অভিধানগুলোতে ‘হিন্দু’ শব্দটির বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর অর্থ আছে। আসুন,এ শব্দটির কিছু অর্থ দেখি----

লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ০৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:০৩:২২ রাত

(নয়ন চ্যাটার্জি)

১. হিন্দু বা হিদেন-এর সহজ বাংলা অর্থ হচ্ছে- অধার্মিক, নিম্নস্তরের ধর্মাবলম্বী জাতিভুক্ত ব্যক্তি, অসভ্য বা বর্বর ব্যক্তি, রুক্ষ, নিষ্ঠুর, ম্লেছ প্রভৃতি। (সূত্র : Samsad English-Bangali Dictorery, Fifth edition, 1976, p. 504)

২. হিন্দু শব্দের অর্থ- অবিশ্বাসী, দাস ও ক্রীতদাস। (সূত্র : ফার্সী অভিধান হাফত কুলযুম, ৩য় খ-, পৃ-৯৮)

৩. হিন্দু শব্দের অর্থ- চোর, চৌকিদার, দাস ও ক্রীতদাস। এখানে আরো উল্লেখ আছে ভারতের বাসিন্দাদের হিন্দি বলা হয়; হিন্দু নয়। (সূত্র : ফার্সী অভিধান বাহরে আযম, ২য় খন্ড, পৃ-৪৯৭)

৪. হিন্দু শব্দের অর্থ- চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী ও গোলাম। (সূত্র : ফার্সী অভিধান- লোগাতে কিশওয়ারী, পৃ. ৮২১- ২২)

সে যাই হোক, নামে কি বা আসে যায়। নামে নয় কাজেই হোক পরিচয়। তবে সত্যি বলতে হিন্দুদের জাতিগত কিছু আচরণ বা কাজ প্রায়শঃই আমাকে অবাক করে দেয়।

আমি ভাবি, “আচ্ছা ! তাদের অন্তরে দয়া-মায়া বলে কি কিচ্ছু নাই ? এত নিষ্ঠুর কেন তারা ?

যে বাবা-মা দিনের পর দিন খাওয়ালো, দিনের পর দিন পরালো, দিনের পর দিন আদর-যত্ন করলো, তারা মারা যাওয়ার পর তাদের মুখে আগুন দেয় কিভাবে ?”

শুধু কি আগুন ? আগুন দেওয়ার সাথে সাথে যখন রগ টানা লেগে মৃতদেহ দাড়িয়ে যায়, তখন লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে সজোরে শুরু হয় পেটানো, পিটিয়ে পিটিয়ে হাড় গোর একাকার করা, মাথার খুুলি ফাটিয়ে দু’টুকরো করা, এ কেমন অমানবিকতা ?এ কেমন অসভ্যতা, এ কেমন অত্যাচার ?

আজকে দেখলাম, ভারতীয় সংসদে গরুর জন্য ভালোবাসায় মরিয়া হয়ে উঠেছে হিন্দু এমপিরা। গো-মাতার জন্য মুসলিম এমপিদের সংসদের মধ্যেই ধরে ধরে পেটাচ্ছে তারা (https://goo.gl/7kCjYF)।

তবে, সব ভালোবাসা কি শুধু গো-মাতার জন্যই ? নিজ বাবা-মা’র জন্য কি কোন ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই ? যদি ভালোবাসা থাকেই, তবে কি করে বাবা-মা’র মুখে আগুন দেয়া যায়, কিভাবে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাড়-গোর একাকার করা যায় ?

একারণেই আমি যখন গুজরাটে গণহত্যা দেখি, মুজাফফরনগরে গণহত্যা দেখি, বাবরী মসজিদ নিয়ে গণহত্যা দেখি, তখন অবাক হই না।

কেবল একটি কথাই ভাবি, যারা জাতিগত নিষ্ঠুর, জাতিগত বর্বর, জাতিগত অত্যচারি তাদের পক্ষেই কেবল এধরনের গণহত্যা ঘটানো সম্ভব। যারা নিজ বাবা-মাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা দু’ভাগ করতে পারে, তাদের দ্বারা দুনিয়ায় আর অসাধ্য বলে কিছু থাকে না।

লেখার শেষে এসে, শুরুতে উল্লেখিত হিন্দু শব্দের অর্থগুলোর দিকে আবার তাকান, দেখুন-

হিন্দু = অসভ্য, হিন্দু = বর্বর, হিন্দু = রুক্ষ , হিন্দু = নিষ্ঠুর।

আর কিছু বলার নাই।

বিষয়: বিবিধ

১৯০৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

345095
০৯ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০২:০৪
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : আসলেই কি তাই!
০৯ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০২:১৮
286348
বিভীষিকা লিখেছেন : আসলে তাই।
345112
০৯ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:১৩
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : ভালো লাগলো
345116
০৯ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:৪৬
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আর কিছু বলার নাই।
345382
১২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৯:২১
হতভাগা লিখেছেন : এরা খুবই নিঁচু মনের হয়

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File