পাকিস্তান ছাড়িয়া ভারতের কোলেঃ অবশেষে তাহারা অফিসিয়ালি ভেতরে ঢুকিল

লিখেছেন লিখেছেন ডোসট ২০ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:৪১:৫০ রাত

বাংলাদেশের জাতিসত্বার ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের চরম শত্রু হিসেবেই আওয়ামী লীগ ও হাসিনা ওয়াজেদ তাদের চরিত্র প্রকাশ করে দিয়েছে। পাকিস্তানকে হটিয়ে আজ ভারতীয় ব্রাহ্মন্যবাদের হাতে দেশটাকে তুলে দেয়ার বাকী কাজটুকু সম্পন্ন করা হল বলেই জনগন ধরে নিয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দারা এখন অফিসিয়ালি তাদের বানানো ছক মোতাবেক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যেভাবে খুশি যাকে খুশি তদন্তের নামে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। যাকে খুশি ধরেও নিয়ে যাবে। ১৫ কোটি লোকের মার্কেট অনেক আগেই তাদের দখলে। বাংলাদেশের বর্ডার, প্রতিরক্ষা এবং রাজনীতি, সংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক সকল কিছুই ভারতের হাতে আগেই তুলে দেয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন জেগেছে এই যদি হবে স্বাধীনতার রুপ তবে মুক্তিযুদ্ধের নামে পাকিস্তান ভাঙ্গা হল কেন এবং মুসলমান জাতিগোষ্ঠীর এতে কিইবা লাভ হল? ”হ্যাঁ লাভ হইল এই যে, তাহারা এতদিন লুকাইয়া ঢুকিত এইবার প্রকাশ্যে ঢুকিল আর আমাদের সকল বাহিনী আর গোয়েন্দা প্রধানেরা বেলাজের মত লাইন ধরিয়া তাহাদের পুলিশ অফিসারদের সাথে পরিচিত হইতে গেলেন।”

নিজেদের দেশে বিস্ফোরণ ঘটলো, আগেও ঘটেছে। আগে দোষারোপ দেয়া হত পাকিস্তান ও আইএসআই কে এইবার আইএসআই সেই দোষ থেকে মুক্ত হয়ে গেলো অবলীলায়। বাংলাদেশকে ধরা হল কিন্তু কোন সংস্থাকে দোষারোপ করা হল না। গেঁড়ো এখানেই। আসলে সরকারের সাথে পরিকল্পনার ছক দিয়েই এই বিস্ফোরণ আর বিস্ফরনে ভারতের হাতে লালিত পালিত পুরনো জঙ্গিদের ব্যবহার করা হল। উদ্দেশ্য বুঝতে কারোই বাকী নেই আওয়ামী লীগ ও হাসিনা ওয়াজেদের ফ্যামিলিকে রক্ষার অবকাঠামো গড়ে তোলা। ভারতের নির্বাচনে মোদীর জয়লাভে যারা বগল বাজিয়েছিল, সেই বগল বাজানেওয়ালা বিএনপির লোকজনের চোখের সামনে দিয়ে ভারতীয় পুলিশি একটি তদন্ত সংস্থা ‘এনআইএ’ বুক ফুলিয়ে ঢুকে পড়ল। আর আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ও অতিরিক্ত সচিব ছাড়াও পুলিশ মহাপরিদর্শক হাছান মাহমুদ খন্দকার, র্যা বের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) প্রধান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোখলেসুর রহমান তাদের সাথে সাক্ষাত করে পরিচিত হয়ে নিজেদের ধন্য করলেন।

দাদাদের পুলিশ বলে কথা। পৃথিবীর সবচেয়ে আনস্মার্ট বাহিনীগুলো হল ভারতের। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগগুলো আগে ভারতে ঢুকে গোয়েন্দাগিরি চালাতো আর এখন আমাদের গোয়েন্দা প্রধানেরা দেখা করতে আয়োজন করে ভারতীয় পুলিশ দেখার জন্য। আফসোস, হাসিনা আমাদের প্রতিটি বাহিনীকে কোথায় নিয়ে দাড় করিয়েছে আর আমাদের অফিসারেরা একের পর এক হিজড়ায় পরিনত হচ্ছে। পুলিশি সংস্থা অন্য দেশে যেতে হলে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়। কিন্তু ভারতের বেলায় এর ব্যাত্যায় ঘটানো হল। কিন্তু কেন? সূত্র বলছে ভিন্ন কথা।

বাংলাদেশে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে সুবিধা করতে না পেরে নতুন করে এই জঙ্গি ইস্যু নিয়ে কাজ শুরু করার পেছনের মোটিভ নিয়ে এখনকার পদক্ষেপ। এখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের জঙ্গি নামে ধরে ভারতে নিয়ে যাওয়ার একটি খোঁড়া যুক্তি চালু হবে। আর এতে সহায়তা দিয়ে ধন্য হবে বাংলাদেশী গোয়েন্দা নামের অপদার্থরা। তবে নাগরিকদের মধ্যে এখন পরিস্কার ধারনা জন্মেছে ‘র’ নামের সংস্থাটির হাজার হাজার লোকজন ভারতের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে ঘাঁটি গেড়েছে গোপনে। অফিসিয়ালি তাদের কোন এক্সিস্টেন্স নেই। এইবার পুলিশের তদন্ত সংস্থা পাঠিয়ে সেই সকল ‘র’ অফিসারদের অফিসিয়াল এক্সিস্টেন্স বানানো হবে। আর পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বাংলাদেশ ব্যবহৃত হবে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্র ও পন্যের বাজার হিসেবে।

এদিকে এনআইএ প্রতিনিধি দলটি কত দিন থাকবে কিংবা তাদের কার্যপদ্ধতি কী হবে, তা স্পষ্ট করতে পারেননি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “চার সদস্যের একটি দল বাংলাদেশে আসছে। আমরাও একটি দল গঠন করে রেখেছি। এই দুই দল মিলে কাজ করবে।” এনআইএর সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশের কারা কারা থাকছেন- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নির্লজ্জের মত বলেন, “আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা আছেন। তারা বসে আলোচনা করবেন।” অথচ ভারত আমাদের দেশে মাদকে ছয়লাব করে দিয়েছে, চোরাচালান করে অর্থনীতি ধংস করছে, প্রতিদিন আমাদের নিরস্ত্র নাগরিক হত্যা করছে; এসকল নিয়ে গোয়েন্দা প্রধানদের আলোচনার কোন ইস্যু নাই। ইস্যু কেবল ভারত ও হাসিনা গংদের নিরাপত্তা নিয়ে।

তবে চিকিৎসা করানোর জন্য যেমন এখন ভারতীয় চিকিৎসক দরকার সবার, তেমনি তদন্ত করানোর জন্য ভারতীয় পুলিশও সামনে ভাড়া করা হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে বলে মনে হয় না। কারন আমাদের গোয়েন্দাদের দিয়ে মানুষ খুন আর গুম করাতে গিয়ে তাদের তদন্তের ধার আরও আগেই শেষ করে দেয়া হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই নিজেদের রক্ষা করতেই হাসিনা পরিবার ও আওয়ামী লীগ ভারতীয় পুলিশি তদন্ত টিম এবং গোয়েন্দা আমদানি করে রাখছে; যার অফিসিয়াল রুপ হল মাত্র ২০০৮ সালে জন্ম নেয়া এই এনাইএ। এনাইএ-কে নিয়ে এতো ঢাক ঢোল পেটানো হচ্ছে অথচ এই এনাইএ-র পুরো ভারত ব্যাপী ব্রাঞ্চ হল মাত্র ৫ টি। কেন্দ্রীয় কাউন্টার টেররিজম সংস্থা হিসেবে এটিকে বাংলাদেশের জন্যই তৈরি করা হয়েছে কিনা এখন সেটা দেখার অপেক্ষার পালা শুরু মাত্র। সময়ই অনেক কিছু বলে দেবে। তবে এদেশে শেখদের রক্ষায় সচেষ্ট হলেও এনাইএ-র ওয়েব সাইটে Wanted পাতায় মুসলমানদের ও শেখদের সংখ্যাধিক্য ভারতে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিম নিগ্রহের চিত্রই প্রকাশ পায়।

বিষয়: বিবিধ

১০৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File