(ফোনে যে কথা হয়েছিল হাসিনা-খালেদার) হাসিান: আমি তো সন্ধ্যা বেলায় নামাজ পড়ি, কুরআন তেলাওয়াত করি। খালেদা: হ্যাঁ, আপনি নামাজ পড়েন, কুরআন তেলওয়াত করেন, আবার হুজুরও মারেন, সবকিছুই করেন।
লিখেছেন লিখেছেন ভাঙা নৌকা ২৯ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:৩৩:১১ সকাল
হাসিবুল হাসান
নতুন বার্তা ডটকম
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতার ঐতিহাসিক সেই ফোলানাপ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। আসলে কী কথা হয়েছিল তাদের মধ্যে? এ নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না। সোমবার তথ্যমন্ত্রী দুই নেত্রীর কথোপকথন জনসম্মুখে প্রকাশের কথা বলার পর এ আগ্রহ হয়তো আরেকটু বেড়েছে সবার মনে। অবশেষে সেই আলোচিত কথোপকথনের রেকর্ডটি প্রকাশ করেছে বে-সরকারি টেলিভিশন চ্যালেন একাত্তর টিভি।
প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা সেই ফোনালাপটি নতুন বার্তা ডটকমের পাঠকদের জন্যে তুলে ধরা হলো:
ফোলানাপের প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা একে অন্যের কুশল বিনিময় করেন। শারীরিক সুস্থতার খোঁজখবর নেন। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা বিরোধী দলীয় নেতাকে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টার হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে ২৮ অক্টোবরে গণভনের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান। এতটুকু মোটামুটি সবারই জানা। প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করে বিরোধী দলীয় নেতাকে না পাওয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয়েছিল। দুই নেত্রীর ফোনালাপের মধ্যেও উঠে আসে বিষয়টি।
প্রধানমমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বলেন, আমি ফোন করেছিলাম, ফোন বেজেছে কিন্তু আপনি ধরেননি; তখন খালেদা জিয়া জবাব দিয়েছিলেন- এরকম-ফোন বাজে, আমরা শুনি না, আপনি শোনেন?
হাসিনা: আমি শুনবো কী করে, গ্রেনেড হামলায় তো আমার এক কান এমনিতেই নষ্ট হয়ে গেছে।
খালেদা: হ্যাঁ, কিন্তু আমরা বলেছি টেলিফোন বাজছে না অথচ আপনি বলছেন টেলিফোন বাজছে?
হাসিনা: এটা তো মূল ফ্যাক্ট না, ফোন আমি নিজে করেছি।
খালেদা: আপনি নিজে করলে কী হবে? আপনি একটি ডেট ফোনকে বলছেন ফোন বেজেছে?
হাসিনা: না না রিং হচ্ছিল।
খালেদা: না রিং হবে কী করে? যে ফোন ডেট সেই ফোনে রিং হবে কী করে? এতেই তো মন-মানসিকতার পরিচয়।এতেই বোঝা যায় আপনি সত্য কথা বলছেন কিনা? আমরা চেক করেছি। রিপোর্ট করেছি, আপনাদের লোকদের আসতে বলেছি। তারা তো আমাদের মানুষই মনে করে না। তারা আসেও না, এটা দেখেও না। তাহলে এটা রেড টেলিফোন কেন? মোবাইলেও তো ফোন করা যেত।
হাসিনা: না না আপনার রেড টেলিফোনের দোষ দিয়ে মিথ্যা বলার তো দরকার নেই।
খালেদা: মিথ্যা বলবো কেন? রেড টেলিফোনের দোষ দেব কেন? ডেটকে তো ডেটই বলবো।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেতার ফোন নম্বর মুখস্থ বলেন।
তখন বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, “এটা আপনার মুখস্থ থাতকেই পারে। আপনার সামনে সাময়িকীও থাকতে পারে।
হাসিনা: আমার সামনে সাময়িকী নেই। আমার সামনে তো ক্যামেরাম্যান ছিল। একটু আগে আমি বিদায় করে দিয়েছি।
খালেদা: রেড ফোনটা যে মৃত সেটা সত্য কথা। এটা বোঝাতে হবে না যে, এই টেলিফোন বেজেছে।এটা আমি বিশ্বাস করবো না।
হাসিনা: এটার খবর তো কালকে নেয়াই যাবে, এটা তো বিষয় না। আমি আমার লোকদের বলে দেব।
খালেদা: কিন্তু যে এটা আপনাকে বলেছে তার বিরুদ্ধে রীতিমতো ব্যবস্থা নেন। কারণ সে সত্য কথাটা বলেনি।
হাসিনা: রেড টেলিফোনে কিন্তু আলাদা একটা এক্সচেঞ্জ।
খালেদা: আলাদাই তো। টেলিভিশনে স্ক্রল দিচ্ছে, আপনি তো নিজে মনে হয় টেলিভিশনের সামনে বসে দেখছেনই।
হাসিনা: না, আমি কিন্তু আমার গণভবনের অফিস রুমে বসে আছি। আর আমার অফিস রুমে কোনো টেলিভিশন নেই। আমার এখনই একটা মিটিং আছে।
খালেদা: না, তাহলে কেন বলা হলো টেলিফোন ঠিক আছে।
হাসিনা: আপনি যখই বলেছেন আপনার টেলিফোন ঠিক নাই তখনই আপনার অফিসের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
খালেদা: আমি তো আধা ঘণ্টা হলো বসে আছি। এটা তো জানাই ছিল আমাদের এই টেলিফোনে কথা হবে। আমি তো এক্ষুণি আধা ঘণ্টা হলো বসে আছি। আপনার টেলিফোন আসবে। আমি কেন আপনার সঙ্গে কথা বলবো না। আমরা আগেও অনেক কথা বলেছি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে এক সঙ্গে কাজও করেছি। আপনার বাসায় গেছি বহুবার। আপনি এসেছেন। আমরা তো করেছি। এখনো কেন কথা বলবো না? এখনো করতে চাই। আমরা দেশে স্বার্থ কেন বসবো না।
হাসিনা: এজন্যেই আমি বলেছি। আসুন, ২৮ তারিখে আমরা বসি। দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে।আমরা আলোচনা করি।
খালেদা: না, ২৮ তারিখে আমি যেতে পারবো না। আপনি যদি সত্যি আন্তরিক হন তাহলে এর পরে ডেট দেন। আমি অবশ্যই যাবো।
হাসিনা: কিন্তু আপনি তো কালকে বললেন, দুই দিনে মধ্যে আলোচনায় না ডাকলে হরতাল দেবেন।
খালেদা: না, এখন তো আমার আর কিছুই করার নেই।
হাসিনা: না, আপনি তো নিজেই বলেছিলেন। যদি দুই দিনের মধ্যে আলোচনায় না ডাকলে হরতাল দেবেন।
খালেদা: কিন্তু এখন তো হরতাল দিয়ে দিয়েছি। আপনার আগেই ডাকা উচিত ছিল।
হাসিনা: আপনি কালই তো বলেছেন। আপনি নিজেই নিজের বক্তব্য শুনুন।
খালেদা: শুনেছি, আপনাদের তো বাংলাদেশের মানুষ ভরসা পায় না।আমি বলেছি।
হাসিনা: আমি তো দুদিনের আগেই আপনাকে ফোন দিয়েছি।
খালেদা: এটা তো ১৮ দলের কর্মসূচি, ১৮ দল মিলে এই কর্সসূচি ঠিক করা হয়েছে।
হাসিনা: আপনি কাল কী বলেছেন শুনুন।
খালেদা: হ্যাঁ, আমি বলেছি। আ্মি এও বলেছি কর্মসূচি ও আন্দোলন এক সঙ্গে চলবে।
হাসিনা: আমি তো দুদিনের আগেই আপনাকে ফোন দিয়েছি।
খালেদা: এটা তো ১৮ দলের কর্মসূচি।
হাসিনা: হ্যাঁ, ১৮ দলের সঙ্গে বসেই ঠিক করেন।
খালেদা: আমি এখন ১৮ দলকে পাবো কোথায়।
হাসিনা: ১৮ দলকে আপনি পাবেন না। আপনি ডাকলেই তো হবে। আপনি ডাকলে আসবে না, এটা কেউ বিশ্বাস করবে।
খালেদা: বিশ্বাস করবে না ঠিক আছে, কিন্তু তাদের তো পাওয়া যাবে না। আপনার পুলিশ তো তাদের সব সময় হয়রানি করছে।
হাসিনা: আপনি বললেন দু-দিনের মধ্যে আলোচান শুরু করতে হবে। আমি তো দুদিন আগেই ডাকলাম। আপনি আপনার কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
খালেদা: সেটা তো আর হবে না। আগামী কর্মসূচিতে সেটা দেখা হবে।
হাসিনা: আপনি বলেছেন, দুদিনের মধ্যে ডাকলে হরতাল দেবেন না। আমি তো দুদিনের মধ্যেই ডাকলাম।
খালেদা: আপনি কালকে ডাকলেও পারতেন।
হাসিনা: আমি তো রাত জাগি না।
খালেদা: রাত জাগেন না আমি জানি, কিন্তু আমি তো সন্ধ্যা বেলায় অফিসেই ছিলাম।
হাসিান: আমি তো সন্ধ্যা বেলায় নামাজ পড়ি, কুরআন তেলাওয়াত করি।
খালেদা: হ্যাঁ, আপনি নামাজ পড়েন, কুরআন তেলওয়াত করেন, আবার হুজুরও মারেন, সবকিছুই করেন।
হাসিনা: আপনারা কী করেন সেটাও সবাই জানে। কুরআর পুড়ান, মসজিদে আগুন দেন।
খালেদা: কুরআর শরিফ আপনারা পুড়িয়েছেন। কারণ এগুলো আপনারা বিশ্বাস করেন না।..২০ অক্টোবরের পরে তারিখ দেন। এর পরে যদি চান আলোচনা হবে।এর আগে আলোচনার সুযোগ নেই।
হাসিনা: আপনি যে সময় দিয়েছিনে আমি সেই সময়ের মধ্যেই আপনাকে ফোন দিয়েছি। এখন আপনি যদি আপনার বক্তব্য থেকে সরে আসতে চান..
খালেদা: আমি তো এখন আার দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বরদের পাবো না। আমি তো ১৮ দলের নেতাদের পাবো না। আমি কার সঙ্গে কথা বলে এটা ঠিক করবো আপনিই বলেন।
হাসিনা: আপনি ডাকলে পাবেন না। এটা কোনো কথা হলো। আপনি হুকুম দিলেই হবে। আপনি এটুকু পারবেন না।
খালেদা: আপনার প্রসাশন আমার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে, নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। আমার নেতারা আসবে কী করে। আপনিই বলেন।
হাসিনা: আপনি ইচ্ছে করলেই পারেন। আপনি যে ঘোষণা দিয়েছিলেন আপনারটা আপনি করেন।
খালেদা: সেটা হতে পারে না।
হাসিনা: এই জ্বালাও পোড়াও নৈরাজ্য, দা কুড়াল..
খালেদা: জ্বালাও পোড়াও, দা কুড়াল আপনারা করেন, বিশ্বজিৎকে আপনার ছেলেরা কুপিয়ে হত্যা করেছে।আমরা ২৯ তারিখের আগে যেতে পারবো না।
হাসিনা: বিশ্বজিৎকে হত্যাকরীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিচারও হচ্ছে।
খালেদা: যাদের দেখা গেছে গ্রেফতার করা হয়নি। সব নিরীহ মানুষকে ধরেন যদি তাহলে তো হবেই।
হাসিনা: অবশ্য তাদের গ্রেফতার করে দেখা দেখে তাদের মা-বাবা কেউ জামায়াত করে, কেউ বিএনপি করে।
খালেদা: না তারা ছাত্রলীগ করে এবং ছাত্রলীগই করে।আমি আপনাকে আবারোও অনুরোধ করবো ২৯ তারিখের পড়ে যদি আলোচনা করতে চান তাহলে যেকোনো দিন দেন। আমরা রাজি আছি।
হাসিনা: আপনি নিজে জনগণের সামনে বললেন।এখন আসুন জনগণের কথা চিন্তা করে হরতাল প্রত্যাহার করুন। নিজের সেই কথাই রাখুন।
খালেদা: আমি পারবো না। ২৯ তারিখের পরে যেন আমাদের আর কোনো কর্মসূচি ডাকতে না হয়। এর পরে ডাকেন।
হাসিনা: তাহলে আপনি কাল যে বক্তব্য দিয়েছিলেল।
খালেদা: আমি কিন্তু বলেছি। এখন এখন এই কর্মসূচি থেকে আমাকে ফেরানোর পথ নেই। আপনি ৩০ তারিখের পরে ডাকেন আমি যাব।
হাসিনা: আমার একটা মিটিং আছে এখন আমাকে যেতে হবে।আমি আবারো আপনাকে অনুরোধ করবো, আপনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা মানুষের কাছে বলুন।আপনি যদি না পারেন তাহলে আপনার ভারপ্রাপ্ত আছেন তাকে বলুন। যদিও ভারপ্রাপ্ত তারপরও কিছুটা ভার হয়তো বইতে পারেন।তাই ভারপ্রাপ্ত..
খালেদা: এটা আপনাদের ছিল। সুতরাং এগুলো কথা তুলবেন না।
হাসিনা: আমি অনুরোধ করবো আপনি যে কথা বলেছেন সেই কথাই জাতির সামনে তুলে ধরেন..
খালেদা: না এখন আর সেই সুযোগ নেই।
হাসিনা: হরতাল প্রত্যাহার করুন।
খালেদা: আপনি যদি আগেই ফোন করতেন তাহলে হতো। আমি রাতেই মিটিং ডাকতাম।
হাসিান: আমি তো আপনার সময়ের মধ্যেই ফোন দিয়েছি।
খালেদা: ১০টা কেন আমি ৭টা থেকে আমার অফিসে বসেছিলাম। আলোচনা তো আমাকেও করতে হবে। আপনি যদি আগে ফোন করতেন তাহলে আমি সবাইকে ডেকে বলতাম, প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছেন তিনি আলোচনায় বসতে চান।
হাসিনা: আমি তো দু দিনের মধ্যেই ফোন করেছি।আপনি আপনাদের হরতাল প্রত্যাহার করে নেন।
খালেদা: আপনি কি মনে করেন এই হরতালই আমাদের শেষ কর্মসূচি?
হাসিনা: না, আমি জানি আপনি আরো হরতাল দেবেন। আপনি এর আগেও ১৯৯৯ সালেও হরতাল করেছেন।
খালেদা: আপনিও ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন। করেননি? ১৯৯১ সালে আমরা এক সঙ্গে এরশাদবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আপনি তখন বিরোধী দলে গেলেন। বললেন, আমাকে এক মুহূর্তও শান্তিতে থাকতে দেবেন না। তত্ত্বাবধায়ক, এটা কে চেয়েছিলো? আপনি তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া তখন মানবেনেইনি, আর এখন বলছেন আপনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আবার ডিসিদের ভোট চাইছে বলেছেন।
হাসিনা: আমি কী কথা বলেছি তা পত্রিকায় আছে।
খালেদা: হ্যাঁ, পত্রিকাতেই এসেছে।ডিসিদের ভোট চাইতে বলেছেন।
হাসিনা: আমার দলে লোকের অভাব নেই। ভোট চাইবার লেকেও অভাব নেই। আমাকে ডিসিদের দিয়ে ভোট চাইতে হবে।আমরার দল সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই জন্ম নিয়েছে।
খালেদা: আমার দলও অনেক সংগ্রাম করেছে।আপনি যে কথা কথা বলছেন এটার প্রেক্ষিতে কথা আসেবই।
হাসিনা: আমি আপনার দেয়া সময়ের মধ্যেই ফোন করেছি এখন আপনি হরতাল প্রত্যাহার করেন।
খালেদা: আপনি সময় মতো আমাকে ফোন দেননি।আপনি যদি সময়মতো ফোন করতেন তাহলে পরিস্থিতি পরিবেশ অন্যরকম হতো।
হাসিনা: আমি আপনাকে ফোন করেছি। কিন্তু পাইনি। আপনি বলছেন ফোন নষ্ট।
খালেদা: আমি মনে করেছিলাম আপনি ফোন দেবেন। কিন্তু আপনি ৯টায়ও ফোন দিলেন না। তখনও আমি বসেছিলাম আমার অফিসে। আমার নেতারাও ছিলেন।কিন্তু আপনি তো আমাকে সেই সুযোগ দিলেন না।
হাসিান: আমার একটা জরুরি মিটিং আছে। আমি কোনো মিটিং এ দেরি করা পছন্দ করি না।
খালেদা: আপনি যদি মনে করেন, মিটিং ইনপরটেন্ট নাকি এইটা ইনপরটেন্ট। তাহলে আপনি মিটিং করতে পারেন। তাছাড়া আপনি মিটিংয়ে থেকেও ফোন করতে পারতেন।
হাসিনা: না, সবই ইনপরটেন্ট। আমি তো ফোন দিলাম, এখন আপনি আপনার কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
খালেদা: আমি এখন কিভাবে কর্মসূচি প্রত্যাহার করতো?
হাসিনা: আপনি এককভাবে একটা সিদ্ধান্ত নেন।
খালেদা: এককভাবে কিভাবে সিদ্ধান্ত নেব?
হাসিনা: আপনি বলেন, আমি আপনকে অনুরোধ করেছি, সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে।
খালেদা: না এটা হবে না..
হাসিনা: এই কথা জনগণের সামনে বলেন।
খালেদা: তাহলে আপনি বলেন, আপনি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিয়েছেন। তাহলে আমি হরতাল উড্ড করে নেব।
হাসিনা: আমার ৯০ ভাগ সিট থাকার পরেও আমি আপনাকে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছি।
খালেদা: আপনার সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করতে পারিনি।আপনি যদি এখন বলেন আপনি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নেবেন তাহলে আমি হরতাল প্রত্যাহার করে নেব।
হাসিনা: যারা মাইনাস টু করতে চেয়েছিল আপনি কেন তাদের সুযোগ দিতে চাইছেন?
খালেদা: এটা আমি কেন চাইবো? আপনি যে ভাষায় কথা বলেন..
হাসিনা: না, আপনি তো মধুর ভাষায় কথা বলছেন।
হাসিনা: এখন আমি প্রধানিমন্ত্রী, আপনি বিরোধী দলীয় নেতা, আবার আপনি প্রধানমন্ত্রী আমি হয়তো বিরোধী দলে থাকবো। কখনো আমি কখনো আপনি..
খালেদা: আপনার তো মিটিং আছে। আপনার আবার মিটিংয়ে দেরি হয়ে যাচ্ছে। সব কথা ফোনে হয় না।
হাসিনা: তাহলে আপনি হরতাল উড্ড করেন।
খালেদা: না, তার আগে আপনি বলেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেবেন।
হাসিনা: এটা নিয়ে আলোচনা হবে।
খালেদা: সরকার সর্বদলীয় হবে না, নির্দলীয় হবে? প্রস্তাব আপনারটা থাকবে না আমার টা থাকেবে এটা নিয়ে আলোচনা হবে। শুধু আপনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেবেন। তাহলে আমরা হরতাল প্রত্যাহারে করে নেব। রাতের মধ্যেই সবাইকে ডেকে মিটিং করবো। আমরা কালই আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবো।
হাসিান: আপনি বলেন সর্বদলীয় সরকার মেনে নেবেন।
খালেদা: না এটা মানা যায় না..
নতুন বার্তা/এইচএইচ/জবা
বিষয়: বিবিধ
১৭৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন