কটূক্তিকারীদের বিচার হওয়া উচিত: ইফাবা ডিজি ও অপ্রিয় কিছু কথা।

লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ সাব্বির ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৭:২৩:২২ সন্ধ্যা

সংবাদঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেছেন, যারা নবী করিম সা.-এর বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছে তারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। তাদের বিচার অবশ্যই করা হবে।

স্থানীয় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যদের মধ্যে ঋণ ও আর্থিক সাহায্যের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, “ইমাম-মুয়াজ্জিনের ছদ্মাবরণে হাজার হাজার জামায়াত শিবিরকর্মীরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ঢুকে পড়েছে তাদের ছাঁটাই করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে জামায়াত-শিবির মুক্ত করতে হবে।”

তিনি বলেন, “যারা ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিক নন তারা আজ দেশে কোরআন-হাদিসের তাফসির রচনা করছে, যাতে এর যথার্থতা নষ্ট হচ্ছে।”

নাটোরের জেলা প্রশাসক জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ, নাটোর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

পরে প্রধান অতিথি ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত স্কুল ও মক্তবের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে ৩৬ জনকে ঋণ ও এককালীন আর্থিক সাহায্যের মোট দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।

মতবিনিময় সভা হলেও সেখানে প্রশ্নোত্তর বা মতবিনিময় না করে শুধু আয়োজকরা একতরফা বক্তব্য প্রদান করায় আগতদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

নাটোর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক আয়োজিত এক মত বিবিনিময় সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে-দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ প্রাপ্ত এ ডিজি ইসলামের হেফাজতে কি কি অবদান রেখেছেন? তার উল্লেখ যোগ্য অবদানের মধ্য কিছু অবদান উল্লেখ করছি-

১. ইফাবা কতৃক আয়োজিত মাসব্যাপি ইমাম প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে বিদেশী মহিলা দ্বারা উলঙ্গ নৃত্য প্রদর্শন।

২. বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলাম রক্ষার নামে (ইসলামকে একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বন্দী করে) সারাদেশ থেকে ইসলাম র্নিমূল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

২. বাংলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জঙ্গী আখ্যায়িত করে বাইতুল মোকাররম-এ নামাজ আদায়ে বাধা প্রদান করার জন্য বাইতুল মোকাররম-এর উত্তর গেট-এ তালা ঝুলানোর সুপারিশ প্রদান।

৩. হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে ধর্ম ও ইসলাম রক্ষার আন্দোলনকে জামায়াত রক্ষার জঙ্গী আন্দোলন বলে ফতোয়া প্রদান।

৪. আওয়ামী শাসনামলে ইসলাম বিদ্বেষী সকল কাজের বৈধতা প্রদানার্থে ফতোয়া দেয়া।

৫. আওয়ামী লীগ ইসলাম রক্ষার হাতিয়ার এই কথাগুলো জনগণের মাঝে প্রচারের প্রচার সম্পাদক হিসেবে কাজ করা।

৬. শাহবাগী নাস্তিকদের খাঁটি মুমিন প্রমান করার চেষ্টা।

৭. আওয়ামীলীগ সরকারের অঘোষিত ধর্মীয় সম্পাদক হিসেবে জাতিকে ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ও বিভ্রান্তিমূলক বিবৃতি প্রদান করার চেষ্টা।

সর্বোপরি আওয়ামী সরকারের একজন খাঁটি দালাল হিসেবে সরকারের সকল কাজের ইসলামিক বৈধতার সনদ প্রদান করে থাকে যে বেটা আবার নাস্তিকদের বিচার চায়। চোরের মায়ের বড় গলা। আমি হাসবো না কাঁদবো? এই বেটা দালালই ইসলাম অবমাননা ও মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানার মূল হোতা। এর নেতৃত্বেই সকল মসজিদে বাংলা খুতবা দেওয়া বন্ধ করার আদেশ দেয়া হয়। এর কারণেই ধর্মপ্রাণ আলেম-ওলামাদের ভিনদেশী মেয়েদের উলঙ্গ নাচ দেখতে হয়। তাই এই শয়তানটাকে সবার আগে ফাঁসিতে ঝুলানো দরকার।

বিষয়: বিবিধ

১২৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File