খেলাফত মজলিশের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দুই পাশে মোসাদ এজেন্ট শিপন কুমার বসু এবং বিবেক দেব।

লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ০৪ জুলাই, ২০১৬, ০৫:২৭:৫০ বিকাল

(নয়ন চ্যাটার্জি)



যে হুজুর লোকটার ছবি দিলাম, তার নাম কাজী আজিজুল হক। সে বাংলাদেশে একটি ইসলামী দলের আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক।

ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন- কাজী আজিজুলের হকের এক পাশে বসে রয়েছে বাংলাদেশে মোসাদ এজেন্ট শিপন কুমার বসু এবং অন্যপাশে কলকাতার মোসাদ এজেন্ট বিবেক দেব। কিছুদিন আগে ইসরাইলের মেন্দি এন সাফাদির সাথে মিটিং নিয়ে গোয়েন্দাদের খাতায় যে কয়জনের নাম এসছিলো তার মধ্যে এই কাজী আজিজুল হকেরও নাম ছিলো, যা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয় (http://goo.gl/y6KTFD)।

উল্লেখ্য ২০০৯ সালে মার্কিন ইহুদী রিচার্ড বেনকিন যখন বাংলাদেশে আসে তখন এই কাজী আজিজুল হক তার সাথে দেখা করতে যায়, যা রিচার্ড বেনকিনের ফেসবুক পেইজেই আছে (https://goo.gl/uVJvsH)।

যাই হোক, এই ছবি দেওয়া উদ্দেশ্য কাউকে আঘাত করা নয়, বরং মুসলমানদের সচেতন করা। মুসলমানদের অন্তত এই ধারণা থেকে সরে আসতে হবে যে- দেখতে ভালো হলেই সে ভালো নয়। বরং মুসলমানদের মধ্যে অমুসলিমদের এজেন্ট ঢুকে থাকতে পারে। যেমন সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবির জীবনী পড়লে দেখা যায়, ঐ সময় অনেক অমুসলিম মুসলিম বেশে মুসলমানদের মধ্যে প্রবেশ করে মুসলমানদের ক্ষতি করছিলো। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে এক ইমাম ধরা পড়ে, যে ছিলো মূলত শিখ ধর্মাবলম্বী। কিন্তু মুসলিম বেশে ক্যান্টনমেন্টে ১৮ বছর যাবত ইমামতি করছিলো শুধুমাত্র ভারতের হয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য।

আসলে কাজী আজিজুল হকের ছবি প্রকাশ করে আমি কোন দলকে দোষারোপ করতে চাই না। কারণ কোন দলেরই (সেটা রাজনৈতিক হোক কিংবা ধর্মীয় হোক) সবাই খারাপ হয় না। তবে কিছু কিছু ছদ্মবেশী বিদেশী এজেন্ট দলে ঢুকে যেতে পারে, যেটা হয়ত অন্য সদস্যরা জানেও না।

এ লেখা থেকে এটাও শিক্ষা

খিলাফত-জঙ্গী নাম দিয়ে কাজ করলে, মুসলমান পরিচয় দিলেই যে সবাই ভালো হবে এমনটাও না, সেখানে বিদেশী এজেন্ট থাকলেও থাকতে পারে।

যেমন গুলশানে সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছে। কেউ কেউ মুসলমানদের দায়ী করছে। কিন্তু বাস্তবে কে দায়ী- সেটা বোঝার জন্য দরকার, পুরো ঘটনায় কে লাভবান হচ্ছে সেটা বোঝা। যদি দেখেন মূল ঘটনার জন্য ভারত-আমেরিকা লাভবান হচ্ছে, তাদের বাংলাদেশে আগ্রাসনের অজুহাত হালাল হচ্ছে, তবে বুঝতে হবে তারাই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা যে মুসলিম নামধারীদের দ্বারাই ঘটুক না কেন, পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে তারা এবং ফায়দাও নিচ্ছে তারা। যার কারণে আলটিমেট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মুসলমানরা।

বিঃদ্রঃ আন্নেরা সবসময় লাল টুপি আর সাদা টুপি দেখলে দুলাভাই মনে করিয়েন না।

তার ফেইসবুক আইডিঃ https://www.facebook.com/KaziAzizulHuq?fref=nf

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373946
০৪ জুলাই ২০১৬ বিকাল ০৫:৩৮
বিভীষিকা লিখেছেন : উনার ফেইসবুক আইডিতে উনি কিন্তু অত্যন্ত ভদ্র ইসলাম প্রচারক।
373949
০৪ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৪৪
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : হুম এরকম দালাল আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এরাই জাহান্নামের নিম্নস্তরের অধীবাসি।
373959
০৪ জুলাই ২০১৬ রাত ১১:০৬
শেখের পোলা লিখেছেন : আল্লাহই ভাল জনেন কার মনে কি আছে।
373987
০৫ জুলাই ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
বিবেক লিখেছেন : ইসলামী ব্যংকের চেয়ারম্যান ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রাক্তন ডিজি শামীম মোহাম্মাদ আফজল বহুবছর আগে থেকেই ইস্রাইলের পক্ষে গোয়েন্দা বৃত্তির কাজ করে আসছেন। তার বন্ধু মৌলানা ফরিদ মাসুদ তো ভারতের হয়ে সাপ্লাইয়ের কাজে ব্যস্ত আছেনই। তাকে সহযোগীতা করার জন্য তার শালা চির মোনাইয়ের পীর ফজলুল করিম ইসলামী ঝান্ডা বহন করছেন। যখন যেভাবে দরকার তখন তারা সেভাবে ফতোয়া সাপ্লাইয়ের কাজ করে।

জেনে হোক, লোভে হোক এভাবে বহু আলেম ভারত আর ইস্রাইলের পক্ষে কাজ করে চলেছেন। ইনকিলাব পত্রিকার মালীক নিজে ভারতের কাছে দরখাস্ত করে তাদের পক্ষে কাজ করার আবেদন করেছিলেন ২০০৪ সালে। বাহিরে যেমন তেমন দেখালেও ভিতরে ভিতরে অনেকের অন্তর কালা, দুনিয়ার কিছু সুযোগ সুবিধার জন্য্

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File