বেঁচে থাকে তারাই যারা বুক ফুলিয়ে মরতে জানে
লিখেছেন লিখেছেন শফিউর রহমান ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:১১:১৭ বিকাল
সোনা ব্লগের কর্তৃপক্ষ হেন চেষ্টা নাই যা করেনি সরকারের পদলেহনকারী হিসাবে নিজেদেরকে প্রমাণ করতে। সামান্য অজুহাতে শাস্তি দিয়েছে ব্লগারদেরকে তাদের ব্লগ মুছে দিয়ে, তাদের প্রথম পৃষ্ঠার সুবিধা বাতিল করে; এমনকি কাউকে কাউকে ব্যান্ড করে দিয়ে। জুলুম যারা করে এবং জুলুম যারা সহে উভয়েই সমান পাপী। কিন্তু সোনারা জুলুমের সাথি হবার চেষ্টা করে বেঁচে থাকতে চেয়েছিল।
বেআক্কেলদেরকে বলি, যার বুকের দুধ খেয়ে বড় হয় তার পরিচয় মুছা যায় না। সোনাদের যাত্রা এবং এর পরিব্যাপ্তি হয়েছিল ইসলাম প্রিয় ব্লগার এবং পাঠকদের আনাগোনার মাধ্যমে। তারা এই ব্লগকে নিজেদের ব্লগ বলে মনে করতো। হৃদয় দিয়ে ভালবাসতো। একে অপরকে নিয়ে আসতো সোনায় নিজের উদ্যোগে। যার ফল, এই সোনা একদিন হৃষ্ট-পুষ্ট হয়ে সমাজের বুকে দাঁড়ালো। কিন্তু তার পর? তারপর যারা সোনাকে আপন মনে করল তাদেরকেই পর করে দিল এরা সরকারের পদলেহনকারী হিসাবে নিজেদেরকে জাহির করার জন্য। প্রমাণ করতে চাইলো কতভাবে- এমনকি শেষ পর্যন্ত উত্তাল ঢেউ নাম দিয়ে নাস্তিবাগের ছবি এবং লেখা স্টিকী করে রাখলো দিনের পর দিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন ফল হলো না, বন্ধই করে দিল বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে সরকার।
রাজিব নাস্তিক হবার পরেও যেমন মুসলমান সম্প্রদায়ের ঘরে জন্ম নেয়ার ফলে জানাজার আনুষ্ঠানিকতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। তার সাথীদের এতখানি সতসাহস নাই যে, তারা সরাসরি বলতে পারবে যে, তাদের বন্ধু-সাথী নাস্তিক ছিল; কাজেই তার জানাজা হবে না। তেমনিভাবে সোনারাও যতই চেষ্টা করুক 'তাদের একজন' এই পরিচয়ে পরিচিত হতে, কিন্তু সে চেষ্টা সফল হয়নি কারণ ইসলামপ্রিয় ব্লগার এবং পাঠকরা প্রথম থেকে এদেরকে ইসলামিক মানসিকতার দেখে এসেছে। আর সেই পরিচয়ই তাদের নামের সাথে লেপ্টে গেছে।
যে জাতি তার নিজেস্ব স্বত্তা মুছে দেয়ার চেষ্টা করে বেঁচে থাকতে চায় তারা শেষ পর্যন্ত ধ্বংসই হয়ে যায়- কেউ বাঁচাতে পারে না। ধ্বংস হয় বড়ই অপদস্ত হয়ে।
ফিরে আসুক এরা আবার, এটা কামনা।
বেঁচে থাকে তারাই যারা বুক ফুলিয়ে মরতে জানে। মৃতের মতো বেঁচে থাকে কাপুরুষেরা
বিষয়: বিবিধ
১৮৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন