মূর্তি বানায় যারা, মূর্তি ভাঙ্গে তারা।
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ২২ অক্টোবর, ২০১৫, ০৫:০৬:০৫ বিকাল
"মূর্তি ভাঙ্গাও একটা রাজনীতি" আর এই রাজনীতির স্বীকার মুসলিমরা। ফায়দা লুটে ইমরানেরা।
* সারা দেশে যত মূর্তি ভাঙ্গার যত নিউজ পাওয়া যায় তার সবগুলো ভাঙ্গা হয় প্রত্যন্ত গ্রামে।
* তাও হিন্দু বাড়ির সামনের মন্দিরে।
* কে ভাঙ্গে তারা কেউ দেখে না।
* তাই নিউজটা হয় এমন, "রাতে অন্ধকারে কে বারা কারা ভেঙ্গে চলেযায়"!
* কখনো শুনি নাই শহরের কোন মন্দিরে হামলা চালাতে, মূর্তি ভাঙ্গতে।
* অথচ শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ পরস্পর পরস্পরকে চিনে, যেন একে অন্যের আপনজন। তাদের দৈনন্দিন উঠাবসাও এক সাথে।
তাহলে এই সব মূর্তি ভাঙ্গে কে? কি তাদের উদ্দেশ্য।
* আবার এই মূর্তি ভাঙ্গার সাথে একটা রাজনীতি সম্পর্কে আছে। যেমন বিএনপি জামায়াত যদি কোন জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলে, কিংবা আওয়ামিলীগ বেকায়দায় পড়ে তখনি প্রত্যন্ত গ্রামে এইসব মূর্তি ভাঙ্গার নিউজ পাওয়া যায়। তখন সরকারের অনুগত মিডিয়াগুলো ফলাও করে এইসব নিউজ প্রচার করে। তাদের নিউজের ধরনটা এমন-
* বিএনপি/জামায়াতের আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তরা মন্দিরে হামলা চালায়।
* বিএনপি/জামায়াতের হরতালের সময় এই মূর্তিগুলো ভাঙ্গা হয়।
* জামায়াত নেতাদের ফাঁসির রায়/ রায় কার্যকরের দিনই প্রত্যন্ত গ্রামে মূর্তি ভাঙ্গার নিউজ পাওয়াগেছে।
তারা মূর্তিভাঙ্গার নিউজের সাথে বিএনপি জামায়াতের নাম এমনভাবে জড়িয়ে দেয়, দেখে মনে বিএনপি জামায়াতের যত আন্দোলন মূর্তিভাঙ্গার জন্য। শেষ পর্যন্ত নিউজের ফোকাস চলে যায় আন্দোলন থেকে ভাঙ্গামূর্তির দিকে। শুরু হয় পাল্টা মানববন্ধন, মিছিল মিটিং, বিবৃতি, সভা-সেমিনার, টকশো এই ভাঙ্গা মূর্তিকে ঘীরেই। শেষ পর্যন্ত বিএনপি জামায়াতের আন্দোলন থমকে যায়, ভাঙ্গা মূর্তিরই জয় হয়, জয় হয় আওয়ামিলীগেরও।
* একবার পাকিস্তান আমলে সে সময়ের বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বাঁশখালিতে হঠাৎ করে এক মন্দিরে অগ্নি কান্ডের নিউজ পাওয়া গিয়েছিল। মিডিয়া প্রচার করেছিল এটা সাম্প্রদায়িক হামলা। তা নিয়ে সে সময়ের আওয়ামিলগ ভালই রাজনীতি করেছিল, ফলে পাকিস্তান সরকার বেকায়দায় পরে যায়। পরে তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে মন্দিরের পুরহিত নিজেই আগুন দিয়েছিলেন, কারণ তার মন্দির ছিল অনেক পুরনো আর ভঙ্গুর। সাম্প্রদায়িক হামলায় পুড়ানো হয়েছে বলে প্রচার পেয়ে যদি কিছু ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়, এই আশায়।
* গত বিএনপির আমলে একটা ঘটনা হাতে নাতে ধরে পরে, দুইজন লোক দাড়ি টুপি পড়ে হিন্দুর পোষাক ধুতি পরা এক লোকে চাপাতি দিয়ে হত্যার অভিনয় করছে, এইসব ভিডিও করছে আরেকজন হিন্দু, অভিনয়টা হচ্ছিল এক গোয়াল ঘরে। পুরো ঘটনাই দেখে ফেলে এক কিশোর, পরে সে এলাকা বাসীকে জানিয়ে দেয়, এলাকাবাসী তাদেরকে হাতে নাতে ধরে পুলিশে দেয়। শেষ পর্যন্ত তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছিল যে, 'বিদেশে "রাজনৈতিক আশ্রয়" পাওয়ার জন্য তারা "হিন্দুদের উপর মুসলিমের" "নির্যাতনের" এই ডকুমান্টারিটা তৈরি করছিল।'
* কিছুদিন আগে আমার এক হিন্দু কলিগ স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে, বাংলাদেশ থেকে যত হিন্দু দেশ ছেড়ে ইন্ডিয়াতে যায় তারা সবাই ধনী হিন্দু, এখানে তারা যখন প্রচুর অর্থের মালিক হয় তখন সব কিছু বিক্রি করে ইন্ডিয়াতে সেটেল্ট হয়। সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়, বলে তারা সাম্প্রদায়িক হামলার স্বীকার। সে এইও স্বীকার গেছে যে তাদের নাকি রেকর্ডে নেই কোন দরিদ্র হিন্দু যেমন জেলে, কামার, কুমার, নাপিত তথা নিম্ন বর্ণের কেউ ইন্ডিয়াতে চলেগেছে। অথচ পত্র-পত্রিকায় প্রত্যন্ত গ্রামে এইসব নির্ম বর্ণের হিন্দুদের উপর হামলার নিউজ ফলাও করে প্রচার করে।।
তাহলে মন্দিরে হামলা, মূর্তি ভাঙ্গা, হিন্দু নির্যাতন এইসব প্রচার করছে কারা কি তাদের উদ্দেশ্য?
* যদি বাংলাদেশে সত্যি হিন্দু নির্যাতন হত তাহলে তারা মাত্র ৭% হয়েও সরকারি চাকুরির ৫০ ভাগ দখল নিতে পারত না। ইন্ডিয়াতে ১৮% মুসলিম সরকারি চাকুরিতে সুযোগ পায় মাত্র ২%।।
* যদি বাংলাদেশে সত্যি হিন্দু নির্যাতন হত তাহলে দেশে প্রধান বিচার প্রতি থেকে শুরু করে প্রত্যেক থানার একজন করে এসআই হিন্দু হত না। ইন্ডিয়াতে মুসলিমদের এত পাওয়ার দেওয়া কল্পনাও করা যায় না।
* যদি বাংলাদেশে মুসলিম নির্যাতন হত তাহলে সুরঞ্জির সেন প্রকাশ্যে মুসলিমদের ট্রেট দিয়ে বলত পারত না, "যদি ধার্মিক হন, তাহলে এই দেশ ছেড়ে চলে সৌদি আরবে চলে যান।" যেমন ইন্ডিয়াতে বলছে গরুর গোস্ত খেতে চাইলে ইন্ডিয়া ছেড়ে মুসলিম দেশে চলে যেতে।
সুতরাং ফায়দা লুটার জন্য এইসব ভন্ডামি বন্ধ করুন।
বিষয়: বিবিধ
২০১৫ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমারও তাই মনে হয়।
বাকি সব মিডিয়ার কারসাজী।
হিন্দুরা এদেশের খেয়ে , এদেশে কামাই করে ডিম পাড়ে ভারতে । তারা কখনই বাংলাদেশকে আপন মনে করে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন