বর্তমান স্কুল পড়ুয়া নুরুল্লাহরা বলছে- “খায়া ছাইড়া দে,মামা.....”।
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ০৫ জুন, ২০১৬, ০৭:৩২:৩৪ সন্ধ্যা
(নয়ন চ্যাটার্জি)
ছেলেপেলের নৈতিকতা তৈরী হবে কিভাবে ?
তাদের কি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধর্মকর্ম পালন করতে দেয় ?
এই রোজায় প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো খোলা থাকবে ২৭ রোজা পর্যন্ত,
এইচএসসি পরীক্ষা চলবে ১৫ রোজা পর্যন্ত,
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়-কারিগরী কলেজগুলোতে চলবে পুরোদ্যোমে পরীক্ষা,
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিগুলোও তাদের পরীক্ষা চালিয়ে যাবে।
স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা চললে তো রোজা রাখতে পারবে না ছেলেমেয়েরা।
আর মুসলমানরা নিজ ধর্মপালন না করলে নৈতিকতা গড়ে উঠবে কিভাবে ?
এ কারণেই বর্তমান সমাজ জন্ম দিচ্ছে ঐশীদের, যারা নিজ পিতামাতাকে হত্যা করে।
এ কারণেই বর্তমান সমাজে জন্ম নিচ্ছে জুনায়েদ-সাদিয়াদের, যারা অনৈতিকতার চরম শিখরে পৌছেছে।
এ কারণেই বর্তমানে সমাজে ঘটছে উত্তরা রাজউক কলেজের ঘটনা, যেখানে ক্লাস-৬ এর ছেলে-মেয়েরা প্রেম নিবেদন করে, প্রকাশ্যে চুমু খেয়ে ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছে।
আসলে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাই ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিকতা গঠন করতে দিচ্ছে না। এমনভাবে পরীক্ষা ফেলাচ্ছে যেন কেউ রোজা না রাখতে পারে। অথচ প্রতিবছর ঠিকই স্কুলগুলোতে স্বরসতী পূজা করতে বাধ্যতামূলকভাবে চালু করছে কর্তৃপক্ষ, অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে সবাইকে বলছে স্বরসতী পূজা করতে। ছেলে-মেয়েরা তখন একযোগে দেবী স্বরসতীর স্তনের প্রশংসা করছে। পড়ছে "জয় জয় দেবী চরাচরসারে, কুচযুগ শোভিত মুক্তাহারে ।" যার অর্থ “হে দেবী এই বিশ্বচরাচরে আপনার জয়জয়কার হউক। আপনার স্তনদুটি মুক্তাহার দিয়ে সাজানো”। অপরদিকে পাঠ্যপুস্তকে পড়ানো হচ্ছে মামী-ভাগিনা রাধাকৃষ্ণের অবৈধ লীলাকৃর্তন।
মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিকতার ভিত্তি যখন হিন্দুত্ববাদ দিয়ে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখনই ঘটছে বিপত্তি। এ কারণেই বর্তমান স্কুল পড়ুয়া নুরুল্লাহারা বলছে- “খায়া ছাইড়া দে,মামা.....”।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কথাটার শানে নজুল জানা নাই। দুঃখিত। এগুলো এ দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাবার প্রাথমিক প্রচেষ্টা চলছে। "আবর তোরা হিন্দু হ"বাণীর অপেক্ষায় আছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন