টাকা চুরির অপরাধে অভিনেতা পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ০৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:৩৪:৫২ রাত
(নয়ন চ্যাটার্জি)
সম্প্রতি এফডিসির টাকা চুরির অপরাধে অভিনেতা পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। (http://goo.gl/oFrEqt)
পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের অভিনয় ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি পরিচয় আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ব্যয়বহুল পূজা মণ্ডপ গুলশান-বনানী পূজা মণ্ডপের অন্যতম পৃষ্ঠেপোষক হচ্ছে পীযূষ ও তার স্ত্রী জয়শ্রী কর জয়া। সাম্প্রতিক এফডিসিতে তার দুর্নীতির খবর প্রচারিত হওয়ায় একটাই সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে, বাংলাদেশের কতটাকা চুরি করে পীযূষ ও তার স্ত্রী বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদের প্রচারে লাগিয়ে ছিলো ?
পীযূষ আরেকটি ঘটনা ঘটানোর জন্য সবার কাছে পরিচিত। সেটা হলো মুসলিমদের ধর্মীয় অনুতূতিতে খাটো করে লেখা একটি কবিতা পাঠ করেছিলো পীযূষ বন্দোপাধ্যায়। যেই কবিতার মুসলিম হুজুরদের মদে অন্ধ, মোল্লা-মৌলভী, ধরিবাজ, ঢ্যামনা ইত্যাদি নানান গালি দিয়ে তাদের বন্দে মাতরম পাঠ করতে বলেছিলো সে। আসুন কবিতাটির কিছু অংশ একবার পড়ে নেই--
বিপ্লুত বাংলাদেশ
মৌলবাদীর দেশ
এদেশে পানিকে জল,
জিন্দাবাদকে জয় বলা যাবে না
বললে সর্বনাশ,
একেবারে ধর্মনাশ!
কাফের, মুরতাদ, ধর্মদ্রোহী বলে
ফতোয়া দেবে মোল্লা মৌলভী
কপট ধার্মিক ধর্ম নিয়ে করে ধামালি
সামান্য ছুতা ধরে ধনুজ ধর্মদ্রোহী মতান্ধরা
ধর্মের শ্রীবৃদ্ধি করাই তাদের একমাত্র মোরাল
এসব শুনে মোল্লা মৌলভী মদান্ধ হয়ে বলে
..........................................
ছি ছি ছি হে পশ্চাৎপদ মোল্লা মৌলভী
তোরা কবে হবি বিজ্ঞানমুখী
ঢন ঢন ঢন ঢ্যাপসা
হে ধড়িবাজ ধর্মপাল
ঢাঙাতি করে কতকাল কাটাবি আর?
হে মোল্লা মৌলভী
আর নয় ঢাঙাতি
এসো আলোর পথে
এসে আলোর দিকে মুহম্মদ ইউনূসের মতো
তুর্যধ্বনি দিয়ে বল
হে বাংলা মা, বন্দে মাতরম
.....................................
বিষীর্ণ বাংলাদেশ
মৌলবাদীর দেশ
এদেশে বিপদে পড়লেই
বিধর্মী থেকে সাহায্য নেয়া যাবে
মুক্ত হয়ে বিধর্মীকে
বিক্রম বলা যাবে না
ধন্যবাদও বলা যাবে না
সাড়ে তিন হাজার প্রাণ, এক কোটি শরনার্থী
সৈন্য দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে, অর্থ দিয়ে, অন্ন দিয়ে
দীর্ঘ নয় মাস অসীম সাহস দিয়ে
বেজন্মা টিকা ইয়াহিয়ার গদিতে লাথি মেরে
যারা সাহায্য করেছে তাদেরকে বন্ধু বলা যাবে না
বললে সর্বনাশ, একেবারে ধর্মনাশ
কাফের, মুরতাদ, ধর্মদ্রোহী,
ভারতের দালাল বলে ফতোয়া দেবে মোল্লা মৌলভী
যারা ধর্ম নিয়ে করে ধামালি
অথচ, তারা হলেন ধর্মাচার্য
ধর্মের শ্রীবৃদ্ধি করাই তাদের
একমাত্র কার্য্য
এসব শুনে মোল্লা মৌলভী বলে, ধুত্তুরি
তোর মোরাল দাউ দাউ দাউ,
আমাদের খুশি না করে চললেই
ফতোয়া দেব মুরতাদ
ছি ছি ছি হে পশ্চাৎপদ মোল্লা মৌলভী
তোরা কবে হবে বিজ্ঞানমুখী
ঢন ঢন ঢন ঢ্যাপসা হে ধড়িবাজ ধর্মপাল
ধাঙাতি করে আর কতকাল কাটাবি আর?
আর নয় ঢাঙাতি
এসে আলোর দিকে মুহম্মদ ইউনূসের মতো
তুর্যধ্বনি দিয়ে বল
হে বাংলা মা, বন্দে মাতরম
......................
ধর্মান্ধরা উন্মত্ত হয়ে
অসুরের মতো বেসুরে বলে ওঠে
হে কাফের মুরতাদ,
একেবারে চুপ থাক
..........................
হে মদান্ধগণ,
আমার সুবর্ণ ধর্মকে
আর করিস না বিবর্ণ
(পুরো কবিতাটি পীযুষের নিজ মুখে শুনতে:https://goo.gl/eEJU0h)
তবে পীযূষের স্ত্রী জয়স্ত্রী কর জয়ার কারণেও তাকে অনেকে মনে রাখবে পীযূষকে। পীযূষের স্ত্রী একবার তার ফেসবুক পেইজে কুকুরের গায়ে বাংলাদেশের পতাকা জড়িয়ে ছবি তুলেছিলো। অপরদিকে ভারতের পতাকা জড়িয়েছিলো নিজ বুকে।
(http://www.banglasongbad24.com/content/news/23027)
পীযূষ ও তার স্ত্রী যে একটি হীন চরিত্রের অধিকারী, তা আগেই সবাই অনুমান করেছিলো। এবার হাতেনাতে ধরা খেলো সেই পীযূষের কুর্কীতি। তবে আগের কূকীর্তিগুলোর জন্য অবশ্যই পীযূষ ও তার স্ত্রী শাস্তি হওয়া উচিত।সম্প্রতি এফডিসির টাকা চুরির অপরাধে অভিনেতা পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। (http://goo.gl/oFrEqt)
পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের অভিনয় ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি পরিচয় আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ব্যয়বহুল পূজা মণ্ডপ গুলশান-বনানী পূজা মণ্ডপের অন্যতম পৃষ্ঠেপোষক হচ্ছে পীযূষ ও তার স্ত্রী জয়শ্রী কর জয়া। সাম্প্রতিক এফডিসিতে তার দুর্নীতির খবর প্রচারিত হওয়ায় একটাই সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে, বাংলাদেশের কতটাকা চুরি করে পীযূষ ও তার স্ত্রী বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদের প্রচারে লাগিয়ে ছিলো ?
পীযূষ আরেকটি ঘটনা ঘটানোর জন্য সবার কাছে পরিচিত। সেটা হলো মুসলিমদের ধর্মীয় অনুতূতিতে খাটো করে লেখা একটি কবিতা পাঠ করেছিলো পীযূষ বন্দোপাধ্যায়। যেই কবিতার মুসলিম হুজুরদের মদে অন্ধ, মোল্লা-মৌলভী, ধরিবাজ, ঢ্যামনা ইত্যাদি নানান গালি দিয়ে তাদের বন্দে মাতরম পাঠ করতে বলেছিলো সে। আসুন কবিতাটির কিছু অংশ একবার পড়ে নেই--
বিপ্লুত বাংলাদেশ
মৌলবাদীর দেশ
এদেশে পানিকে জল,
জিন্দাবাদকে জয় বলা যাবে না
বললে সর্বনাশ,
একেবারে ধর্মনাশ!
কাফের, মুরতাদ, ধর্মদ্রোহী বলে
ফতোয়া দেবে মোল্লা মৌলভী
কপট ধার্মিক ধর্ম নিয়ে করে ধামালি
সামান্য ছুতা ধরে ধনুজ ধর্মদ্রোহী মতান্ধরা
ধর্মের শ্রীবৃদ্ধি করাই তাদের একমাত্র মোরাল
এসব শুনে মোল্লা মৌলভী মদান্ধ হয়ে বলে
..........................................
ছি ছি ছি হে পশ্চাৎপদ মোল্লা মৌলভী
তোরা কবে হবি বিজ্ঞানমুখী
ঢন ঢন ঢন ঢ্যাপসা
হে ধড়িবাজ ধর্মপাল
ঢাঙাতি করে কতকাল কাটাবি আর?
হে মোল্লা মৌলভী
আর নয় ঢাঙাতি
এসো আলোর পথে
এসে আলোর দিকে মুহম্মদ ইউনূসের মতো
তুর্যধ্বনি দিয়ে বল
হে বাংলা মা, বন্দে মাতরম
.....................................
বিষীর্ণ বাংলাদেশ
মৌলবাদীর দেশ
এদেশে বিপদে পড়লেই
বিধর্মী থেকে সাহায্য নেয়া যাবে
মুক্ত হয়ে বিধর্মীকে
বিক্রম বলা যাবে না
ধন্যবাদও বলা যাবে না
সাড়ে তিন হাজার প্রাণ, এক কোটি শরনার্থী
সৈন্য দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে, অর্থ দিয়ে, অন্ন দিয়ে
দীর্ঘ নয় মাস অসীম সাহস দিয়ে
বেজন্মা টিকা ইয়াহিয়ার গদিতে লাথি মেরে
যারা সাহায্য করেছে তাদেরকে বন্ধু বলা যাবে না
বললে সর্বনাশ, একেবারে ধর্মনাশ
কাফের, মুরতাদ, ধর্মদ্রোহী,
ভারতের দালাল বলে ফতোয়া দেবে মোল্লা মৌলভী
যারা ধর্ম নিয়ে করে ধামালি
অথচ, তারা হলেন ধর্মাচার্য
ধর্মের শ্রীবৃদ্ধি করাই তাদের
একমাত্র কার্য্য
এসব শুনে মোল্লা মৌলভী বলে, ধুত্তুরি
তোর মোরাল দাউ দাউ দাউ,
আমাদের খুশি না করে চললেই
ফতোয়া দেব মুরতাদ
ছি ছি ছি হে পশ্চাৎপদ মোল্লা মৌলভী
তোরা কবে হবে বিজ্ঞানমুখী
ঢন ঢন ঢন ঢ্যাপসা হে ধড়িবাজ ধর্মপাল
ধাঙাতি করে আর কতকাল কাটাবি আর?
আর নয় ঢাঙাতি
এসে আলোর দিকে মুহম্মদ ইউনূসের মতো
তুর্যধ্বনি দিয়ে বল
হে বাংলা মা, বন্দে মাতরম
......................
ধর্মান্ধরা উন্মত্ত হয়ে
অসুরের মতো বেসুরে বলে ওঠে
হে কাফের মুরতাদ,
একেবারে চুপ থাক
..........................
হে মদান্ধগণ,
আমার সুবর্ণ ধর্মকে
আর করিস না বিবর্ণ
(পুরো কবিতাটি পীযুষের নিজ মুখে শুনতে:https://goo.gl/eEJU0h)
তবে পীযূষের স্ত্রী জয়স্ত্রী কর জয়ার কারণেও তাকে অনেকে মনে রাখবে পীযূষকে। পীযূষের স্ত্রী একবার তার ফেসবুক পেইজে কুকুরের গায়ে বাংলাদেশের পতাকা জড়িয়ে ছবি তুলেছিলো। অপরদিকে ভারতের পতাকা জড়িয়েছিলো নিজ বুকে।
(http://www.banglasongbad24.com/content/news/23027)
পীযূষ ও তার স্ত্রী যে একটি হীন চরিত্রের অধিকারী, তা আগেই সবাই অনুমান করেছিলো। এবার হাতেনাতে ধরা খেলো সেই পীযূষের কুর্কীতি। তবে আগের কূকীর্তিগুলোর জন্য অবশ্যই পীযূষ ও তার স্ত্রী শাস্তি হওয়া উচিত।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এ টাকা উনি ভারতে পাচার করতেন নিশ্চিত ।
ইদানিং হিন্দুদের রথ যাত্রা সহ বিভিন্ন শোভা যাত্রার শো-ডাউন বেশ চোখে লাগছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন