‘সরকার যা চায় তাই হতে যাচ্ছে’
লিখেছেন লিখেছেন ভাঙা নৌকা ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৮:০৬:৪৯ রাত
[দয়া করে আমার লেখাটুকু পরলে, উপকৃত হবেন আপনারাই]
বহুল আলোচিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতের এটি ৩য় রায়। প্রথম রায় আবুল কালাম আজাদ বাহিরে থাকায় তাকে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। তবে সেরকম কোনো উত্তেজনা হয়নি। দ্বিতীয় রায় আব্দুল কাদের মোল্লা। এর রায়ের মাধ্যমেই দেশে অশান্তির গণজাগরণ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল সরকার। তবে সেই সময় তেমন কোনো গণজাগরণ সৃষ্টি না হওয়াতে উচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য বাম দলের এক ব্লগারকে সরকারের মদদদাতারা খুন করে। আর এরই মাধ্যমেই দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হয়। আরো বেশি অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় ব্লগার রাজিবের সকল অপকর্ম (ইসলামকে অবমাননার বিভিন্ন লেখা) প্রকাশ করল। আর তা হয়তো সরকারের অনুমোদনে প্রকাশ করেছিল ইনকিলাব পত্রিকাটি। কারণ এই দৈনিক ইনকিলাবই শাহবাগ চত্বরে প্রচুর টাকা সাহায্য করেছিল। এই পত্রিকাটি কখনোই সরকারের বিপক্ষে বা বিরুদ্ধে নয়।
তবে রাজিবের বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে অন্যান্য পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছিল। এরই মাধ্যমে দেশে আলেম সমাজের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। মাঠে নামে বাংলাদেশের ৮০% মুসলমান। আব্দুল কাদের মোল্লার পর ২৮ ফেব্র“য়ারি দুপুর ১টা পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল।
এরই মাঝে বিপুল পরিমাণ জনগণ মাঠে নামে বিভিন্ন দাবিতে। কেউ চায় ফাসি, কেউ চায় ট্রাইব্যুনাল বন্ধ, কেউ চায় রাজিব হত্যার বিচার, কেউ চায় রাজিবের কু-কর্ম তদন্তকরণ, কেউ চায় জামায়াত-শিবিরের সমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার, কেউ চায় মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার, আবার বিএনপি চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আমি মাত্র কয়েকটি দাবির কথা উল্লেখ করেছি। হয়ত এরকম দাবি এই দুই মাসে ২০০টির উপর।
আমরা মনে করেছিলাম এরপর হয়তো গোলাম আযমকে রায় দেয়া হতে পারে। কিন্তু সরকার চিন্তা করে দেখল, বর্তমানে মাঠে ব্যাপক জণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। সবাই মাঠে নেমেছে। এর মাঝে দেলওয়ার হোসাইন সাইদির রায় দেয়া যেতে পারে। কারণ এ রায়ের মাধ্যমে ১০০% লোক মাঠে থাকবে। আর দেলওয়ার হোসাইন সাইদীর গণসমর্থন বেশি। আর সরকার সেই কাজটাই আজ করল। সরকার মনে হয় এটাই চেয়েছিল। আর এ রায়ের মাধ্যমে দেশের সকল লোক মাঠে নামে। এ পর্যন্ত সারাদেশে ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আবার কোথাও কোথাও শোনা গেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা নাকি দেলোওয়ার হোসেন সাইদীর রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে শিবির-জামায়াতে যোগ দিয়েছে। আবার কয়েকজন পুলিশও নাকি চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। দেশের ব্যাপক অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। আসলে কি এ অরাজকতা জামায়াত-শিবির করছে। আমি ১০০% বলব, বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেয়া হচ্ছে, গুলি করা হচ্ছে এবং অরাজকতা সৃষ্টির কারণ একমাত্র আওয়ামী লীগরাই। হতে পারে আওয়ামী লীগরা সাঈদীকে খুব ভালোবাসে। এ রায় বাংলাদেশের ৯০% মানুষ চায় না। সবাই মাঠে নেমেছে। সরকার হয়তো এটাই চাচ্ছিল। দেশে এখন অরাজকতা সৃষ্টি হলে কার্ফু জারি করবে সরকার। সরকারের পূর্বের সমস্ত দুর্নীতি ঢেকে যাবে। সকল অপকর্ম ঢেকে যাবে। আর এরই মাধ্যমেই হয়তো সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নিবেন। জনগণকে দেখিয়ে দিবে ‘ভিশন ২১’
আর সাঈদীর রায়!
হ্যাঁ ১ মাস পর আপিল করা হবে। আপিলের মাধ্যমে হয়তো এ রায় বর্তমানে কার্যকর নাও হতে পারে। কারণ নির্বাচনের আর বেশিদিন নেই। নির্বাচনের পর কার্যকর করতে পারে সরকার। আবার এ রায়ে কিন্তু একটা বিশাল ফাঁক রয়েছে। আপনার ধরতে পারেননি হয়তো। আমি ধরে ফেলেছি। আপনারা ধরতে পারলে জানাবেন। এ রায়ে কি ফাঁক রয়েছে?
বিষয়: বিবিধ
১০৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন