ড. বিলাল ফিলিপসের ভাষায় কয়েকজন মহান সংস্কারক।
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ৩০ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:০৩:২৪ বিকাল
(সংগৃহীত)
“ ইসলামের অবক্ষয়ের এ যুগেও বিভিন্ন সময়ে অসাধারণ জ্ঞানের অধিকারী বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের আবির্ভাব ঘটেছিল। তারা ইজতিহাদের ধারাকে পুনরায় চালুর চেষ্টা করেছেন। তারা সবকিছুর ঊর্ধে উঠে দীনের আদি বিশুদ্ধতা ও ইসলামি আইনের সঠিক উৎসগুলোর উপর নির্ভর করার আহ্বান জানিয়েছেন। এরূপ কয়েকজন মহান সংস্কারক যেমনঃ
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ)(১২৬৩-১৩২৮ সাল)। তৎকালীন প্রচলিত বিভিন্ন ভ্রান্ত আকীদাহ-বিশ্বাস ও আচার- প্রথার বিরুদ্ধে তিনি প্রবলভাবে রুখে দড়িয়েছিলেন। সবার্থানেষী মহল তাকে মুরতাদ আখ্যায়িত শাসকশ্রেণির মাধ্যমে বারবার কারারূদ্ধ করিয়েছেন। সহ্য করেছেন নির্যাতন
মুহাম্মদ ইবনে আলি আশ-শাওকানি (রঃ)(১৭৫৭-১৮৩৫ সাল)। তিনি ইয়েমেনে জন্মগ্রহন করেন।
আহমদ ইবনে আব্দু রহীম (রঃ)(শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দিহলাউই (১৭০৩-১৭৬২)। তার জন্ম ভারতীয় উপমহাদেশে। ইসলামি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় জ্ঞান অর্জনের পর তিনি ইজতিহাদের দ্বার পুনরায় উন্মুক্ত করে মাযহাবগুলোকে একত্রিভূত হওয়ার আহ্বান জানান।
জামালুদ্দিন আফগানি (রঃ) (১৮৩৯-১৮৯৭)। তিনি আফগানিস্তানে জন্মগ্রহন করেন । তিনি মিশরের আল-আযহার বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়শুনা করেন এবং পবর্তীতে মিশরেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
মুহাম্মদ আব্দুহু র. (১৮৪৯-১৯০৫ সাল)। তিনি ছিলেন আফগানির সর্বাধিক খ্যাতিমান ছাত্র। আফগানি ও ইবনে তাইমিয়ার চিন্তাধারায় প্রভাবিত হয়ে ইজতিহাদের ঝান্ডাকে পুনরায় উত্তোলন করেন।
ইখওয়ানুল মুসলিমুনের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম শহীদ হাসানুল (বান্না রঃ)
সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রঃ)। ইসলামী আন্দোলন করার অপরাধে মিশরের তৎকালীন জালেম শাসক তাকে ফাসি দিয়ে শহীদ করেছিল।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্টাতা আবুল আ’লা মাওদুদী (রঃ)(১৯০৩-১৯৭৯ সাল)। ইসলামি আন্দোলন করার কারণে তাকেও ফাসির কাষ্ঠ পর্যন্ত যেতে হয়েছিল।..........”
প্লীজ সবার মন্তব্য চাই, কারণ মন্তব্য থেকে অনেক কিছু শিখা যায়।
বিষয়: বিবিধ
১৬৬৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে আমাদের দেশের বড় বড় হুজুর যারা নিজেদের কে হক্কানি আলেম মনে করেন তারা এই সমস্ত ইসলামী সমাজ সস্কারক দের চোখে দেলেন না।
কারণ এই সমস্ত আলেমরা ছিলেন শিরিক বেদাত বিরোধী।
আর আমাদের দেশের ঐ সমস্ত আলেমরা শিরিক বেদাত মিস্রিত ইবাদতে ব্যস্ত।
রাতের আধারে যখন সরকার তাদের মাদ্রাসায় এক ট্রাক চাল পাঠিয়ে দেওয়া হয় তখন তাদের আর সেই ইমানী চেতনা দেখা যায়না।
যাহা আমরা সচরাচর দেখতে পাই।
অনুমতি ছাড়া ফেবুতে পাঠিয়ে দিলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন