নারায়ে তাকবীর- আল্লাহু আকবারঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ০২ এপ্রিল, ২০১৬, ০৬:৫৮:০৬ সন্ধ্যা
(নয়ন চ্যাটার্জি)
আজকাল ৭১ টিভির টকশোতে মুনতাসির মামুন কিংবা বোরহানুদ্দিন খান জাহাঙ্গীররা প্রায় বলে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হবে জানলে নাকি তারা মুক্তিযুদ্ধ করতো না”। অথচ মুনতাসির মামুন কিংবা বোরহানুদ্দিন খান জাহাঙ্গীররা কিন্তু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধই করেনি।(http://archive.is/atE6b)
যাই হোক, আজকে আপনাদের সামনে একটা বই উপস্থাপন করবো। বইটির নাম ‘বাঙালির ইতিহাস’, লেখক- আওয়ামী ঘরনার বুদ্ধিজীবি ড. মোহাম্মদ হাননান । বইটির ২৬৭ পৃষ্ঠায় লেখা আছে- ১৯৭১ সালের ৩রা জানুয়ারী রেসকোর্স ময়দানে এক শপথ অনুষ্ঠান হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু নিজেই ‘নারায়ে তাকবীর- আল্লাহু আকবর’ বলে শ্লোগান দেন। এবং বলেন- “শুধু নির্বাচনে জয়লাভ করলে দাবি আদায় হয় না। দাবি আদায়ের জন্য আরো সংগ্রাম করতে হবে”। আগামী দিনের সংগ্রামে যে বাঙালি জাতিকে আরো বুকের রক্ত দিতে হবে, তার ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সম্ভবত তারই আভাস দিয়েছিলেন। (সূত্র: বাাঙালির ইতিহাস, ড. মুহাম্মদ হাননান, প্রকাশনী-অনুপম, পৃষ্ঠা: ২৬৭) (রকমারিতে পেতে- বইয়ের কভার পেজ চেঞ্জ হইছে-https://goo.gl/tRU1PE)
আজকাল নারায়ে তাকবীর- আল্লাহু আকবর শ্লোগান শুনলে অনেকের চুলকানি উঠে যায়, এবং জঙ্গী-সন্ত্রাসী ট্যাগ দিতে থাকে। অথচ ১৯৭১ সালে খোদ বঙ্গবন্ধুর শ্লোগান ছিলো কিন্তু ঐ নারায়ে তাকবীর-ই। এ ডকুমেন্ট দ্বারা আরেকটি জিনিস প্রমাণ হয়- ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা বা সমাজতন্ত্রের মোটেও অস্তিত্ব ছিলো না, বরং ইসলামী চেতনার মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো। তাই যারা আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’-সমাজতন্ত্র দাবি করে তারা মিথ্যাবাদী ছাড়া অন্য কিছু নয়।
বি: দ্র: আজকাল নাস্তিকরা কোন আন্দোলনে নামলে ১০-২০ লোক খুজে পাওয়া যায়। অথচ মুসলিমরা কোন আন্দোলন করলে লোকে লোকারন্য হয়। এ ঘটনা কিন্তু ৭১ সালেও ঘটেছিলো। মুক্তিযুদ্ধের সময় লক্ষ লক্ষ পাকিস্তানী সেনাকে পর্যুদস্ত করা ১০-২০টা নাস্তিকের পক্ষে কখনই সম্ভব না, মূলত ঝাকে ঝাকে ইসলামী চেতনার জানবাজ মুক্তিযোদ্ধারা নেমেছিলো বলেই পাক হানাদাররা পিছু হটেছিলো, যা ১০-২০ নাস্তিক পক্ষে চিন্তা করাই সম্ভব নয়। অথচ দুঃখের বিষয়- মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে ঐ মুসলমানদেরই আজ দমিয়ে রাখা হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্য
"সেই মুসলীম চেতনার বিরাট অংশ" তাঁদের বংশধরদের সঠিকভাবে "চেতনাবটিকা" অভ্যাস করাতে পারেননি বা করেননি, এখন তার খেসারৎ দিতে হচ্ছে!
আপামর জনসাধারণ অস্ত্র হাতে তুলে নেয় প্রতিরোধ সংগ্রামে, যাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধ বলি। জনসাধারণের এই প্রতিরোধে সেদিন ইসলাম বিরোধী চেতনা কাজ করেনি। চেতনা ছিল নিজেদের আত্মরক্ষা ও পাকিস্তানের ভন্ড শাসক গোষ্ঠীর হাত হতে নিস্কৃতি লাভ করে, নিজেদের স্বাধীন আবাসভুমি গঠন করা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন