নাস্তিকদের কারণে হত্যার পরিমাণ কতখানি ?

লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ২৩ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৬:২৬:৫১ সন্ধ্যা

(ওমর জাবির)

Encyclopedia of Wars নামের তিন খণ্ডের এক বিশাল বইয়ে ১৭৬৩টি যুদ্ধের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। এর মধ্যে ১২৩টি যুদ্ধকে ধর্ম সম্পর্কিত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার অর্থ এই পর্যন্ত যত যুদ্ধ হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ৬.৯৮% যুদ্ধ ধর্ম সম্পর্কিত। ৯৩% যুদ্ধের সাথে ধর্মের কোনোই সম্পর্ক নেই।

J. Rummel এর বিখ্যাত Lethal Politics এবং Death by Government বইয়ে দেখানো হয়েছে, নাস্তিকদের কারণে হত্যার পরিমাণ কতখানি—

Non-Religious Dictator Lives Lost

Joseph Stalin 42,672,000

Mao Zedong 37,828,000

Adolf Hitler 20,946,000

Chiang Kai-shek 10,214,000

Vladimir Lenin 4,017,000

Hideki Tojo 3,990,000

Pol Pot 2,397,000

Rummel বলেন—

প্রায় ১৭ কোটি পুরুষ, মহিলা এবং শিশুকে গুলি করে, পিটিয়ে, নির্যাতন করে, কুপিয়ে, পুড়িয়ে, অভুক্ত রেখে, বরফে জমিয়ে, পিষে বা জোর করে কাজ করিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। জীবন্ত পুঁতে, পানিতে ডুবিয়ে, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে, বোমা মেরে, বা অন্য আরও নানা পদ্ধতি ব্যবহার করে সরকারগুলো নিরস্ত্র, অসহায় দেশবাসী এবং বিদেশীদের হত্যা করেছে। মোট মৃতের সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। মানব জাতি যেন এক কালো মহামারির শিকার। কিন্তু এই মহামারি কোনো জীবাণু থেকে সৃষ্ট মহামারি নয়, বরং শক্তির মোহ থেকে সৃষ্ট মহামারি।

১৯৮০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যানে অ্যামেরিকাতে মাত্র ৬% আক্রমণ হয়েছে মুসলিম চরমপন্থিদের দ্বারা, বাকি ৯৪% আক্রমণ হয়েছে ল্যাটীনো, বামপন্থি চরমপন্থি, ইহুদি চরমপন্থি, কম্যুনিস্ট, এবং অন্যান্য সংগঠন দিয়ে। [http://www.globalresearch.ca/non-muslims-carried-out-more-than-90-of-all-terrorist-attacks-in-america/5333619]

একইভাবে ইউরোপে ৯৯.৬% আক্রমনের পেছনে কোনো মুসলিম দলের হাত নেই। যেমন, ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮ সালের ইউরোপের পরিসংখ্যানে: পাঁচটি আক্রমণ ইসলাম চরমপন্থীদের দ্বারা, আর বাকি ১,৫৮৯টি আক্রমণ বিভিন্ন অমুসলিম, সেক্যুলার দলের দ্বারা। এই পরিসংখ্যানগুলো ইউরোপের সরকারি পরিসংখ্যান থেকে নেওয়া। বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন: http://www.loonwatch.com/2010/01/terrorism-in-europe/

শুধু তাই না, আমেরিকার সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে: ধর্ম সম্পর্কিত আক্রমণে ৮২%-৯৭% হতাহত হচ্ছে মুসলিমরাই!

The claim is similar to one in a 2011 report by the US government’s National Counter-Terrorism Center (NCTC), which said: “In cases where the religious affiliation of terrorism casualties could be determined, Muslims suffered between 82 and 97% of terrorism-related fatalities over the past five years.” [http://www.bbc.co.uk/news/magazine-30883058]

দুঃখজনকভাবে আজকে আধুনিক যুগের মানুষরা মিডিয়ার গণমগজ ধোলাইয়ের শিকার। মিডিয়া বেশিরভাগ মানুষকে সফলভাবে বোঝাতে পেরেছে যে, যত মারামারি, খুনাখুনি, হত্যা হয়, তার বেশিরভাগ হয় ধর্মের কারণে। ধর্ম না থাকলে মানুষ অনেক শান্তিতে বাস করতে পারত। মিডিয়ার নানা ধরনের মগজ ধোলাইয়ের শিকার হয়ে মানুষ এতটাই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়ে গেছে যে, তারা ভালো করে জানে: মিডিয়া যা বলে, তার বেশিরভাগই উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বিকৃত, কিন্তু তারপরেও তারা মিডিয়াকেই বিশ্বাস করে, যখন তা ধর্মের ব্যাপারে কিছু বলে।

বিষয়: বিবিধ

১৯৩০ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

301442
২৩ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৪
সজল আহমেদ লিখেছেন : মজার ব্যাপার এই ৯৩% এর মধ্যেই আবার সব বড় বড় যুদ্ধ গুলো সংগঠিত হয়েছে নাস্তিক ,স্যেকুলার রাষ্ট্র দ্বারা ।যেমন ধরুন ,১ম,২য় ও ৩য় বিশ্বযুদ্ধ ।
কই এখানে মুক্তিযুদ্ধের কন্যা ওরফে রাজাকারের লাদীর ম্যাত্‍কার দেখতেছিনা কেন ?
কোথায় গেল সে ?
২৩ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:২৭
243848

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : হা হা,

দেখুন পলপট অথবা স্টালিনের ধ্বজাকে কেউ সর্বযুগের শান্তির প্রতিক দাবি করে না। কিন্তু নবী মোহাম্মদের ধ্বজাধারীরা যখন দাবি করেন ইসলাম সর্বযুগের শান্তি!! প্রশ্ন উঠে তখনই।

১। নবী মোহাম্মদ স্বয়ং নিজ হাতে বানু কুরাইজা যুদ্ধে নিজ হাতে ৮০০ ইহুদী নারী ও শিশুকে গলা কেটে কতল করেছেন।
২। অতপর আলী-আয়স-মুয়াবিয়া-হুসেন-ইয়াজিদ দাঙ্গা ফ্যাসাদে ইসলামের ঊষালগ্নে ১ লক্ষ মুসলমানের রক্ত ঝড়েছে শান্তির! ধর্ম ইসলামে

৩। সেই থেকে ইসলামের হত্যা যজ্ঞ চলছে। ১ম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান হত্যা যজ্ঞে ১০ লক্ষ আর্মেনিয়ান খ্রীষ্টান নিহত হয়।

৪। দক্ষিন সুদানে ইসলামিক Devil on a horse back জল্লাদ'দের হাতে ৫ লক্ষ অমুসলিম সুদানিজ নিহিত হয়।

৫। ১৯৭৯ সাল থেকে ১০ বছর মেয়াদী ইরান-ইরাক যুদ্ধে ১ কোন মুসলিম নিহত হয়।

৬। ইসলামের হত্যাযজ্ঞ চলছে- সিরিয়ার চলমান যুদ্ধে মুসলিম জেহাদীরা এ পর্যন্ত ৫ লক্ষ মুসলিমকে কতল করে ইসলামী খেলাফত কায়েম করেছে।

৭। পাকিস্তানে ইসলামী জেহাদীদের হাতে গত ১০ বছরে ১ লক্ষ মুসলিম নারী শিশু পুরুষ কতল করেছে।

৮। ১৯৭১ সাথে পাকসেনা এবং তাদের দোসর আলবদর রাজাকারের হাতে ৩০ লক্ষ বাঙালির জীবন কেড়ে নেয়। ধর্ষনের শিকার হয় ৩ লক্ষ নারী

৯। ইসলামের শান্তির সৈনিক বোকোহারাম, আইসিস, আলকায়দা, আলশাহাব, হুজী, আনসার উল্লা, হাক্কানী পার্টি, তালেবান, তেহেরকি তালেবান.......... এর চলমান শান্তির!!! মিশন চলছে।
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৫৯
243856
সজল আহমেদ লিখেছেন : হাহাহা তোমার উপস্থিতিতে ভাল লাগিল ব্যাফুক।তোমার কথামত শত্রুপক্ষকে মারলে বিশাল অন্যায়।তাইলে পাকিস্তানী সৈন্য মারা বাঙ্গালীর ব্যাপক কুকর্মের কাজ হইছে।তাছাড়া মহানবী বনু কুরায়জার শিশু যে মারার হুকুম দিয়েছিল তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না হাদীসে কিংবা কোরাণে ।নারীদের হত্যার নির্দেশ তো প্রশ্নই আসেনা ।সিরাতে আছে যাদের নাভির নিচে চুল গজিয়েছিল তাদের হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু সিরাতের কাহীনি গ্রহণযোগ্য না ,এরকম একটা হত্যা হলে সহীহ্ হাদীস পাইতাম।যেই বিষয়টা নিয়ে এত তর্ক সেইটা আগে হাদীস কিংবা কোরআনে আগে থাকা চাই।আর যদি এমন ঘটনা হয়েও থাকে তাইলে সেটা রাজনৈতিক কারন ,অর্থাত্‍ ঐ ৬% এর মধ্য গণ্য ।
নবী যে নিজ হাতে ৮০০ শিশু ও নারী হত্যা করছে তার তথ্যসূত্র দাও।পাতি নাস্তিকগীরি না কইরা এইখানে দেখ নাস্তিক পীর পারভেজ আলম এই বিষয় নিয়ে কি লিখছে: Click this link
সাবধান এই লেখা পইড়া যাতে লেখকরে ইসলামিস্ট বইলা নিজের কসা না হয় সেই দিকে ভাল কইরা খেয়াল দিবা ।
দেখুন পলপট অথবা স্টালিনের ধ্বজাকে কেউ সর্বযুগের শান্তির প্রতিক দাবি করে না।

তোমার মন্তব্য পড়িয়া সহীহ নাস্তিক সাইট হইতে দুইখানা লেখা সংগ্রহ করিতে হইল ,দেখোতো এই ধ্বজাধরীরা সহীহ নাস্তিক কিনা ,এর আগে ও তুমি আমারব্লগে সিকানদার নিকের একটা মন্তব্যে হিরোশিমার হত্যাকান্ড সমার্থন করছিলা এই চেতনায় খেয়াল আছে ?
বলেছিলা উহা নাকি মানবতা রক্ষার্থে হত্যা করা হইছে ,
link 1,link 2
এইবার তালেবান প্রসঙ্গ ,
তার আগে এই উদ্বৃতিগুলোর তথ্যসূত্র দাও ,
৩। সেই থেকে ইসলামের হত্যা যজ্ঞ চলছে। ১ম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান হত্যা যজ্ঞে ১০ লক্ষ আর্মেনিয়ান খ্রীষ্টান নিহত হয়।

ঠিক কত সঠিক তথ্যসূত্র সহ?
দক্ষিন সুদানে ইসলামিক Devil on a horse back জল্লাদ'দের হাতে ৫ লক্ষ অমুসলিম সুদানিজ নিহিত হয়।

ঠিক কত তথ্যসূত্র সহ?
৫। ১৯৭৯ সাল থেকে ১০ বছর মেয়াদী ইরান-ইরাক যুদ্ধে ১ কোন মুসলিম নিহত হয়।

যুদ্ধ সংগঠিত করেছিল কি কোন ইসলামিক দল নাকি তৈল রাজনীতি?
৬। ইসলামের হত্যাযজ্ঞ চলছে- সিরিয়ার চলমান যুদ্ধে মুসলিম জেহাদীরা এ পর্যন্ত ৫ লক্ষ মুসলিমকে কতল করে ইসলামী খেলাফত কায়েম করেছে।

ঠিক কত তথ্যসূত্র সমেত?
৭। পাকিস্তানে ইসলামী জেহাদীদের হাতে গত ১০ বছরে ১ লক্ষ মুসলিম নারী শিশু পুরুষ কতল করেছে।

ঠিক কত তথ্যসূত্র সমেত দাও ?
এবার দেখ আলকায়েদা,তালেবান ,ISIS কাদের সৃষ্ট এবং উদ্যেশ্য কি ,
link 1,link 2,link 3,link 4
বিঃ দ্রঃ সকল প্রকার লিংক চেক করিয়া তোমার কসা হইয়া গেলে আমি দায়ী থাকিবনা ।
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:৩৩
243861
বিভীষিকা লিখেছেন : ধন্যবাদ সজল ভাই।
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৬:২৩
243879

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : ছাগল কি গাছে ধরে!! সিরাতের কাহিনী গ্রহন যোগ্য না তো আপনার মত জামতী রাম ছাগলের কথা গ্রহন যোগ্য??

আপনার নবীর কুকর্ম সর্বজন বিদিত। নিচের সাহি হাদীস খানা চোখে চশমা দিয়ে পড়ুন।
Sahih Abu Dawud 38:4390/সাহি আবু দাউদ- ৩৮:৪৩৯০
Narrated Atiyyah al-Qurazi: I was among the captives of Banu Qurayzah. They (the Companions) examined us, and those who had begun to grow hair (pubes) were killed, and those who had not were not killed. I was among those who had not grown hair.

আল্লার মুমিন'দের নিত্য দিনের ইতরামি/কুকর্ম/খুন/খারাপি/ধর্ষন জানতে সূত্র লাগে নাকি? এগুলো সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরা, এনডিটিভি.......র প্রতি দিনের হেড লাইন নিউজ। এই তো এই আজকেও বোকোহারামের মুমিন'রা ক্যামেরুনের এক গ্রামে ১৫০ জন কাফের কতল করেছে। অন্য দিকে আইসিস এর আল্লার মুমিন'রা দুই জাপানি সাংবাদিককে জিম্মি করে ২০০ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপন দাবি করেছে।

সবগুলোর সূত্র চাইলেন, তো ১৯৭১ এ পাকি মুমিন'দের ৩০ লক্ষ বাঙলি কতলের সূত্র চাইলেন্না যে। ৩ লক্ষ নারী ধর্ষনের সূত্রও লাগবে?? নাকি রাজাকার সাইদীর ওয়াজ শুনলেই হবে??????
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:২০
243896
সজল আহমেদ লিখেছেন : যেহেতু তুমি একটা হাদীস খুঁজে বাহির করছ ।কিন্তু দুঃখের বিষয় ঠিক কতজন মারছে তার কোন সংখ্যা দেয়া নাই ।
শোনা যায় তিনি নারী ও শিশুদের যুদ্ধবন্দি করছিল খুন না।
among the captives of Banu Qurayzah. They (the Companions) examined us, and those who had begun to grow hair (pubes) were killed, and those who had not were not killed. I was among those who had not grown hair.

এইখানে কতজন হত্যা করছে তার সংখ্যা কই ?
প্রাপ্তবয়স্কদের হত্যার নির্দেশ দিছিল ।তবে ঠিক কোন কারনে বনুকুরায়জার প্রাপ্তবয়স্কদের হত্যার নির্দেশ দেওয়া হইছিল তা তুমি জানতো?
আসো দেখি:
ইহুদীদের চেয়েও অনলাইনের বাংলা ভাষী নাস্তিকদের বানু কোরায়যার প্রতি মায়া বেশী যেমন তোমার মত পাতি নাস্তিকের। মজার ব্যাপার হল ইহুদী ওয়েবসাইট গুলিতে ইহুদী জাতির উপর ঘটে যাওয়া সকল অন্যায় গণহত্যা ও ধ্বংসের যেসব কাহিনী পাওয়া যায় সেখানে বানু কুরাইযার ঘটনার কোন কথা বলা নাই। যেমন Timeline of antisemitism
এ বানু কোরায়যার কাহিনী পাওয়া যায় না। বিগত ২০০০ বছরের ইতিহাসে ইহুদীদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন ও গণহত্যার বিশাল একটি লিস্ট :এখানে দেখ।এতবড় এই লিস্টেও বানু কুরাইযা'র ঘটনার কথা উল্লেখ নাই। লিস্টটিতে বরঞ্চ বিগত ২০০০ বছরে ইহুদীদের উপর পেগান ও খ্রীষ্টানদের অত্যাচার-নির্যাতন ও গণহত্যার ঘটনা উল্লেখ আছে। তাই বুঝায় যাচ্ছে শুধুমাত্র ইসলাম বিদ্বেষীতার কারনেই ফুলবানুর মত পাতি নাস্তিকরা বারবার এই বানু কোরায়জা গোত্রের জন্য কান্নাকাটি করে যা হাস্যকর।হাহাহা ।
রাসুলাল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনে সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত টা ছিল বনী কুরায়জা গোত্রের সকল যুদ্ধবাজ পুরুষ ইহুদী কে হত্যা করা। ইসলামের ইতিহাসেও এটি সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ ঘটনা যে যুদ্ধবন্দী সকল পুরুষ কে একসাথে হত্যা করা হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত যত যুদ্ধবন্দী ছিল সবার কাছ থেকে হয় মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছিল নতুবা পুরা গোত্রটিকে নির্বাসন করে দেয়া হয়েছিল। কখনই কোন যুদ্ধ বন্দীকে হত্যা করা হয় নি বা কোন যুদ্ধবন্দীকে দাস বানান হয় নি। যেমন বদর যুদ্ধে যে সকল কাফের মুসলমানদের হাতে বন্দী হয়েছিল তাদের কাছ থেকে মুক্তিপন আদায় করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। তাদের কে দাসও বানান হয় নি বা তাদের কে হত্যা করাও হয় নি। মক্কা বিজয়ের পর মক্কার কোন কাফের কেও সাহাবীরা দাস বানান নি বা হত্যা করেন নি। আবার মদীনার ইহুদী গোত্র বনী কায়নুকা ও আরেকটি ইহুদী গোত্র বনু নাদির কে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধুমাত্র নির্বাসন দিয়েছিলেন। বনী কায়নুকা বা বনু নাদিরা গোত্রের কাউকেই মুসলমানরা হত্যা করে নি বা দাস দাসীও বানায় নি। তাইলে কোন প্রেক্ষাপটে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনী কুরায়জা গোত্রের ইহুদীদের ব্যাপারে এত কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যেটা উনি কখন অন্য কোন ইহুদী গোত্রের ব্যাপারে নেন নি ।
কিন্তু এই গোত্রের ব্যাপার কেন ?
এরা মদিনা সনদ ভঙ্গ করে এবং রাসুলুল্লাহ্ সাঃ কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ,আসো মদিনা সনদ দেখি,
১। ইহুদী ও মুসলিম ও পৌত্তলিকরা এক জাতি (রাষ্ট্রীক কাঠামোর মধ্যে বসবাসকারী ‘জাতি’)।
২। এই সনদের অন্তর্ভূক্ত কোন গোত্র শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে সবার সমবেত শক্তি নিয়ে তা প্রতিহত করতেহবে।
৩। কেউ কোরাইশদের সাথে কোনো রকমের গোপন সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হতে পারবে না ও কোরাইশদের কে কোন সামরিক দিক দিয়ে সাহায্য করবে না।
৪। মদিনা আক্রান্ত হলে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যে সবাই মিলে যুদ্ধ করবে এবং সম্প্রদায়গুলো নিজেদের যুদ্ধব্যয় নিজেরা বহন করবে।
৫। ইহুদী-মুসলিম সহ চুক্তিবদ্ধ সকল সম্প্রদায় স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্মকর্ম পালন করবে, কেউ কারুর ধর্ম-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না।… ইত্যাদি।
মদিনার সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে চুক্তি/সন্ধি অনুসারে সব ইহুদী গোত্র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল যে তারা মুসলমানদের কোন শত্রুকে কোনরকম সাহায্য সহযোগিতা করবেনা। কোন বহিঃশত্রু মদিনা আক্রমণ করলে তারাও মুসলমানদের মতো স্বদেশ রক্ষার্থে নিজেদের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করবে। কিন্তু সন্ধির শর্ত ও মদীনার স্বাধীনতা ও সম্মানকে উপেক্ষা করে বনু কুরাইযা সহ বাকী ইহুদী গোত্র একাধিকবার কোরাইশদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
ইহুদী বনু কুরায়জা/কনুইকা গোত্র এক মুসলিম মহিলার শ্লীলতাহানি করে ও বনু নাদিরা গোত্র রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
আরো দশ বারটা কারনে এই রাষ্ট্রদ্রোহী কুরায়জাদের হত্যা করা হয়েছে ,যেমন বর্তমান বাংলাদেশ সরকার রাজাকারদের বিচার করছে ।এখানে বিস্তারিত দেখ...

এরপর ও কসা রোগীর মত বনুকুরায়জা নিয়া ফালাফালি করলে পাতি নাস্তিক ছাড়া আর কিছু কওয়া সম্ভব না ।
ও আরেকটা কথা ,আমি যে তথ্যসূত্র চাইলাম তার কি হইল ?
তথ্যসূত্র কই ?
301446
২৩ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:০৮
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : ধন্যবাদ, এই রকম গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করার জন্য।
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:৩৪
243862
বিভীষিকা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
301450
২৩ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:২৪

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : দেখুন পলপট অথবা স্টালিনের ধ্বজাকে বুকে আক্রে কেউ সর্বযুগের শান্তির প্রতিক দাবি করে না। কিন্তু নবী মোহাম্মদের ধ্বজাধারীরা যখন দাবি করেন ইসলাম সর্বযুগের শান্তি!! প্রশ্ন উঠে তখনই।

১। নবী মোহাম্মদ স্বয়ং নিজ হাতে বানু কুরাইজা যুদ্ধে নিজ হাতে ৮০০ ইহুদী নারী ও শিশুকে গলা কেটে কতল করেছেন।
২। অতপর আলী-আয়স-মুয়াবিয়া-হুসেন-ইয়াজিদ দাঙ্গা ফ্যাসাদে ইসলামের ঊষালগ্নে ১ লক্ষ মুসলমানের রক্ত ঝড়েছে শান্তির! ধর্ম ইসলামে

৩। সেই থেকে ইসলামের হত্যা যজ্ঞ চলছে। ১ম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান হত্যা যজ্ঞে ১০ লক্ষ আর্মেনিয়ান খ্রীষ্টান নিহত হয়।

৪। দক্ষিন সুদানে ইসলামিক Devil on a horse back জল্লাদ'দের হাতে ৫ লক্ষ অমুসলিম সুদানিজ নিহিত হয়।

৫। ১৯৭৯ সাল থেকে ১০ বছর মেয়াদী ইরান-ইরাক যুদ্ধে ১ কোন মুসলিম নিহত হয়।

৬। ইসলামের হত্যাযজ্ঞ চলছে- সিরিয়ার চলমান যুদ্ধে মুসলিম জেহাদীরা এ পর্যন্ত ৫ লক্ষ মুসলিমকে কতল করে ইসলামী খেলাফত কায়েম করেছে।

৭। পাকিস্তানে ইসলামী জেহাদীদের হাতে গত ৫ বছরে ৩ লক্ষ মুসলিম নারী শিশু পুরুষ কতল হয়।

৮। ১৯৭১ সাথে পাকসেনা এবং তাদের দোসর আলবদর রাজাকারের হাতে ৩০ লক্ষ বাঙালির জীবন কেড়ে নেয়। ধর্ষনের শিকার হয় ৩ লক্ষ নারী

৯। ইসলামের শান্তির সৈনিক বোকোহারাম, আইসিস, আলকায়দা, আলশাহাব, হুজী, আনসার উল্লা, হাক্কানী পার্টি, তালেবান, তেহেরকি তালেবান.......... এর চলমান শান্তির!!! মিশন চলছে। এর শেষ কোথায়???
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:০০
243857
সজল আহমেদ লিখেছেন : হাহাহা তোমার উপস্থিতিতে ভাল লাগিল ব্যাফুক।তোমার কথামত শত্রুপক্ষকে মারলে বিশাল অন্যায়।তাইলে পাকিস্তানী সৈন্য মারা বাঙ্গালীর ব্যাপক কুকর্মের কাজ হইছে।তাছাড়া মহানবী বনু কুরায়জার শিশু যে মারার হুকুম দিয়েছিল তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না হাদীসে কিংবা কোরাণে ।নারীদের হত্যার নির্দেশ তো প্রশ্নই আসেনা ।সিরাতে আছে যাদের নাভির নিচে চুল গজিয়েছিল তাদের হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু সিরাতের কাহীনি গ্রহণযোগ্য না ,এরকম একটা হত্যা হলে সহীহ্ হাদীস পাইতাম।যেই বিষয়টা নিয়ে এত তর্ক সেইটা আগে হাদীস কিংবা কোরআনে আগে থাকা চাই।আর যদি এমন ঘটনা হয়েও থাকে তাইলে সেটা রাজনৈতিক কারন ,অর্থাত্‍ ঐ ৬% এর মধ্য গণ্য ।
নবী যে নিজ হাতে ৮০০ শিশু ও নারী হত্যা করছে তার তথ্যসূত্র দাও।পাতি নাস্তিকগীরি না কইরা এইখানে দেখ নাস্তিক পীর পারভেজ আলম এই বিষয় নিয়ে কি লিখছে: Click this link
সাবধান এই লেখা পইড়া যাতে লেখকরে ইসলামিস্ট বইলা নিজের কসা না হয় সেই দিকে ভাল কইরা খেয়াল দিবা ।
দেখুন পলপট অথবা স্টালিনের ধ্বজাকে কেউ সর্বযুগের শান্তির প্রতিক দাবি করে না।

তোমার মন্তব্য পড়িয়া সহীহ নাস্তিক সাইট হইতে দুইখানা লেখা সংগ্রহ করিতে হইল ,দেখোতো এই ধ্বজাধরীরা সহীহ নাস্তিক কিনা ,এর আগে ও তুমি আমারব্লগে সিকানদার নিকের একটা মন্তব্যে হিরোশিমার হত্যাকান্ড সমার্থন করছিলা এই চেতনায় খেয়াল আছে ?
বলেছিলা উহা নাকি মানবতা রক্ষার্থে হত্যা করা হইছে ,
link 1,link 2
এইবার তালেবান প্রসঙ্গ ,
তার আগে এই উদ্বৃতিগুলোর তথ্যসূত্র দাও ,
৩। সেই থেকে ইসলামের হত্যা যজ্ঞ চলছে। ১ম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান হত্যা যজ্ঞে ১০ লক্ষ আর্মেনিয়ান খ্রীষ্টান নিহত হয়।

ঠিক কত সঠিক তথ্যসূত্র সহ?
দক্ষিন সুদানে ইসলামিক Devil on a horse back জল্লাদ'দের হাতে ৫ লক্ষ অমুসলিম সুদানিজ নিহিত হয়।

ঠিক কত তথ্যসূত্র সহ?
৫। ১৯৭৯ সাল থেকে ১০ বছর মেয়াদী ইরান-ইরাক যুদ্ধে ১ কোন মুসলিম নিহত হয়।

যুদ্ধ সংগঠিত করেছিল কি কোন ইসলামিক দল নাকি তৈল রাজনীতি?
৬। ইসলামের হত্যাযজ্ঞ চলছে- সিরিয়ার চলমান যুদ্ধে মুসলিম জেহাদীরা এ পর্যন্ত ৫ লক্ষ মুসলিমকে কতল করে ইসলামী খেলাফত কায়েম করেছে।

ঠিক কত তথ্যসূত্র সমেত?
৭। পাকিস্তানে ইসলামী জেহাদীদের হাতে গত ১০ বছরে ১ লক্ষ মুসলিম নারী শিশু পুরুষ কতল করেছে।

ঠিক কত তথ্যসূত্র সমেত দাও ?
এবার দেখ আলকায়েদা,তালেবান ,ISIS কাদের সৃষ্ট এবং উদ্যেশ্য কি ,
link 1,link 2,link 3,link 4
বিঃ দ্রঃ সকল প্রকার লিংক চেক করিয়া তোমার কসা হইয়া গেলে আমি দায়ী থাকিবনা ।
301451
২৩ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:৩৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
এটা প্রমানিত সত্য যে ধর্মবিরোধি রাস্ট্রই সবসময় শক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতায় বসেছে সোভিয়েত থেকে শুরু করে কোথাও ধর্মহিন রাষ্ট্র জনসমর্থনে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:৩৪
243863
বিভীষিকা লিখেছেন : ধন্যবাদ
301458
২৩ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:৫৭
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:৩৭
243864
বিভীষিকা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
301473
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:৩৭
বিভীষিকা লিখেছেন : সজল ভাইকে আবারো ধন্যবাদ। কারণ আপনার কমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা পেয়েছি।
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:২১
243897
সজল আহমেদ লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File