পুলিশ বা লীগের হাতে কেউ মরলে, মাইর খাইলে আমার ভালোই লাগে!
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ০২:৩৩:২৭ দুপুর
কাউসার আলম
পুলিশ বা লীগের হাতে কেউ মরলে, মাইর খাইলে আমার ভালোই লাগে! হত্যাকারীর কিংবা ধর্ষকের ফাঁসি না হইলে আরো ভাল্লাগে। বিশ্বজিৎ মরার পর অনেক "পতিবাদী" লেখা লেখলেও মনে মনে খুশিই হইছি। হিন্দুরা ভাবছিলো, লীগ শুধু বিরোধীদেরই মারবে, ওদের মারবে না। মাইর খাওয়ার পর বুঝছে, নগরে আগুন লাগলে আগুন হিন্দু মুসলিম চিনে না, সবাইরে পুড়ায়!
.
আমার এক স্টুডেন্ট প্রায়ই আমাকে বলতো, "স্যার, সব সরকারই খারাপ। আপনি অযথা আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করেন। বিনা ভোটে হইছে তাতে কী! বিএনপি আসলে কি এর চেয়ে ভালো হইতো?" সে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিল গতবার। তারপর... যখন মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেলো, প্রথমে সে কাঁদলো, তারপর কাইন্দা কাইট্যা আওয়ামীলীগের ১৪ গোষ্ঠি উদ্ধার করলো। আমি মুচকি হাসলাম।
.
পরিচিত এক ছাত্রলীগ নেতা প্রায়ই বলতো, সময় থাকতে লীগে আসেন, শান্তিতে থাকবেন। সেই তাকেই কাঁদতে দেখছি। ওঠতে বসতে জাতির আপারে অশালীন ভাষায় গালি দিতে শুনি। তার নিজের লিগ্যাল জমি দখল করে নিছে, তারই দলের আরেক বড় নেতা। :P সে ভাবছিলো, লীগ করে বলেই সে রেহাই পাবে।
.
ইয়াবা বদিরে যখন জামিন দেওয়া হয়, ফুলের মালা দিয়া বরণ কইরা নেওয়া হয়, সেটাও খুশির খবর।
বুশরার খুনিরা আওমিলিগ নেতা হওয়ায় বেকসুর খালাস পাইছে, এইটাও খুশির খবর। যাদের তিল পরিমাণ মনুষ্যত্ব আছে, এদের অন্তত শিক্ষা হবে।
.
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ইয়ারমেটকে চিনতাম। খুব ভালো ছাত্র। সে প্রায়ই কইতো, "আমি আওমিলিগ করি না, কিন্তু শেখ মজিবকে শ্রদ্ধা করি, তিনি মহান আছিলেন!" (আমি বাকশালের কথা স্মরণ করাইয়া দিতাম, রক্ষীবাহিনীর কথা কইতাম, সে আমাকে খারাপ পাইতো)! তারপর...সে ফার্স্ট হইয়াও টিচার হইতে পারলো না, আরেকজন হইয়া গেলো ট্যাকাটুকা দিয়া, এখন সে "ড্যাডি"রে সকাল বিকাল গাইল দেয়!
.
তাই ভাল্লাগে আমার হিন্দু মাইর খাইলে, ব্লগার খুন হইলে, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হইলে, বিসিএসে জালিয়াতি হইলে, পুলিশ কর্তৃক মাইর খাইলে, খুনের বিচার না পাইলে, মুক্তিযুদ্দা মাইর খাইলে, তনু মরলে, টিচার কান ধরলে, ফাইয়াজ মার খাইলে, সাগর রুনি, সাঁওতাল, প্রশ্নফাঁস, খাদিজা বেশ ভাল্লাগে।
.
.....আসল কথা হইলো আওমিলিগ এখন দানব। এই দানবরে কোনো নির্দিষ্ট পলিটিকাল পার্টি ঠেকাইতে পারবে না। দরকার আমজনতার!
কিন্তু সমস্যা হলো, বাঙ্গাল বড়ই স্বার্থপর। যতক্ষণ নিজের উপর আঘাত না আসে, ততক্ষণ সে অন্যের কষ্ট বুঝে না। তাই যখনই কোনো বাঙ্গাল মার খায়, আমার ভাল্লাগে। নিজে মাইর খাইলে তখন কিন্তু এইসব বাহত্তুর তেউত্তুরের চেতনা টয়লেটে বিসর্জন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না!
সুতরাং, হে বাঙ্গাল! মাইর খাইতে থাকেন। মাইর খাইতে খাইতেই একদিন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জাইগ্যা উঠবেন। আমি শিউর।
বিষয়: বিবিধ
২৩৬৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন