হিন্দু সাহিত্য অর্থই হচ্ছে অশ্লীলতা ও চুরি করা সাহিত্য।
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ০৯ মে, ২০১৬, ০৮:৫১:৫৪ রাত
(নয়ন)
অনেকেই বলে- “বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান অপরিসীম। রবীন্দ্র সাহিত্যের উপর নির্ভর করেই বাংলা সাহিত্য মাথা উচু করে দাড়াতে পেরেছে।”
অনেকে আবার এক ধাপ এগিয়ে বলে- “রবীন্দ্রনাথসহ হিন্দু সাহিত্যিকরা বাংলা সাহিত্যকে যা দিযেছে, মুসলমান কবি-সাহিত্যিকরা বাংলা সাহিত্যকে তার বিন্দুমাত্র দিতে পারেনি। তাই বাংলা সাহিত্য মানে হিন্দু সাহিত্যিকদের সাহিত্য।”
যারা এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গী লালন করেন, তাদের বললো- দয়া করে ভালো করে রবীন্দ্র সাহিত্য পড়ুন, এবং একই সাথে মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্য পড়ুন, খুজে খুজে পড়ুন। লুকিয়ে লুকিয়ে মন্তব্য করবেন না, দয়া করে।না জেনে কাউকে হিরো বানাবেন, আর কাউকে জিরো বানাবেন, সেটা হবে না।
প্রকৃতসত্য হচ্ছে-
মুসলিম সাহিত্যিকদের সাহিত্য বলতে বোঝায় জ্ঞান চর্চা, ইতিহাস চর্চা ও নৈতিক শিক্ষা অর্জন। অপর দিকে হিন্দু সাহিত্য বলতে বোঝায় অনৈতিকতা চর্চা, বেশ্যা সাহিত্য, অযথা গালগল্প ও চৌর্যবৃত্তি।
আপনাদের বেশিদূর যেতে হবে না। বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের দিকে তাকান। সেখানে মুসলিমদের সাহিত্য দেখুন, আর হিন্দুদের সাহিত্য দেখুন, একেবারে হাতেনাতে প্রমাণ পাবেন। যেমন ধরুন- আগের পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে কবি কাদের নেওয়াজ রচিত ‘শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ আর কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘উমর ফারুক’ কবিতাদুটি। এবার আপনারাই বলুন- এ দুটি কবিতা থেকে শেখার কি নেই? একদিক থেকে সাহিত্য, অন্যদিক থেকে ইতিহাস, অপরদিক থেকে নৈতিকতা, সবটাই আছে মুসলিম সাহিত্যে।
অপরদিকে, হিন্দু সাহিত্য দ্বারা শিক্ষার্থীরা কি শিখছে ? যেমন ৯ম-১০ম শ্রেণীতে জ্ঞান দাস রচিত ‘সুখের লাগিয়া’ নামক একটি কবিতা আছে, যা মূলত রাধা-কৃষ্ণের লীলাকৃর্তন। সোজা ভাষায় বলতে- মামী-ভাগিনার মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক বর্ণনা। আবার ৯ম-১০ম শ্রেণীতে দেওয়া হয়েছে ‘জীবন সঙ্গীত’ নামক হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একটি কবিতা। অথচ কবিতাটি মার্কিন কবি Henry Wadsworth Longfellow এর লেখা A Psalm of life কবিতার চুরি করা অনুবাদ, যা পাঠ পরিচিতিতেই লেখা আছে।
অর্থাৎ হিন্দু সাহিত্য অর্থই হচ্ছে অশ্লীলতা ও চুরি করা সাহিত্য।
যাই হোক, কথা বলছিলাম রবীন্দ্রনাথ নিয়ে। বলছিলাম- রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যকে কি দিয়েছে ? উত্তরে হয়ত অনেকে বলবেন-“তিনি বাংলা সাহিত্য রচনা করে বাঙালী জাতিকে নোবেল এনে দিয়েছেন।” অথচ এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তিনি গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য কিন্তু নোবেল পান নাই। তিনি নোবেল পেয়েছেন গীতাঞ্জলির ইংরেজী ভাবানুবাদ Song Offerings এর জন্য। আরও মজার ব্যাপার হলো এই Song Offerings গ্রন্থটি অনেকাংশ ছিলো খ্রিস্টানদের বাইবেল ও তাদের ধর্মীয় সাধকদের রচনা থেকে চুরি করা। (http://goo.gl/yKCpTm)
তবে চুরি করে সাহিত্য রচনা করলেও রবীন্দ্রনাথের পতিতা বা বেশ্যা সাহিত্যের উপর মারাত্মক দক্ষতা ছিলো, আরো সহজ ভাষায় বলতে চটি সাহিত্যের উপর রবীন্দ্রনাথের পিএইচডি ডিগ্রি ছিলো। কারণ রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক ব্যবসাই ছিলো পতিতা ব্যবসা। তার দাদা দ্বারকানাথের শুধু কলকাতাতেই ছিলো ৪৩টি পতিতালয়। (সুত্র :আনন্দবাজার পত্রিকার ১৪০৬ এর ২৮শে কার্তিক সংখ্যা দ্রষ্টব্য)
রবীন্দ্রনাথ নিজেও পতিতা খুব এনজয় করতেন। বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গার পাশে গঙ্গাজলীতে এসে, এক পতিতালয় দেখে কবিগুরু কবিতা লিখেছিলেন:
“বাংলার বধূ,
বুক ভরা মধু”।
এ প্রসঙ্গে- আবুল আহসান চৌধুরী রচিত ‘অবিদ্যার অন্তঃপুরে, নিষিদ্ধ পল্লীর অন্তরঙ্গ কথকতা’ বইয়ে লিখেছেন-
"বেশ্যাবাজি ছিল বাবু সমাজের সাধারণ ঘটনা। নারী আন্দোলনের ভারত পথিক রাজা রামমোহন রায়ের, রক্ষিতা ছিল॥ এমনকি ঐ রক্ষিতার গর্ভে তাঁর একটি পুত্রও জন্মে ছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর (রবীন্দ্রনাথের ভাই) পতিতা সুকুমারী দত্তের প্রেমে মজেছিলেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত পতিতালয়ে যেতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও পতিতালয়ে যেতেন। নিষিদ্ধ পল্লীতে গমনের ফলে রবীন্দ্রনাথের সিফিলিস আক্রান্ত হওয়ার খবর তার জীবদ্দশাতেই ‘বসুমতী’ পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছিল।”
যাক রবীন্দ্রনাথে পতিতা গমনের ফলে সিফিলিসের খবর চলে এলো তাহলে !!!!
চটি সাহিত্য কাকে বলে এবং কত প্রকার তা কিন্তু রবীন্দ্রনাথ বার বার তা বুঝিয়ে দিয়েছে। বার বার পতিতা/নটীর স্বাদ তিনি দিয়েছেন তার পাঠক সমাজকে, প্রকাশ করেছেন তার লুল চরিত্রকে। যেমন- ‘পতিতা’ নামক কবিতায় রবীন্দ্রনাথ পতিতাদের কথা বলতে গিয়ে বলেছে-
“ধন্য তোমারে হে রাজমন্ত্রী,
চরণপদ্মে নমস্কার।
লও ফিরে তব স্বর্ণমুদ্রা,
লও ফিরে তব পুরস্কার।
ঋষ্যশৃঙ্গ ঋষিরে ভুলাতে
পাঠাইলে বনে যে কয়জনা
সাজায়ে যতনে ভূষণে রতনে,
আমি তারি এক বারাঙ্গনা।
দেবতা ঘুমালে আমাদের দিন,
দেবতা জাগিলে মোদের রাতি--
ধরার নরক-সিংহদুয়ারে
জ্বালাই আমরা সন্ধ্যাবাতি।” (পুরো কবিতা পড়তে- http://goo.gl/T8XVAM)
আহারে !! পতিতাদের জীবনের প্রকৃতরূপ রবীন্দ্রনাথের কাব্যেই পাওয়া যায়।
মানসসুন্দরী কবিতা তো সাক্ষাৎ চটি (ভাষা তো আগেকার) -
“বীণা ফেলে দিয়ে এসো, মানসসুন্দরী—
দুটি রিক্ত হস্ত শুধু আলিঙ্গনে ভরি
কণ্ঠে জড়াইয়া দাও— মৃণাল-পরশে
রোমা’ অঙ্কুরি উঠে মর্মান্ত হরষে,
কম্পিত চঞ্চল বক্ষ, চক্ষু ছলছল,
মুগ্ধ তনু মরি যায়, অন্তর কেবল
অঙ্গের সীমান্ত-প্রান্তে উদ্ভাসিয়া উঠে,
এখনি ইন্দ্রিয়বন্ধ বুঝি টুটে টুটে।
অর্ধেক অঞ্চল পাতি বসাও যতনে
পার্শ্বে তব; সমধুর প্রিয়সম্বোধনে
ডাকো মোরে, বলো, প্রিয়, বলো, ‘প্রিয়তম’—
কুন্তল-আকুল মুখ বক্ষে রাখি মম
হৃদয়ের কানে কানে অতি মৃদু ভাষে
সংগোপনে বলে যাও যাহা মুখে আসে
অর্থহারা ভাবে-ভরা ভাষা। অয়ি প্রিয়া,
চুম্বন মাগিব যবে, ঈষৎ হাসিয়া
বাঁকায়ো না গ্রীবাখানি, ফিরায়ো না মুখ,
উজ্জ্বল রক্তিমবর্ণ সুধাপূর্ণ সুখ
রেখো ওষ্ঠাধরপুটে, ভক্ত ভৃঙ্গ তরে
সম্পূর্ণ চুম্বন এক, হাসি স্তরে স্তরে”
(https://goo.gl/ny9WyO)
আজ আর নয়, পরে একটি স্ট্যাটাসে আলোচনা করবো- মুসলিম সাহিত্যিকরা বাংলা সাহিত্যকে কি দিলো।
(ছবি: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিচালিত একমাত্র ফিল্ম 'নটির পূজা'র একটি দৃশ্য। যেখানে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ নিজেও অভিনয় করেছিলো।)
বিষয়: বিবিধ
৩২১৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন