হিন্দুরা বাংলাদেশের পুকুরে ডুব দেয়, আর ভেসে ওঠে ইন্ডিয়া গিয়ে।

লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ১৫ মার্চ, ২০১৬, ০৮:০৬:৩৭ রাত

(নয়ন চ্যাটার্জি)



যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিবৃতি: হিন্দুরা বাংলাদেশে ‘রাম রাজত্ব’ কায়েম করতে চায়

আজকাল রিপোর্ট: গো মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোশাক নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে অশালীন অভিহিত করে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের দাবি দাওয়া, ক্ষোভ প্রকাশের সাথে সাথে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান, বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা, গণতন্ত্রের মানসপুত্র খ্যাত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রমুখের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য এবং দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোশাক নিয়ে শিষ্টাচার বর্জিত সমালোচনা করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। হিন্দু নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তারা বলেন, ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের টাকায় দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে আপনারা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছেন।

আওয়ামী লীগের এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব হিন্দু নেতারা আজ এমন কঠিন অগ্নিমূর্তি ধারণ করে নিজেদের আসল চেহারার প্রকাশ ঘটালেন তাদের এমন আচরণে আমাদের নিজেদেরও লজ্জা লাগছে। মানুষ এমন নির্লজ্জ বেহায়া হতে পারে? যে নেতৃবৃন্দ এসব করেছেন এরা সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ, প্রত্যেকের সাথে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার, আমরা অনেকে একই স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। এই যুক্তরাষ্ট্রেও আমরা পারিবারিক বন্ধুত্বের বন্ধনও ধরে রেখেছি। মিটিং মিছিল, রাজনীতি, সমাজনীতি, সংস্কৃতি, একই আদর্শের হওয়ায় পরস্পর খুব কাছাকাছি অবস্থান করছি। অথচ আজ সেই বন্ধুরা তাদের বিষাক্ত ছোবল এমনভাবে মারলো, সেই বিষ আমাদের সারা অঙ্গে ছড়িয়ে আমরা নীল হয়ে গেছি।

তাই আজ আমরাও বলতে দ্বিধা করব না, গ্রামের অশিক্ষিত সহজ সরল মানুষগুলো তখন বলতো হিন্দুদের বোগল তলে ইট, ওদের বিশ্বাস করো না। আরো বলতো তারা ডুব দেয় বাংলাদেশের পুকুরে আর ভেসে ওঠে ইন্ডিয়া গিয়ে। অর্থাৎ তারা টাকা ইনকাম করে বাংলাদেশে আর বাড়ি বানায় ভারতে। এমন সব কথা চালু থাকলেও সমাজের বিবেকবান মানুষ এসব আমলে নিত না, এটি নিন্দুকের বক্তব্য হিসেবে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আজ তাদের চরিত্র মৌলবাদীর জঘন্য হিংস্র চরিত্র হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। তারা আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আইএস-এর প্রতিভু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

আজ একবিংশ শতাব্দীতে মোসাদের বণ্টনকৃত টাকার অংশীদার হচ্ছে নিউইয়র্কের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। তারাও আজ মুসলিম জঙ্গি মৌলবাদী মিলিটেন্টের মতো আবির্ভূত হয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সরকার যেমন জঙ্গি দমনে জিরো টলারেন্সে গিয়ে মার্কিন প্রশাসনের প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনি হিন্দুত্ববাদী মৌলবাদীদের দমন করে উপমহাদেশে শান্তি ফিরিয়ে এনে সকল সম্প্রদায়ের জন্য নিরাপদ বাসযোগ্য বাংলাদেশ তৈরি করতে পারলে বিশ্বের সর্বত্রই এই সরকার প্রশংসিত হবে।

হিন্দু নেতারা নিজেদের দাবি করেছেন তারা সংখ্যালঘু অর্থাৎ তারা গোটা বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ। এদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ একটি দেশ। এখানে ৯০ ভাগ মুসলিম জনগণ বসবাস করছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মুসলিম সাধক, গাউস, কুতুব, পীর আউলিয়া, দরবেশ এখানে এসেছেন ইসলাম প্রচারের জন্য, এটি একটি পুণ্যভূমিও বটে।

ইসলামের মূল ফান্ডামেন্টাল বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কুরবাণী দেয়া। এটি সরাসরি সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে হয়েছে। হযরত ইব্রাহীম (আHappy আল্লাহর প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু তার সন্তানকে জবাই করতে উদ্যত হলে স্বয়ং আল্লাহ্ পাক পুত্রের স্থলে জানোয়ারকে জবাই করা ফরজ করে দেন। সেই থেকে মুসলমান সম্প্রদায় গরু, উটসহ বিভিন্ন হালাল প্রাণী জবাই করার নির্দেশ পেয়েছেন সৃষ্টিকর্তার মাধ্যমে। এটি সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করার মহোৎসব ও সেই সুবাদে গরু জবাইয়ের মাংস খাওয়া অনেকটা যৌক্তিকতায় পরিণত হয়েছে। গো-মাংস একটি প্রধান খাদ্য এবং এটি প্রচুর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও বটে। নিজেরা সংখ্যালঘু হয়ে ৯০ ভাগ মুসলমানদের সাথে বসবাস করে তাদের সহযোগিতায় এদেশে থেকেও আজ তারা গরু জবাই নিষিদ্ধের দাবি করে রীতিমতো সারা বিশ্বের মুসলমানের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে যে ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছেন তার জন্য রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে এমনকি মুসলিম আইনে তাদের বিচার করা উচিত।

হিন্দু নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, আপনারা চরম সাম্প্রদায়িক, চরম হিংসুটে, চরম ইসলামবিরোধী। আপনারা কি একটু ভেবে দেখেছেন ইন্ডিয়াতে কি হচ্ছে মুসলমানদের ওপর? কাশ্মিরে কি হচ্ছে? আসাম, কলকাতা, দিল্লিসহ সারা ভারতে মুসলমানরা গরু জবাই করার কারণে হিন্দুরা তাদের জবাই করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। খোদ নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন উগ্র হিন্দুরা সে সময় ২০০০ মুসলমানকে মেরেছে। তখন আপনাদের মতো বিশ্ব মানবতাবাদী নেতারা কোথায় ছিলেন? কোথায় ছিল আপনাদের বিবেক?

সুতরাং বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের বিরোধিতা করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে আপনারা হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছেন মোসাদের টাকায়। আপনাদের কাছে আমরা অন্তত এমন আচরণ আশা করিনি।

যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগসহ প্রবাসের সকল দেশপ্রেমিক বাঙালি মুসলমান সম্প্রদায় আপনাদের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাই। উপরন্তু শাস্তির দাবি করছি আমরা আপনাদের মতো সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানোর কীটগুলোর।

সূত্র: http://goo.gl/AStW94

ই পেপার : http://goo.gl/zwWDCd

বিষয়: বিবিধ

১১৯৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

362599
১৬ মার্চ ২০১৬ রাত ০২:২৫
শেখের পোলা লিখেছেন : মুশরিক কখনই মুসলীমের বন্ধু হতে পারেনা৷
362633
১৬ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০২:৫৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আওয়ামীলীগের লোকেরা যতদিন দলীয় চোর ডাকাতদের খপ্পর থেকে বের হতে না পারবে ততদির তারা ঐ ডাকাতির ভাগদার হতেই থাকবে। আল্লাহ তওবা কবুলকারী। ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File