অবাধ মেলামেশার হাতছানীঃ শিক্ষামন্ত্রীর নিরব চক্রান্ত।
লিখেছেন লিখেছেন হলদে ডানা ২৮ জুলাই, ২০১৪, ১০:০৮:২৬ রাত
প্রাপ্ত বয়স্ক একটি ছেলে প্রাপ্ত বয়স্ক একটি মেয়ের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবে, এটি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালারই নির্ধারিত একটি বিধান। প্রাপ্ত বয়স্ক একটি ছেলে প্রাপ্ত বয়স্ক একটি কাঁঠাল গাছের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেনা, অথবা প্রাপ্ত বয়স্ক একটি পাতি শিয়ালের প্রতিও কোন আকর্ষণ অনুভব করেনা। তার মানে আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছে করেই পরিকল্পিতভাবেই মেয়ের প্রতি ছেলের এবং ছেলের প্রতি মেয়ের ভাললাগা মানুষের জীবন সফটওয়্যারে বিল্ট-ইন দিয়ে দিয়েছেন।
এই আকর্ষণের চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে বিয়ে অর্থাৎ পরিবার। পরিবার গঠন ও টিকিয়ে রাখার জন্যই আল্লাহ তায়ালা ছেলে মেয়ের মধ্যে এই আকর্ষণ সৃষ্টি করে দিয়েছেন কারণ সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে পরিবার। কিন্তু পৃথিবীতে যত মেয়ে ভাল লাগে সবাইকে তো বিয়ে করা সম্ভব নয়, অথবা যত ছেলে পছন্দ হয় সবার সাথে তো বিয়ে বসা সম্ভব নয়। সুতরাং সুনির্দিষ্টভাবে যার সাথে বিয়ে হবে তার সাথেই কেবল ভাল লাগা, ভালবাসা, বন্ধুত্বের প্রকাশ ঘটানো বৈধ হবে, অন্য কারো সাথে নয়। এবং যতক্ষণ কারো সাথে বিয়ে না হবে ততক্ষণ আকর্ষণটুকু সংবরণ করে রাখতে হবে, কোন ছেলে কোন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব থেকে বিরত থাকবে, আবার কোন মেয়ে কোন ছেলের সাথে বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকবে- এটাই স্রষ্টার বিধান। এই বিধানটার নামই পর্দা।
পর্দার এই বিধান কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়, সমাজ ও সভ্যতার শৃঙ্খলার জন্য, কল্যাণের জন্য। ট্রাফিক পুলিশ চৌরাস্তার তিন পাশ আটকে রাখে সেই যাত্রীদের কষ্ট দেয়ার জন্য নয়, সুবিধার জন্যই যেন তারা কিছুক্ষণ পর নির্বিঘ্নে যেতে পারে। চৌরাস্তার সব পাশই যদি খোলা থাকে, সে স্বাধীনতা চরম বিশৃঙ্খলা আর ভোগান্তিই ডেকে আনবে।
আমাদের শিক্ষা মন্ত্রীর নেতৃত্বে ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশার উৎসাহ ও উস্কানি দিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে যা সমাজে চরম বিশৃঙ্খলা ডেকে আনতে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রী, তার সরকার ও সাগরেদগণ যদি সমাজ ধ্বংসের এ কর্মকাণ্ড থেকে ফিরে না আসেন, তাদের উপর আল্লাহর গজব নাজিল হোক। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সূরা নং ২৪, সূরা আন নূর- আয়াত ১৯, "যারা চায় মুমিনদের সমাজে অশ্লীলতার প্রসার ঘটুক, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে।"
প্রসঙ্গত উদাহরণ দিতে হয়, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ওবাসান্জো ২০০০ সালের জি-৮ সম্মেলনে আক্ষেপের স্বরে বলেছিলেন, "১৯৮৫-৮৬ সালে আমরা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিলাম, সেই ঋণ সুদে আসলে এখন পর্যন্ত ১৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পরও আরও ২৮ বিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। যদি কেউ জিজ্ঞেস করে পৃথিবীর সবচে নিকৃষ্ট জিনিস কি, নিঃসন্দেহে আমি বলবো তা হচ্ছে চক্রবৃদ্ধি হারে সূদ।"
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট সূদের ভারে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে হাবুডুবু খেয়ে অবশেষে বুঝেছেন সূদ বড়ই নিকৃষ্ট জিনিস। অথচ চৌদ্দশ বছর আগেই আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিয়েছিলেন, সূরা নং ৩, সূরা আল ইমরানের ১৩০ নং আয়াতে, "হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সূদ খেয়োনা, আল্লাহকে ভয় করো- আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে, আর ভয় করো সেই আগুনকে যা অবিশ্বাসীদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।"
বিশ্ব জগত ও তার সিস্টেমসমূহকে যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি জানেন কোন কাজ করলে মানুষ কল্যাণ পাবে আর কি করলে মানুষ মুসিবতে পড়বে, সে অনুযায়ী তিনি গাইডলাইন দিয়ে দিয়েছেন। যারা আল্লাহ তায়ালার চেয়ে একটু বেশি বুঝতে চায়, তারা এ দেয়াল ও দেয়ালে বাড়ি খেয়ে অবশেষে নাইজেরিয়ার মত বুঝতে পারে ভুল রাস্তায় হাঁটা হয়েছে।
বাংলাদেশের আওয়ামী সরকার ও তার শিক্ষামন্ত্রী পুরো জাতির আগামী প্রজন্মকে দেয়ালে দেয়ালে টক্কর খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন পাঠ্যপুস্তকের নতুন সংস্করণের মাধ্যমে। আগামী প্রজন্মের ছেলে মেয়েদেরকে পারস্পারিক ধ্বংসাত্মক স্বাধীন ভাল লাগার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়ার রাস্তা দেখানো হয়েছে নতুন পাঠ্যপুস্তকে। এই শিক্ষামন্ত্রী ও তার সরকারের জাতি ধ্বংসকারী চক্রান্ত রুখতে না পারলে জাতিকে চরম মাশুল গুনতে হবে আগামীতে। ঘরে ঘরে বালির বাধ তৈরী করে নৈতিকতার সবক দিয়ে প্রজন্মকে রক্ষা করা যাবেনা যদি শিক্ষা ব্যবস্থায় অশ্লীলতার সয়লাব তৈরীর এ ব্যবস্থা চলমান থাকে। সংশোধনকামী মানুষেরা নিরব থাকলেও সমাজ বিধ্বংসী এই কুচক্রী মহল কিন্তু বসে নেই, নিরবে শেকড় কেটে চলছে।
তথ্য সূত্রঃ
১. http://www.newsevent24.com/2014/07/25/education/144499
২. http://www.newsevent24.com/2014/07/23/education/144030
৩. https://www.facebook.com/sharif.abu.hayat?fref=ts
বিষয়: বিবিধ
১৭৪২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিছু বলা যাবে না কারণ , তারা এসব পড়ছে বা দেখছে তাদের সিলেবাসে আছে বলেই । সন্তানদের ভাল রেজাল্টের আশায় বাবা মায়েরা এটা মেনে নিতে বাধ্য ।
যৌন শিক্ষা নিয়ে জামাতীদের হুঁকা হুয়া প্রতিহত কর হবে।
এটা পড়ুন
Click this link
এই আকর্ষণের চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে বিয়ে অর্থাৎ পরিবার। পরিবার গঠন ও টিকিয়ে রাখার জন্যই আল্লাহ তায়ালা ছেলে মেয়ের মধ্যে এই আকর্ষণ সৃষ্টি করে দিয়েছেন কারণ সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে পরিবার। কিন্তু পৃথিবীতে যত মেয়ে ভাল লাগে সবাইকে তো বিয়ে করা সম্ভব নয়, অথবা যত ছেলে পছন্দ হয় সবার সাথে তো বিয়ে বসা সম্ভব নয়। সুতরাং সুনির্দিষ্টভাবে যার সাথে বিয়ে হবে তার সাথেই কেবল ভাল লাগা, ভালবাসা, বন্ধুত্বের প্রকাশ ঘটানো বৈধ হবে, অন্য কারো সাথে নয়। এবং যতক্ষণ কারো সাথে বিয়ে না হবে ততক্ষণ আকর্ষণটুকু সংবরণ করে রাখতে হবে, কোন ছেলে কোন মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব থেকে বিরত থাকবে, আবার কোন মেয়ে কোন ছেলের সাথে বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকবে- এটাই স্রষ্টার বিধান। এই বিধানটার নামই পর্দ
কে দিল উনাদের এ বিদ্যা?উনারা কি দেশের যুব সমাজকে হাতে রাখতে এ নীতি গ্রহণ করেছেন?দেশ আর যুব সমাজ জাহান্নামে যাক,খমতায় যে করেই হোক থাকতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন