পরিবারের সদস্যদের সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী আমি প্রাণ ভিক্ষা চাইনি

লিখেছেন লিখেছেন ভাঙা নৌকা ২১ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:৪৮:৪৫ রাত

স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল রাত ৯টার দিকে কারা ফটকে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে করে পৌঁছেন সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর সাড়ে ৯টার দিকে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন পরিবারের ১৮ জন সদস্য। এঁরা হলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী, বড় ছেলে ফজলুল কাদের চৌধুরী ফাইয়াজ, ছোট ছেলে হুমাম কাদের চৌধুরী, মেয়ে পারভীন কাদের চৌধুরী, মেয়ে জামাই জাফর খান, ভাই জামাল উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বোন জোবাইদা আনোয়ার, ভাবী সেলিনা কাদের চৌধুরী, বড় ছেলের স্ত্রী তানিয়া খন্দকার, শ্যালিকা রাহাত আদেল, ভাগ্নি মাহবুবা চৌধুরী, ভাতিজি সামিয়া কাদের চৌধুরী, চাচি পারভীন কাদের চৌধুরী, শ্যালক আবু বকর আদেল, শ্যালকের স্ত্রী আফরিন আদেল ও ভাবী শ্যামা কাদের চৌধুরী, খালাত ভাই সাদেক হোসেন চৌধুরী ও সাঈদ হোসেন চৌধুরী।

রাত ১০টা ৫০ মিনিটে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন তারা। কারাগারের ভেতর থেকে বের হয়ে সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে কোন মার্সি পিটিশন বা প্রাণ ভিক্ষা চাননি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সি পিটিশন করেছেন কি-না ? বাবা (সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ) জানিয়েছেন তিনি কোন রকম মার্সি পিটিশন করেননি। হুম্মাম কাদের চৌধুরী অভিযোগ করেন, তার বাবা একজন রাজনীতিবিদ। নির্বাচনের মাঠে তাকে হারাতে পারেনি। তাই তার প্রাণ কেড়ে নেয়া হচ্ছে

এই বাজে কথা তোমাদেরকে কে বলেছে? প্রাণভিক্ষার বিষয়ে সাকা চৌধুরী

21 Nov, 2015 কারাগারে বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে শেষ দেখা করে সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী। রাষ্ট্রপতির কাছে বাবার প্রাণভিক্ষার কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি।

শনিবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে হুম্মাম কাদের এ কথা জানান। রাত রাড়ে ৯টার দিকে মূল ফটক দিয়ে তাদের কারাগারে প্রবেশ করানো হয়।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘এ সরকার যেহেতু বাবাকে নির্বাচনে হারাতে পারেনি তাই একটু পরে হয়তো তার জানটা কেড়ে নেবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাণভিক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাবা (সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী) আমাদের বলেছেন- এই বাজে কথা (প্রাণভিক্ষা) তোমাদেরকে কে বলেছে?’

সাকার সঙ্গে শেষ দেখা করেন তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে ফায়েজ কাদের চৌধুরী, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ফায়েজের স্ত্রী দানিয়া খন্দকার, মেয়ে ফারদিন কাদের চৌধুরী, মেয়ের জামাই জাফর খান, ভাই জামাল উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, ভাবী সেলিনা কাদের চৌধুরী, বড় ছেলের স্ত্রী দানিয়া খন্দকার, সাকার শ্যালিকা রাহাত আদেল, সাকার ভাগ্নি মাহবুবা, চাচী পারভীন কাদের চৌধুরী, শ্যালক আবু বক্কর আদেল, শ্যালকের বউ আফ্রিন আদেল প্রমুখ।

এর আগে রাত সোয়া ৮টার দিকে টেলিফোনের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের ডাকে কারা কর্তৃপক্ষ।

বাংলামেইল২৪ডটকম/ কেএম/ এস

আমার বাবা প্রাণভিক্ষা চাননি: হুম্মাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রথম আলো

আপডেট: ২৩:২৬, নভেম্বর ২১, ২০১৫

০Like

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেননি বলে জানালেন ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। কারাগারে বাবার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে তিনি প্রথম আলোর কাছে এ কথা বলেন।

সাকাকে উদ্ধৃত করে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাবা বলেছেন, সরকার নির্বাচনে আমাকে (সাকা) হারাতে পারেনি। তাই আমার জান নিয়ে নিচ্ছে।’

রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কি না, জানতে চাইলে হুম্মাম বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে বলেছেন, এ সরকারের আমলে কত কাগজ বের হচ্ছে। এ রকম বাজে কথা (প্রাণভিক্ষা) কে বলেছে ?’

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই জামাল উদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাই একটি কথাই বলেছেন, আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর।’

সাকার স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বাকরুদ্ধ। আমি কোনো কথা বলতে পারব না। যা বলবে আমার ছেলেরাই বলবে।’

রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা) ও আলী আহসান মুহম্মাদ মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তাঁদের পরিবারের সদ্যদের ডেকে পাঠায়। রাত নয়টার পর সাকার স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী, দুই ছেলে, ছেলেদের স্ত্রীসহ পরিবারের অন্তত ১৮ জন সদস্য কারাগারে ঢোকেন। রাত ১০টার ৫০ মিনিটের দিকে তাঁরা বেরিয়ে আসেন। এ সময় সবার চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত।

ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা ন্যায়বিচার পাননি।’

সাকা-মুজাহিদের প্রাণভিক্ষা নিয়ে বিভ্রান্তি

ঢাকা | প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০১৫

রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের প্রাণভিক্ষা চাওয়া না চাওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তি।

শনিবার দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাকা ও মুজাহিদ প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা নিশ্চিত করেন। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করা হয় দুইজনের পরিবার এবং দলের পক্ষ থেকে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদ আবেদন করেছেন। তবে আবেদনের বিষয়টি কী তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দুপুরে বলেন, আবেদন দুটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এলে আজই তা রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সন্ধ্যায় তিনি জানান, দুইজনের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে দুপুরে দুই নেতার প্রাণভিক্ষার আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানতে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে প্রবেশ করেন। তবে তারা বিকাল ৩টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মিডিয়ার সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

এদিকে প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে সালাউদ্দিন কাদেরের বড় ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বাবা প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন, উনার সঙ্গে দেখা করার আগে তা বিশ্বাস করছি না।

বিকালে হুম্মম কাদের বঙ্গভবনে একটি আবেদন নিয়ে যান। তবে সেটি প্রাণভিক্ষার আবেদন নয়। আবেদনে পুরো বিচার প্রক্রিয়াকে মিস ট্রায়াল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে বঙ্গভবনের পক্ষ থেকে ওই আবেদন গ্রহণ না করে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়ার পরামর্ম দেয়া হবে বলে হুম্মাম কাদের জানান।

দুপুরে বিএনপি ও সাকা চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, কোনো প্রাণভিক্ষার আবেদন করা হয়নি। সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না।

এর আগে বিএনপির নেতা গয়েশ্বর রায় গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সি পিটিশন (প্রাণভিক্ষা আবেদন) করবেন না।

মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদনের খবরকে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, আইনজীবীরা মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন। কারা কর্তৃপক্ষ এখনো আইনজীবীদের সাক্ষাতের অনুমতি দেননি।

মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না জাহান বলেছেন, কারা কর্তৃপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার যে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি জানান, তার স্বামী আইনজীবীদের পরামর্শের বাইরে কোনো সিন্ধান্ত নেননি এবং নেবেন না।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধে এর আগে দুই জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাদের কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি।

- See more at: http://www.jugantor.com/current-news/2015/11/21/11318#sthash.vl2tOZhu.dpuf

বিষয়: বিবিধ

২০১৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

350759
২২ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৩৫
শেখের পোলা লিখেছেন : প্রাণ দেওয়া ও নেয়ার মালিক আল্লাহ৷ মুসলমানেরা তা জানে তাই কোন মসলমানই আল্লাহ ছড়া কারোও কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেনা৷ রাষ্ট্রপ্রতি কি জানেন যে কোন মুহূর্তে তার প্রানটাও ছিনিয়ে নেওয়া হবে৷
350792
২২ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
শিক্ষানবিস লিখেছেন : বাঘের বাচ্চা বাঘ, শহীদ সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী। সে কিভাবে কুকুরের কাছে প্রাণ-ভিক্ষা চাবে?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File