গড বা ইশ্বরে আর কাজ হচ্ছে না, তাই...
লিখেছেন লিখেছেন শফিউর রহমান ২৪ জুন, ২০১৪, ০৬:৪৭:০০ সন্ধ্যা
বেশ আগে পড়া একটি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র এক বাড়ীতে লজিং থাকতো। লজিং মাষ্টারনীর স্বামী তখন জেলে সাজা কাটছিল কোন এক দূঘটনাবসূত মামলায়। লজিং মাষ্টারনী ছিল খুবই সুন্দরী এবং অল্প বয়স্কা। প্রথম দেখাতেই লজিং বয়ের আকর্ষণ সৃষ্টি হয় তার উপর। তাই মানুষের সন্দেহের পথকে সংকির্ণ করতে তাৎক্ষণিক বুদ্ধির জোরে আপা বা ভাবীর পরিবর্তে চাচী ডাকা শুরু করলো। আর এভাবে চাচী ডাকের ভেলায় চড়ে শেষ পর্যন্ত সেই লজিং মাষ্টারনীর বেডরূম পর্যন্ত পৌছে গেল।
সেই একই পদ্ধতি আজ পালন করছে ধর্মীয়ভাবে দেওলীয়া হওযা খৃষ্টান মিশনারীরা। দীর্ঘ দিন যাবত তাদের বই-পত্রে এবং বাইবেলের অনুবাদে ইসলামে ব্যবহৃত শব্দগুলো ব্যবহার করে আসছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য। সাধারণ মুসলিম মস্তিষ্ক, যারা ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান না রাখেন, তারা যেন ইসলাম ও খৃষ্টবাদের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারে সে জন্যই তারা তা করে আসছে। এটা তাদের একটা কুট কৌশল। নিজের নামে কাজ না হওয়ায় অন্যের নামে পরিচিত হয়ে কাজ হাসিল করা। কিন্তু তাদের সেই ধৃষ্টতা যে এতদূর পৌছাবে তা ভাবা কষ্টকর ছিল। যা ভাবা কষ্টকর ছিল, তা তারা করে দেখালো।
তারা তাদের লেখায় ইসলামী পরিভাষার শব্দগুলোর ব্যবহার বাড়াতে বাড়াতে শেষ পর্যন্ত গড বা ইশ্বর এর পরিবর্তে ইসলামের মৌলিক শব্দ "আল্লাহ" ব্যবহার করে আসছে ২০০৭ সাল থেকে মালএশিয়ায়। এব্যাপারে মুসলমানদের পক্ষ থেকে আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত নিয়ে গেল তাদের দাবীকে প্রতিষ্ঠিত করতে।
নিজে চৌধুরী নয় তো কি হয়েছে? সমাজে মর্যাদা পেতে ছেলের নামের শেষে চৌধুরী রাখলে পরে জাত পরিচয়ে যদি কাজ হয়।
বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন
আমরা কতটুকু সচেতন আমাদের সম্পর্কে? আমাদের ধর্ম বা দ্বীন সম্পর্কে? আমাদের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে? আমরা কপালপোড়া! আমাদের দেশের একটা বড় অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামে চিকিৎসা, শিক্ষা এবং সাহায্যের নামে সেখানের সহজ সরল মানুষগুলোকে খ্রীষ্টান ধর্মে ধর্মান্তর করে চলেছে তারা। উদ্দেশ্য, আর একটা দক্ষিণ সূদান বানানো। আর একটা বালী দ্বীপ বানানো। কিন্তু আমরা মুসলমানরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছি। যারা একটু সচেতন হয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে গালি দিয়ে সমাজে তাদের বিরুদ্ধে বিষদগার ছড়াচ্ছি।
আমরা আসলে না আমাদের নিজেদের ধর্মকে ভালবাসি, না আমাদের দেশকে ভালবাসি। আমরা দুনিয়ার এক বিদঘুটে মানসিকতার মানুষ, যাদের মৌলিক কোন একক বৈশিষ্ট খুঁজে পাওয়া কঠিন।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৫১১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু আপনার লিন্কটিকে ভাইরাসে আক্রান্ত বলছে।
এখানে দেখতে পারেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ হতে পৃথক করে দিলে কি দেশের কোন ক্ষতি হবে ?
বাংলাদেশের জন্য এরা পায়ের গ্যাংরিন স্বরুপ । কেটে ফেলতে যত বেশী দেরী তত বেশী ক্ষতি ।
গানে ব্যাবহার, আর অন্য একটি ধর্মের পরিভাষা হিসাবে ব্যবহার এক কথা নয় - খোল মন নিয়ে চিন্তা করলেই তা আপনিও বুঝতে পারবেন।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাংলাদেশে যদি বাংলাদেশ বিরোধী কোন সশস্ত্র বাহিনী থাকে এবং তা সরকারী বাহিনীর সাথে রেগুলার বেসিসে ফাইট করে তাও সেখানে । সেখানকার বসবাস কারী বাংলাদেশী বাঙ্গালীদের প্রায়ই চাকমাদের হাতে মার খেতে হয় ।
আদিবাসী বলে তারা প্রাওরিটি চায় , অথচ তারা এসেছে আরও পূব থেকে ।
বেশ কয়েক বছর আগেও সেখানে সেনাবাহিনীকে ততটস্থ থাকতে হত । এখন সেনাবাহিনীকে সরিয়ে আনার ফলে এরা আবারও সমস্যা শুরু করে দিচ্ছে ।
এমনকি ১৯৯৬ এ তাদের সাথে শান্তি চুক্তি করতে হয়েছিল ।
নিজের দেশে এরকম ঘটনা যারা ঘটায় তারা কি সেদেশের জন্য উপহার স্বরুপ ?
ভাই সাহেব কি এগুলি জানেন না ?
আর হিন্দী গানে এসব ব্যবহারের ধরন আমার কাছে খুব একটা ভাল লাগে না ।
যেমন - ''ইনশাআল্লাহ'' নানা পাটেকর ও অনিল কাপুরের ওয়েলকামে
মাশা আল্লাহ - সালমান - ক্যাটরিনার এক থা টাইগারে
সুব 'হান আল্লাহ - আমির কাজলের ফানাতে ।
আর রেস এ ক্যাটরিনা - বিপাশা- সাইফ এর গান টা কি খুব ভাল অঙ্গভঙ্গিতে গাওয়া হয়েছিল ?
হিন্দী গানে ইসলামী পরিভাষাগুলো ব্যবহার অবশ্যই কাংখিত নয়। বিশেষ করে যখন সেগুলোর প্রয়োগ এবং উপস্থাপন দুটোই হয় ইসলামী মেজাজ এবং অনুশাসনের সম্পূর্ণ বিপরীত। আমাদের উচিত এসবের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া, যার যার জায়গা থেকে। মুসলমান হিসাবে এগুলো দেখে আমাদের হৃদয় কাঁদা উচিত। কিন্তু তারও চাইতে বেশী ষড়যন্ত্রের ব্যাপারটি নিয়ে আমি আলোচনা করছিলাম। সেটাকেই হাইলাইট করতে সচেষ্ট হয়েছিলাম। ধন্যবাদ বলিউডের ব্যাপারটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
আসলে আমাদের সামনে কতই না অসংগতি প্রতিদিন আমাদের চোখে পড়ে। আসুন না, আমরা একটু একটু করে সেগুলোকে তুলে ধরি, যদি একটি মানুষও তাতে থেকে শিক্ষা নেয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন