ইউরোপ-আমেরিকার লোকেরা পশুপ্রেমী নয়, তারা হচ্ছে পশুকামী।
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৩:০৮:৩২ দুপুর
(নয়ন চ্যাটার্জি)
আমাদের এ অঞ্চলে মানুষ ইউরোপ-আমেরিকানদের কুকুরপ্রেম দেখলে হয়ত ভাবে, “আহারে ওরা কত ভালো মানুষ, একটা প্রাণীকে কত ভালোবাসে, কত আদর করে, কুকুরের সাথে কত মাখামাখি করে, নিজের খাটে ঘুম পর্যন্ত পাড়ায়।”
আসলে আমরা যা ভাবি, ব্যাপারটা সেরকম নয়। মূলত ইউরোপ-আমেরিকার ঐ লোকগুলো পশুপ্রেমী নয়, তারা হচ্ছে পশুকামী। পশুর সাথে যৌন সম্পর্ক করাই তাদের আলটিমেট উদ্দেশ্য। এ অঞ্চলের কিছু লম্পট যেমন রক্ষিতা পেলে থাকে, ঠিক তেমনি ইউরোপ-আমেরিকানরা একইভাবে যৌনসঙ্গী হিসেবে পশু পেলে থাকে।
-------------------------------------------------------------------------------------
জার্মানদের অনেক অভ্যাস আছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রিয় অভ্যাস হচ্ছে- পশুর সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করা। ১৯৬৯ সাল থেকে জার্মানিতে পশুর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা আইনত বৈধ।
পশুর সাথে যৌন সম্পর্কস্থাপন করাকে বলা হয় 'জুফিলিয়া' (zoophilia); বা 'বেস্টিয়ালিটি' (Bestiality)। দেখা যায়, অনেক জার্মান তা বাসার কুকুরটাকে নারীদের মত পোষাক পড়িয়ে রেখেছে, যেন ঐ কুকুরটাকে দেখলে তার যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আমাদের কাছে এ বিষয়টিকে বিকৃতরুচি মনে হতে পারে, কিন্তু জার্মানদের কাছে বিষয়টি অত্যন্ত স্বাভাবিক ও জনপ্রিয়। কারণ অনেক জার্মান পুরুষ ভাবে একজন নারীর থেকে একটি ভেড়া অধিক বিশ্বস্ত, আবার অনেক জার্মান নারী ভাবে, একজন পুরুষ সঙ্গীর থেকে একটি কুকুর অধিক বিশ্বস্ত। একই সাতে তারা দাবি করে থাকে, “একটি কুকুর যদি ভালো বন্ধু হতে পারে, তবে ভালো যৌনসঙ্গী হতে দোষের কি আছে ?”
তবে বাধ সেধেছে কিছু মৌলবাদী। মৌলবাদীরা বলেছে, পশুকাম করতে গিয়ে মূলত পশুটির উপর অত্যাচার করা হয়। যেহেতু পশুটি কিছু বলতে পারে না, তাই জোর করে মূলত পশুটিকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। তাই পশুপ্রেমীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে পশুকামীতা নিষিদ্ধ করে জার্মান পার্লামেন্ট। তবে অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্য পশুকামীতার পর্ন রাখাকে আইনত বৈধতা দেওয়া হয়।
(http://goo.gl/RvbS95, http://goo.gl/VR4WKP, https://goo.gl/STWnfw )
কিন্তু এ আইন পাশ হওয়ার মারাত্মক ক্ষেপে যায় জার্মানির ফ্রি-থিংকার তথা মুক্তমনা গোষ্ঠী। তারা বলে- “মানুষ বিষমকামী হতে পারলে, সমকামী হতে পারলে, পশুকামীতায় দোষ কোথায় ? পশুকামীতা বন্ধ করে সরকার মানুষের অধিকার নষ্ট করলো, মুক্তমনা চর্চায় বাধা দিলো।” জার্মানিতে পশুকামীদের অধিকার রক্ষায় আলাদা সংগঠন আছে। নাম ZETA। সংগঠনটি জার্মানির বার্লিনের রাস্তায় মার্চ করে, তাদের পশুকামীতার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়।
(http://goo.gl/AOoP5e, http://goo.gl/EQ5QKy)
তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আইন করে তো আর যৌন সম্পর্ক আটকানো যায় না। ২০১৩ সালে জনপ্রিয় ডেইলি মেইলে একটি খবর ছাপা হয়, যারা শিরোনাম-
“Bestiality brothels are 'spreading through Germany' warns campaigner as abusers turn to sex with animals as 'lifestyle choice'”
অর্থাৎ- জার্মানিতে পশুদের পতিতালয় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, পশুকামীরা পশুর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে লাইফস্ট্যাইল চয়েস হিসেবে গ্রহণ করছে।
(http://goo.gl/yyZ0BT)
অর্থাৎ আইন করে দেশটিতে পশুকামী বন্ধ করা য়ায়নি, কারণ পশুকামীতা জার্মানদের রক্তে-মাংশে জড়িয়ে আছে। দেখবেন অনেকে জার্মানি হয়ত হাসাহাসি করে, বলে- বাংলাদেশে পুরুষরা নারীদের দেখলে নিজেদের সামলাতে পারে না, ধর্ষণ করে। বাংলাদেশে কোন নারী হারিয়ে গেলে হয়ত আশঙ্কা করা হয়, “তাকে আবার কেউ সম্ভ্রমহরণ করলো নাতো ?” আর জার্মানিতে একটি কুকুর হারিয়ে গেলে অনেকের মনে শঙ্কা জেগে ওঠ, সংবাদ পর্যন্ত হয়, “হায়রে ! আবার কেউ কুকুরটাকে ধর্ষণ করলো নাতো ?” (http://goo.gl/xGVZPr)
-------------------------------------------------------------------
জার্মানির পশুকামীতার বিষয়টি এ কারণেই আনলাম, আজকাল কিছু হাভাতে জার্মানি গিয়ে ইভেন্ট খুলে প্রচার চালাচ্ছে- “১৪ই ফেব্রুয়ারী ভ্যালেন্টাইন ডেতে তারা প্রকাশে চুমু খাওয়া দিবস পালন করবে”। (https://www.facebook.com/events/515631988598247/)
খুব ভালো কথা। আসলে চুমু যেহেতু শারীরিক সংসর্গের প্রাথমিক অংশ, তাই অনেকে হয়ত বিষয়টি আড়ালে করার চেষ্টা করেন। কারণ মানুষ ও পশুর মধ্যে এটা একটা বড় তফাৎ। মানুষ শারীরিক সংসর্গ করে আড়লে, আর পশু করে প্রকাশ্যে। মানুষ দরজা বন্ধ করে করে, আর কুকুর করে যত্রতত্র। কিন্তু কেউ যখন পশুর সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়, তখন তার মধ্যে পশুর স্বভাব ফুটে উঠবে, এটাই তো স্বাভাবিক।
যেহেতু বাংলাদেশের কিছু হাভাতে সেই জার্মানি গিয়ে জার্মান পশুকামীদের উচ্ছিষ্ট খাচ্ছে, তাই সে সকল হাভাতেও চাইছে বাংলাদেশকে জার্মানির মত পশুকামী বানাতে, প্রকাশ্যে পশুর মত যৌনকর্ম চালাতে উৎসাহিত করতে। আর এ কারণেই ধান্ধায় নেমেছে- ১৪ই ফেব্রুয়ারীতে তারা প্রকাশ্যে চুমু দিবস চালু করতে করার।
যাই হোক,
আগে জানতাম, “যে যায় জার্মানি, সে হয় পুটুকামী।”
আর এখন দেখা যাচ্ছে, “যে যায় জার্মানি, সে হয় পশুকামী।”
সবাইকে ধন্যবাদ
বিষয়: বিবিধ
৪৩৬০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন