সমালোচনা হজম করতে শিখুন ভাইরা, এটা এক প্রকার নেয়ামত !!
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ০৯ আগস্ট, ২০১৫, ০২:২৬:০৬ দুপুর
(Apu Ahmed)
ইদানিং ফেসবুকের কিছু বন্ধুরা জামায়াতের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করে পোষ্ট দিচ্ছেন। তাদের পোষ্টগুলিতে সক্রিয়, নিস্ক্রিয় জামায়াত কর্মীরা অত্যান্ত রূঢ় ভাষায় গালাগাল করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ যুক্তি দিয়ে সমালোচককে খ্যান্ত করার চেষ্টা করছেন। ব্যক্তিগত আক্রমন করে কেউ কেউ মনের ক্ষোভ মিটাচ্ছেন। যারা এসব করছেন তারা সংগঠনের ভাবমুর্তি নষ্ট করছেন। জামায়াতের টপ লিডারদেরকে কাফের, গোমরা, ফাসেক ইত্যাদি নামে অবহিত করার পরেও তারা কারো বিরুদ্ধে সামান্য মুখ খুলেননি। কারো বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমন করে কথা বলেননি। আপনি সামান্য কর্মী হয়ে এমনটি করছেন, তার মানে সংগঠনের মনোভাব বুঝতে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে এটা তো সত্য যে, কারা আন্তরিকতার সাথে শুভাকাংখীর বেশে জামায়াতের সমালোচনা করছে সেটা তাদের লেখার ভাষা থেকেই বুঝা যায়। এর জন্য আলাদা থিসিসের প্রয়োজন পড়ে না। আন্তরিকতার সাথে যে কোন সমালোচনাকে মাথা পেতে নিতে হবে। সমালোচনার ভিত্তি মজবুত হলে, দলিল প্রমাণের ক্ষেত্রে যুক্তির চাইতে শরীয়াতের হুকুমের প্রাধান্য থাকলে সাথে সাথে সমালোচকের কথাকে আমলে নিয়ে যাচাই বাছাই করতে হবে। প্রয়োজনে ভুল স্বীকার করে নিজের কাজকে সংশোধন করতে হবে। এতে সংগঠন কোন হিজিটেশান ফিল করতে পারবে না। তাহলে ভয়াবহ ফেতনা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।
জামায়াতের সমালোচনা করা যাবে না বা জামায়াতের কোন নেতার কথা, কাজ, বক্তৃতা বিবৃতির প্রতিবাদ করা যাবে না, এমন কোন ট্রান্ড্যান্সী জামায়াতের ভিতর লালন করা হয় বলে আমার জানা নেই। যারা এরকম উগ্র মনোভাব দেখান, তাদের জ্ঞানের ওপর আমার করুনা হয়। আমি মনে করি, তাদের আরো ভালো করে অধ্যায়ন করা উচিত। আবেগের বশে সংগঠনে পা দিয়ে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করা হচ্ছে। জামায়াতই একমাত্র সংগঠন যেখানে টপ টু বটম স্লিপ দিয়ে সময় দেওয়া হয় সংগঠনের কাজের, চিন্তার, নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করে প্রশ্ন করার জন্য। এটা ঘরে ভাইরে সব জায়গায় হতে পারে। যাদের সুযোগ আছে তারা যথাযথ জায়গায় উপস্থান করবেন, যাদের সুযোগ নেই তারা ওপেন প্লেসে বলতে পারেন যাতে সক্রিয় নেতাকর্মীরা সেটা যথাযথ জায়গায় পৌছে দিতে সক্ষম হন।
আমি তো মনে করি, সমালোচনাকে স্বাগতম জানানো উচিত, কোন কোন ক্ষেত্রে সমালোচনার জন্য সাংগঠনিক ভাবে ঘোষনা দিয়ে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা উচিত। সমালোচকদের ডেকে এনে এক বেলা পেট ভরে আহার করানো উচিত। তাদের বলা উচিত, ভাই তোমরা তোমাদের হাত গুটিয়ে রেখো না, কাজ চালিয়ে যাও। তোমরা হলে আমাদের সংগঠনের দেয়ালে জমে থাকা চিন্তা আর কর্মপদ্ধতির নামে ভুলে ভরা আবর্জনা পরিস্কারের জন্য বিনা বেতনের ক্লিনার। তোমরা যতদিন থাকবে, ততদিন আমরা ভুল পথে পা দিতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হবো। আশা করছি তোমরা তোমাদের কাজ চালিয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
১১০০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
-ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক সুন্দর পোস্ট। তবে কী ধন্যয়ন করবে ক্লিয়ার করা হয়নি।
তাদেরকে ঘায়েল করার জন্য ৭১ এ পলায়নকারী ও স্বেচ্ছায়গৃহ বন্দিরা এখন যে চেতনার কথা বলে সাইজকরছে , মাফ চাওয়ার ফলে মানুষের যে নেগেটিভ এটিচ্যুড জামায়াতের প্রতি ছিল তা কমে আসতো এবং যারা সে সময়ে যুদ্ধে না গিয়ে পালিয়ে বড়িয়েছিল এবং স্বেচ্ছায়গৃহবন্দী থেকে লেফট রাইট করে এখন বিশা....ল চেতনা বাজ হয়ে আছে - মানুষ তখন উল্টো তাদেরকে চার্জ করা শুরু করতো যে তারা কেন পালিয়ে গিয়েছিল বা বাসায় বসেছিল?
এই সুযোগটা জামায়াত হারিয়েছে
মন্তব্য করতে লগইন করুন