এ দেশে, একজন বিশ্বখ্যাত মোফাচ্ছির হয়ে যায় চোর-আর চোর হয় অধ্যাপক!
লিখেছেন লিখেছেন শামস্ আমিন ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৮:৪৩:৪৫ রাত
এ এক অদ্ভূত দেশ। একজন বিশ্বখ্যাত মোফাচ্ছির হয় চোর এ দেশে, আর চোর হয় দেশপ্রেমিক, অধ্যাপক। তাই ভার্চুয়াল বা বাস্তব যে কোন রকমের জনপ্রিয়তা পেতে চাইলে সবার আগে ধর্মের বিরুদ্ধে বলুন। যদি এতে কাজ না হয় তবে দেশের বিরুদ্ধে বলুন। কাজ হয়ে যাবে নিশ্চিত।
দেশকে নিয়া দুই চারটা গালি শুনলে তাদের দেশপ্রেম লাফাইয়া উঠে, ধর্ম নিয়ে দুই চারটা বয়ান শুনলে সবাই পাক্কা হুজুর বনে যাই। যদি প্রশ্ন রাখি, এই দেশের জন্য আপনার অবদান কি, তবে এক্কেবারে চুপসে যায় এসব হোমরা-চোমরার দল।
আর একদল নিরীহকে যদি প্রশ্ন করি, আপনার ধর্মকে যাতে সবাই ভালবাসে তার জন্য কিছু করেছেন কি? মাথা নিচু করে জবাব দেন, ধর্মকে আমি ভালবাসি এটাই কি বেশী না? আমি তেমন ধর্ম কর্ম করি না, তারা আসলে ভয় পায় অসত্যের শক্তিকে। কারণ মুসলমানরা আজও বুঝতে শিখেনি-সত্য যে কত বড় শক্তি।
এই যে দেখেন, একজন সারাজীবন চুরি কইরা হইয়া যায় ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক। আবার কেউ বিশ্ববিখ্যাত আলেম হলেও তাকে বানানো হয় ধর্ষক, চোর। ওই যে নিরীহ আলেমটি আল্লাহর কথা বলে এসেছে সারাজীবন-সে অপরাধেই তাকে এ সরকার বানালো অপরাধী। যদি সে মানুষটি কোরআনের কথা না বলে দালালি করতো সে হয়ে যেত মুক্তিযোদ্ধা।
কত যে খেলা। মতের খেলা, পথের খেলা....খেলা আর খেলা। মুনতাসির মামুনদের জীবনটা আসলে ফুলে, ফলে শষ্যে ভরা। ওরা একাত্তরে পাকিস্তানের দালাল বা রাজাকার ছিল বটে, কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গসেনা তথা হাসিনার সেনা হতে পেরেছে। তাইতো আজ তারা রাজাকার থেকে সাচ্চা মুক্তিযোদ্ধা! দিলওয়ালে লে ভারতলায়িনা।
আপনাদের বলছি, মনোযোগ দিয়ে শুনুন-আজ যারা চোর থেকে রাতারাতি অধ্যাপক সেজে বসে আছে তাদের মুখোশ খোলার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। তাই আমাদেরই যোগ্য হতে হবে। ওদের রাষ্ট্রকাঠামো থেকে ছুড়ে ফেলতে হবে বহু দূরে...
আসুন যোগ্য হই, লেখা দিয়ে ওদের কপটতার জবাব দেই।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন