আওয়ামী সমর্থকের মুখে জামায়তের সততার সার্টিফিকেট।
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ১০ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:৩৪:৪১ রাত
(Ahsan Sabbir)
ঘটনা--- ১
আমার এক ফুফা আছেন। ঘোর আওয়ামী সমর্থক। সম্প্রতি তিনি সরকারী চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। সেদিন তার বাসায় গেলে তিনি বললেন--
-- সাব্বির, রিটায়ার করার পর বেশ কিছু টাকা পেয়েছি। ব্যাংকে এখন কম লাভ দেয়। তাই ভাবছি জামায়াতের কোন কোম্পানিতে টাকাগুলি খাটাবো।
: ফুফা জামায়াতের কোম্পানির কথা বলছেন কেন হঠাৎ?
-- আসলে জামায়াতের কোম্পানিতে টাকা রাখলে তারা খেয়ানত করবে না। লাভ ঠিকঠাক মতো বুঝিয়ে দিবে। জানই তো দেশটা চোর-বাটপারে ভরে গেছে।
ঘটনা--- ২
আমার আপন মামা বেসরকারি কলেজের অধ্যাপক। তিনি বর্তমান এক মন্ত্রীর ক্লোজ ফ্রেন্ড। আওয়ামীলীগের গোঁড়া সমর্থক। ২০১০ সাল পর্যন্ত তার কলেজের প্রন্সিপাল ছিলেন জামায়াতের একজন রোকন। তার সম্পর্কে মামা বলেছিলেন--
"আমাদের প্রিন্সিপাল স্যারের মতো এতো সৎ, অমায়িক, ভদ্র ও পরোপকারী মানুষ আমি জীবনে খুব কম দেখেছি। কিন্তু এতো ভালো একজন মানুষ কেন যে জামায়াত করে তা বুঝি না।"
গতকাল ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির টকশোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেছেন -- "জামায়াত পরিচালিত দোকানে ব্যবসা ভালো হয় কারণ তারা মিথ্যা কথা বলে না।
বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র জামায়াতের দুই মন্ত্রী মওলানা নিজামি ও শহীদ মুজাহিদ সাহেব বুক ফুলিয়ে বলতে পেরেছিলেন "আমার মন্ত্রণালয়ে কেউ দুই পয়সার দুর্নীতির প্রমাণ কেউ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
জামায়াত-শিবিরের এই সততার মূল কারণ তাদের আল্লাহ্ভীতি। তারা কুরআন-সুন্নাহর মূলমন্ত্র হৃদয়ে গেঁথেছেন বলে পাপ কাজ করতে তাদের বিবেকে বাঁধে।
শুধু আইন সমাজে ন্যায়, ইনসাফ কায়েম করতে পারেনা। পারেনা দুর্নীতি রুখতে। একমাত্র সত্যিকারের তাকওয়াই পারে ইনসাফ ভিত্তিক দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন