হযরত খাব্বাব (রা)-এর প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ইসলামের জন্য ।
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ২৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:১৫:১৪ রাত
তথ্যসূত্রঃ- سيرة تحليلية,পৃষ্ঠাঃ ৭৭,ইসলামিক থিওলোজী,৩য় বর্ষ, আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়।
তখন তিনি ছিলেন উম্মে আনসার নামক এক মহিলার ক্রীতদাস। তিনি কয়লার মধ্যে লোহা গলিয়ে ঢাল, তলোয়ার ও বর্শা তৈরির কাজ করতেন।
ইসলাম গ্রহণ করার অপরাধে তার মনিব এবং উম্মে আনসারের ভাইয়েরা তাকে অকথ্য নির্যাতন করতো। শেষ পর্যন্ত তারা তাকে জ্বলন্ত কয়লার ওপর শুয়ে রেখে পাথর চাপা দিতো। আর তার শরীরের রক্ত মাংসগুলো গলে গলে কয়লা ঠাণ্ডা হয়ে যেত, কয়লার আগুনে ঝলসে গিয়ে তার শরীরে এমন গর্ত হয়েছিল যে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই গর্তগুলো পূরণ হয়নি।
সেই জন্য তিনি সব সময় গায়ের ওপর চাদর জড়িয়ে রাখতেন। চাদরের ব্যাপারে তার বক্তব্য ছিল সেই আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য আমার পিষ্ট ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে, পরকালে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে সেই পিঠ দেখানো ছাড়া দুনিয়ার কোনো মানুষকে দেখাবো না।
এত নির্মমতার মধ্যেও তিনি ঈমান থেকে দূরে সরে যাননি। অথচ আজকাল ইমানি চেতনা নেই কোন হিম্মত। জেলের ভয়ে ন্যায় নীতি অজ্ঞান। বিক্রিত মানুষিকতা। তাম্বুর নিচে ঝোকা ঝুকি। ওরসে ওরসে গরুর গোস্তের ঢেলাঢেলি। পয়সার লোভে নিজেকে নিজেই কখনো স্রষ্টা কিংবা রাসুল ঘোষণা। (নাউযুবিল্লাহ)।
যাই হোক সেই সাহাবা কেরামদের মত এই জামানায় চলছে ধারাবাহিকভাবে নির্যাতন, নিষ্পেষণ ও জুলুম। এখনো সত্যের পতাকাধারীদের ওপর অব্যাহত
রয়েছে নির্মমতার স্টিমরোলার।
আমি এটাকে নির্যাতন না বলে বলতে চাই ইন্তিহাম (পরিক্ষা)। এই পরীক্ষা হচ্ছে আমরা ঈমানের দাবিতে কতটুকু সত্যবাদী তা যাচাই করার জন্য। ঈমানের অগ্নিপরীক্ষা ব্যতীত কেউই জান্নাতে যেতে পারবে না। আর এই অগ্নিপরীক্ষা নিশ্চয়ই সোজা নয়। কম্বলের নিচে থেকে ফেসবুকিং নয়। বড় বড় ওরস নয়, সিন্নি বিতরণ নয়,গলাবাজি নয় বা চেতনা ব্যবসায়ী টোপলা বহন নয়। আরও অনেক কিছু আছে যেগুলো নয়।
অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে তাই আল্লাহর একটা কথা দিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ সুরা মুহাম্মদের ৩১ নং আয়াতে বলেন
‘‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো যাতে তোমাদের অবস্থা যাচাই করে নিতে পারি এবং দেখে নিতে পারি যে, তোমাদের মধ্যে কারা মুজাহিদ এবং ধৈর্যশীল।”
বিষয়: বিবিধ
১৮৫৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসলামে কি স্বাধ রেয়েছে, বেলাল (রাঃ)কে প্রশ্ন করুন।
প্রশ্ন করুন, সুমাইয়্যা (রাঃ)কে
প্রশ্ন করুন, খাব্বাব বিন আরাত (রাঃ)কে
প্রশ্ন করুন, মুসয়াব বিন ওমাইর (রাঃ)কে
প্রশ্ন করুন, হাঞ্জালা (রাঃ)কে
প্রশ্ন করুন,..
উত্তর পাবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন