পূজা হবে ঘরে ঘরে, ঈদ হবে অনেক দূরে............।(১ম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:০৬:০১ সন্ধ্যা
(নয়ন চ্যাটার্জি)
সিলেট শহরে কোন অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমতি দেয়নি সিলেট সিটি কর্পোরেশন !!
কিন্তু সিলেট শহরে তো ঢাকার মত যানজট নেই, তবে হাট নিয়ে কেন এত চুলকানি ?
----------------------------------------------------------------------
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান, ‘সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এবার কোনো পশুর হাট বসবেনা। বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসন ও মহানগর পুলিশকে অবহিত করেছি।’
জানা যায়, গত কয়েক বছর যাবত মন্ত্রনালয়ের চাপে হাট নিয়ে বেশ গড়িমশি শুরু করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। ব্যক্তি মালিকাধিন কাজিরবাজার স্থায়ী পশুর হাট ছাড়া অন্য কোন স্থায়ী পশুর হাটের অনুমতি দিচ্ছে না তারা। গত বছর নিউজিল্যান্ড দলের টি-টুয়েন্টি সফর উপলক্ষে সিলেট শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এ অজুহাতে কোন অস্থায়ী পশুর তৈরী করতে দেয়নি সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র। কিন্তু পাবলিকের কোরবানীর সময় পশুর চাহিদা থাকে তুঙ্গে, তাই এক হিসেবে জোর করে প্রশাসনের নিয়ম ভেঙ্গে ১০টি স্থানে পশু কেনাবেচা শুরু দেয় সিলেটবাসী। বিষয়টি নিয়ে সিলেট শহরের জনগণ ও প্রশাসনের মধ্যে ব্যাপক কলহেরও সৃষ্টি হয়। তবে এবার কোন প্রকার ছাড় দিতে রাজি নয় সিলেট প্রশাসন।
-------------------------------------------------------------
আসলে হাটের সংখ্যা হ্রাসের বিষয়টি বাংলাদেশের মানুষ এখনও বুঝতেই পারেনি। ঢাকা শহরে হাটের সংখ্যা হ্রাসের পেছনে যানজট দাড় করালেও সিলেটে সে সুযোগ নেই।
আসলে সব কিছুর মূল উদ্দেশ্য কোরবানী বন্ধ করার দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যান----
--এর একটি অংশ হচ্ছে মানুষকে পশু কিনতে নিরুৎসাহিতকরণ,
-- সে জন্য প্রয়োজন পশুর হাটগুলো হ্রাস করা এবং দূরে সরিয়ে দেওয়া
--এতে কষ্টের দরুণ মানুষ ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কোরবানীর প্রতি নিরুৎসাহিত হবে।
সিলেটে ধর্ম প্রচারক শাহজালালের সাথে হিন্দু রাজা গৌরগোবিন্দের দ্বন্দ্বের সূচনা ছিলো গরু কোরবানী বন্ধ করা নিয়ে। হয়ত গৌরগোবিন্দের প্ল্যান নতুন করে বাস্তবায়ন করতে চাইছে কেউ।
সবাইকে লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
খবরের সূত্র:
১) http://jugabheri.com/single.php?id=14575
২) http://www.sylhetexpress.com/news/details.php?id=42697
বিষয়: বিবিধ
৯০৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশের মুসলমানেরা যদি নিজেদের ধর্মের ব্যাপারে সচেতন হয় , বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে গিয়ে আনন্দ করা থেকে বিরত থাকার আবশ্যকতা বুঝতে শেখে তাহলে হিন্দুদের পূঁজা খুব একটা লাইম লাইটে আসবে না ।
এটা সব বাংলাদেশী মুসলমানকে বুঝতে হবে যে , পরকালে আল্লাহর সামনে যখন সে দাঁড়াবে তখন তার একমাত্র পরিচয় হবে সে মুসলমান কি না । সে কি পুরুষ না নারী , ধনী না গরীব , ফকির না বাদশাহ ... এ সব কোন কিছুই বিবেচনায় আসবে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন