ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আমাদের বেহায়াপনা
লিখেছেন লিখেছেন চেয়ারম্যানের বউ ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৭:৩৯:০১ সন্ধ্যা
আন্তর্জাতিক বেনিয়া সাম্রাজ্যবাদীরা 'বিশ্ব ভালবাসা দিবস' এর নামে যুবক-যুবতীদের জৈবিক ও বিবাহোত্তর বেহায়াপনা উস্কে দিচ্ছে। যুবক-যুবতীদের বয়সের উন্মাদনাকে পুঁজি করে তারা তাদেরকে অশ্লীলতার পঙ্কিলতার মধ্যে ডুবিয়ে দিয়ে তাদের সাম্রাজ্যবাদী ও বাণিজ্যিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়। বর্তমান যুগে 'বিশ্ব ভালবাসা দিবস' নাম দিয়ে এটিকে 'ধর্ম নিরপেক্ষ' বা সার্বজনীন রূপ দেওয়ার একটি সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত কার্যকর হচ্ছে। যে দিবসটির কথা কয়েক বৎসর আগে দেশের কেউই জানতো না, সে দিবসটির কথা জানে না এমন মানুষ দেশে নেই বললেই চলে।
এই বেহায়া দিবস প্রসারের শাস্তি কুরআন- হাদীসের আলোকে উপস্থাপন করছিঃ
১. মহাগ্রন্থ আল কুরআনে বলা হয়েছে, ''তোমরা নিকটবর্তী হয়ো না ব্যভিচারের; নিশ্চয়ই তা অশ্লীল এবং নিকৃষ্ট আচরণ।'' (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ৩২)
২. মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ''যারা মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।'' (সূরা আন-নূর, আয়াতঃ ১৯)
৩. মহান আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ''তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। সে তো এ নির্দেশই তোমাদিগকে দেবে যে, তোমরা অন্যায় ও অশ্লীল কাজ করতে থাক এবং আল্লাহর প্রতি এমন সব বিষয়ে মিথ্যারোপ কর যা তোমরা জান না।'' (সূরা বাকারা, আয়াতঃ ১৬৮-১৬৯)
৪. পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ আরো বলেন, ''হে রাসূল (সঃ)! আপনি বলে দিনঃ আমার পালনকর্তা কেবলমাত্র অশ্লীল বিষয়সমূহ হারাম করেছেন যা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং হারাম করেছেন গোনাহ, অন্যায়-অত্যাচার আল্লাহর সাথে এমন বস্তুকে অংশীদার করা, তিনি যার কোন, সনদ অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহর প্রতি এমন কথা আরোপ করা, যা তোমরা জান না।'' (সূরা আরাফ, আয়াতঃ ৩৩)
৫. পবিত্র কুরআনে আরো বলা হয়েছে, ''আর যে কেউই ইসলাম ছাড়া অন্য কোন জীবন-ব্যবস্থা আকাঙ্খা করবে, তা কখনোই তার নিকট হতে গ্রহণ করা হবে না, এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন।'' (সূরা আলে ইমরান, আয়াতঃ ৮৫)
৬. হাদীস শরীফে আছে, রাসূল (সঃ) বলেছেন, ''যে জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্লজ্জতা প্রকাশমান, পরে তারা তারই ব্যাপক প্রচারেরও ব্যবস্থা করে, যার অনিবার্য পরিণতি স্বরূপ মহামারি, সংক্রামক রোগ এবং ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ এত প্রকট হয়ে দেখা দিবে, যা তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে কখনই দেখা যায় নি।'' (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪০০৯)
৭. রাসূল (সঃ) আরো বলেছেন, ''মহান আল্লাহ তায়ালা আদম সন্তানদের জন্য ব্যভিচারের একটি অংশ লিখে দিয়েছেন, যা সে নিশ্চিত ভাবে পাবে। যেমনঃ চোখের ব্যভিচার হল- দেখা, মুখের ব্যভিচার হল- কথা বলা, মনের মধ্যে কামনা ও বাসনার জাগ্রত হয় আর লজ্জাস্থানের মাধ্যমে তা সত্য বা মিথ্যা প্রমাণিত হয়।'' (সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৬৬১২)
'ভ্যালেন্টাইনস ডে' বা অন্য কোন নামে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা সমর্থন করা, প্রশ্রয় দেওয়া বা অশ্লীলতার বিরুদ্ধে সোচ্চার না হওয়া আপনার দুনিয়া ও আখেরাতের জীবন ধ্বংস করবে এবং আপনার, আপনার পরিবার ও সমাজে মহান আল্লাহর সুনিশ্চিত গযব বয়ে আনবে।
আসুন, আমরা সকলে 'ভ্যালেন্টাইনস ডে' নামক অশ্লীলতাকে 'না' বলি এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সেই তাওফীক দিন। আমিন!
বিষয়: বিবিধ
১৮১০ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপ্নেরা যা শুরু কর্ছেন তাতে তো দেহি একডু প্রেম ভালুবাসাও করন যাইবো নাহ!!!
চ্যার্ম্যানের বউ হইছেন বৈল্য়া কি বেবাকের মুন্ডু কিন্যা নিছেন???
মন্তব্য করতে লগইন করুন