে মারলে সবাই চুপ হয়ে যায়, তাদেরকে মারলেই কি যথেষ্ট নয়?
ধন্যবাদ।
হাসিনা তাই করে, যা সে করতে চায়। আর সেজন্য বাপের হত্যাকারীকে পাশে বসাতেও লজ্জাবোধ করে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন