আমি আল্লাহর গযবের আশংকা করছি
লিখেছেন লিখেছেন সাদিক বিন সাঈদ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:৩৭:৩৫ রাত
হয়তবা অনেকেই আমার এ স্টাটাসকে আবোল তাবোল বলে উড়িয়ে দিবে কিন্তু আমি তারপরও আমার আশংকার কথা লিখবই। আমি আল্লাহর গযবের আশংকা করছি এবং খুব দ্রুতই এটা আসবে সে ধরনের আশংকাই করছি। কেন করছি তা নিচের আয়াতটি একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করলেই বুঝতে পারা যাবে -
আর সমুদ্রের তীরে যে জনপদটি অবস্থিত ছিল তার অবস্থা সম্পর্কেও তাদেরকে একটু জিজ্ঞেস করো৷ তাদের সেই ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দাও যে, সেখানকার লোকেরা শনিবারে আল্লাহর হুকুম অমান্য করতো এবং শনিবারেই মাছেরা পানিতে ভেসে ভেসে তাদের সামনে আসতো৷অথচ শনিবার ছাড়া অন্য দিন আসতো না৷ তাদের নাফরমানীর কারণে তাদেরকে আমি ক্রমাগত পরীক্ষার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছিলাম বলেই এমনটি হতো৷ [সুরা আরাফঃ ১৬৩]
একটু লক্ষ করুন পাঠক এখানে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্যে মহান আল্লাহ যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন তার মধ্যে এও একটি পদ্ধতি যে, যখন কোন ব্যক্তি বা দলের মধ্যে আনুগত্য বিচ্যুতি ও নাফরমানীর প্রবণতা বাড়তে থাকে তখন তাকে আরো বেশী করে নাফরমানী করার সুযোগ দেয়া হয়। যেন তার যেসব প্রবণতা ভেতরে লুকিয়ে থাকে সেগুলো পুরোপুরি উন্মুক্ত হয়ে যায় এবং যেসব অপরাধ সে নিজেকে কুলষিত করতে চায় কেবলমাত্র সুযোগের অভাবে সে সেগুলো থেকে বিরত থেকে না যায়।
এখন আসি শাহবাগের আন্দোলনের কথা, আমার এমন সব বন্ধু, আত্মীয় এবং অনেক পরিচিত তারা জেনে বা না জেনে শাহবাগের এই ইসলাম বিরোধী তৎপরতার সাথে ফেসবুকের স্ট্যাটাস অথবা সশরীরে গিয়ে একাত্মতা ঘোষনা করেছে যে আমি পূর্বে কোন দিনই কল্পনা করতে পারি নি। এমনকি আপনারা দেখলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও সেখানে গিয়ে এই তথাকথিত আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে, কেউ কি কল্পনা করেছিল। আল্লাহ এবার সবার মনের রোগ অন্তরের ব্যাধি প্রকাশ করে দিলেন। এখন দেখুন কি হয়েছিল শনিবারের হুকুমের অমান্যকারীদের -
তারপর যে কাজ থেকে তাদেরকে বাধা দেয়া হয়েছিল তাই যখন তারা পূর্ণ ঔদ্ধত্যসহকারে করে যেতে লাগলো তখন আমি বললাম, তোমরা লাঞ্ছিত ও ঘৃণিত বানর হয়ে যাও৷ [সুরা আরাফঃ ১৬৬]
আল্লাহ এদেরকে সঠিক পথ দেখাক এটাই আমার আশা, তাদেরকে ক্ষমা করে দিক। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে সময় শেষ। আল্লাহর ফায়সালা নিকটবর্তী।
বিষয়: রাজনীতি
১০৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন