ব্রেকিং নিউজঃ কাদের মোল্লার রায় বুধবার সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত স্থগিত
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রবিউল ইসলাম প্রফেসর এ্যাকাউন্টিং বিআইইউ ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:২৯:৪৯ রাত
কাদের মোল্লার রায় বুধবার সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত স্থগিত।
আল্লাহ মহান। আলহামদুলিল্লাহ।
কাদের মোল্লার মেয়ের স্টাটাস।
একজন বিরঙ্গনা বোনের স্ট্যাটাস!! প্রিয় নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা সাহেবের মেয়ের সর্বশেষ ফেসবুক স্টাটাস- "আব্বু, আপনার কথা চিন্তা করতেছি না এমন একমুহুর্তও মনে হয় নাই। মিক্সড একটা ফিলিংস-এ ভুগতেছি। যদি ফাঁসি দিয়ে দেয় শেষ পর্যন্ত!!! একবার চিন্তা করি আমার আব্বু শহীদের মর্যাদা পাবেন। আমি শহীদের এর মেয়ে হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারব। আপনার উপর proud feel করি। আপনি সরাসরি জান্নাতে যাবেন। জান্নাতে গেলে আমাকেও কিন্তু নিবেন সঙ্গে। জান্নাতিরা নাকি সঙ্গে করে আরো কয়েকজনকে নিতে পারে। আব্বু, আপনার এই দুষ্ট, পাজি মেয়েটাকে কিন্তু সাথে নিয়েন। নইলে কিন্তু আমার আর ভরসা নেই... পরক্ষনেই আবার চিন্তা করি শহীদী মৃত্যু আমরা চাই। কিন্তু এভাবে মিথ্যা অপবাদ কাঁধে নিয়ে মৃত্যু আমরা মানতে পারি না। আপনার সাথে জুলুম, অবিচার, অন্যায় করা হয়েছে, হচ্ছে। আপনার মত নিরপরাধ ভালো মানুষকে কসাই বলা হচ্ছে। না এটা মানতে পারি না। আপনার এভাবে মৃত্যু আমরা চাই না। কিন্তু কিছুই করতে পারতেছি না চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া। আব্বু আপনার যদি কিছু হয়েই যায়, আমাদের মাফ করে দিবেনতো?? আপনি মাফ করলেও এভাবে বসে বসে আঙ্গুল চোষার জন্যে নিজেকে কখনো মাফ করতে পারব না"...
15.
কাদের মোল্লার আইনজীবির স্টাটাস।
১০-১২-১৩ আজ সকালে কারাগারে আব্দুল কাদের মোল্লা সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। মৃত্যুদন্ডের চূড়ান্ত আদেশ প্রাপ্ত একজন মানুষের সাথে এরূপ সাক্ষাৎকার এটাই আমার জীবনে প্রথম। আমি মুগ্ধ ও স্তম্ভিত। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কি করে একজন মানুষ এমন অবিচল ও শংকাহীন থাকতে পারে? একজন সত্যিকার ইসলামী আন্দোলনের নেতার মতোই স্মিত হেসে আমাদের সাথে কথা বলছিলেন তিনি। আইনী বিষয়ে পরামর্শের পাশাপাশি তিনি বলছিলেন তার নিজের কথা। বললেন তিনি জীবনে যেসব অপরাধের কথা চিন্তাও করেননি তার দায় তার উপরে চাপানো হয়েছে। যে জায়গায় তিনি কখনো যাননি, যাদের কখনো দেখেননি সেই জায়গায় ঐসব লোকদের হত্যার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। ভূয়া ও সাজানো লোকদেরকে সাক্ষী বানিয়ে আদালতে আনা হয়েছে। এমন কঠিন অবস্থায় কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- “আজীবন শহীদি মৃত্যু কামনা করেছি। অনেক আগে ছাত্রজীবনে শহীদ সাইয়েদ কুতুবের শাহাদাতের ইতিহাস বলতে গিয়ে অধ্যাপক গোলাম আজম আমার গলায় ¯েœহের হাত রেখে বলেছিলেন, একদিন এই ফাঁসির দঁড়ি তোমার গলায়ও পড়তে পারে।” এ ইতিহাস বলতে গিয়ে ক্ষণিকের জন্য আবেগাপ্লুত হলেন তিনি। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন। “আব্দুল কাদের মোল্লা কোন অপরাধ করেনি। তোমরা নিশ্চিত থাকো, তার মাথা উঁচু ছিলÑ উঁচুই থাকবে। তোমরা কখনো আমার চোখে পানি দেখবে না ইনশাআল্লাহ।” মুহূর্তেই ছোট খাটো শরীরের এই মানুষটি আমার কাছে চোখে অসীম হিমালয়ের মত উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। আর আমার দু’চোঁখের জমাট বরফ কেন যেন শ্রাবনের অবাধ্য মেঘ হয়ে ঝরে পড়তে লাগলো...........।
বিষয়: বিবিধ
১২৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন