সারাদিনের শেষে একটু আত্ন-সমালোচনা...
লিখেছেন লিখেছেন লেখক ভাই ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:৫৩:৩৮ বিকাল
আজ পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। সামর্থ্যবান'রা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কুরবানী করেছি। এবার একটু ভাবুন, আমাদের কুরবানী কতটুকু সফল। সারাদিনের শেষে করে নিই একটু আত্ন-সমালোচনা...
১) আল্লাহকে রাজি-খুশি করতে, নাকি পশু জবাই করে গোশত খেতে পশু কুরবানী করেছি? মনের ভিতরের নিয়ত কি ছিল?
২) মনের নিয়ত যেমনই হোক না কেন, কাজে আমরা কি প্রমাণ করেছি?
৩) পশু আমরা ঠিকই কুরবানী করেছি, কিন্তু অন্তরের পশুত্ব'কে কতটুকু দুর করতে পেরেছি?
৪) কুরবানীর গোশত তিন ভাগে ভাগ করে একভাগ গরিব-মিসকিনদের দিয়েছি ঠিকই, কিন্তু গোশতের ভাল অংশ নিজে রেখে দিয়ে, হাড্ডি-চর্বিগুলো গরিব-মিসকিনদের দিইনি তো?
৫) গরিব-মিসকিনদের জন্য করে রাখা ভাগের গোশত শেষ হয়ে যাওয়ায়, শেষের দিকের গরিব-মিসকিনগুলো খালি হাতে ফিরে যায়নি তো? নিজের ভাগ থেকে কি আরেকটু বেশি গোশত তাদের জন্য রাখা যেত না?
৬) গরু-খাশী দুটোই কুরবানী দিয়ে শুধুমাত্র গরুর গোশত গরিব-মিসকিনদের দিইনি তো?
৭) আমাদের প্রতিবেশী কোন মুসলমান, যিনি কুরবানী দিতে অক্ষম ও কারো কাছে গোশত চাইতেও অক্ষম, এমন কেউ আমাদের দেওয়া কুরবানীর গোশত থেকে বঞ্চিত হয়নি তো? তাদের খোঁজ নিয়েছি তো?
৮) কুরবানীর গোশতের বিনিময়ে কাউকে দিয়ে কোন কাজ করিয়ে নিইনি তো?
৯) কুরবানীর গোশত কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহারের নিয়তে রেখে দিইনি তো?
১০) কুরবানীর চামড়া বিক্রয়ের টাকা, এতিম-গরিব-মিনকিনদের হক। এই টাকা কোন মাজারে কিংবা মাজার পুজারীদের হাতে তুলে দিইনি তো?
১১) আমাদের দেওয়া কুরবানীর পশুর বর্জ্যে অন্য মানুষের রাস্তায় চলাচলে সমস্যা করছে না তো? মনে রাখতে হবে, মানুষ দিয়ে হোক, আর নিজের হাতেই হোক, পরিস্কারের দায়িত্ব কিন্তু নিজেরই!
১২) সর্বোপরি, গতকাল পর্যন্ত আমরা যেমন ছিলাম, আজ কুরবানীর শিক্ষা নিয়ে গতকালের চাইতে নিজেকে কতটুকু পরিশুদ্ধ করতে পেরেছি? নিজের ভিতর কতটুকু পরিবর্তন আনতে পেরেছি? যদি উত্তর হয় গতকালও যেমন ছিলাম, আজও তেমন আছি, তবে আমাদের কুরবানী শুধু গোশত খাওয়ার কুরবানীই হয়ে গেল। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন একেবারেই শুণ্য।
মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ
বিষয়: বিবিধ
১২২৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কুরবানির সময় বোধহয় প্রতিবেশিদের কথা আমরা সবচেয়ে বেশি ভুলে যাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন