প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি বিষয়-আমার জীবনের বিনিময়ে ১ দিনের জন্য মাওলানা সাঈদীর মুক্তির আবেদন?
লিখেছেন লিখেছেন শামস্ আমিন ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:২৬:০১ রাত
পাবে
রাজাধিরাজ, বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
হে বাংলাদেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। আমি আপনার দেশের একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ। আজ একটি আবেদন নিয়ে আপনার দরবারে আমার এ চিঠি লেখা। যত তুচ্ছই হোক-আমারতো একটা জীবন আছে। সে জীবনের জন্য শরীরে সঞ্চালিত হয় তাজা রক্ত। হয়তো আমার মতো পিপিলীকার রক্তের কোন দাম নেই। কিন্তু রক্তটা লাল, তা কি আর মিথ্যা হতে পারে?
আমি আমার শরীরে বহমান সব রক্ত আপনাকে গিফট করতে চাই। বিনিময় চাওয়ার সাহস আমার নেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। শুধু আমার পুরোটা জীবনের বিনিময়ে আপনার কাছে মাওলানা সাঈদীর (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির রাজনীতি করার একমাত্র অপরাধে যে মানুষটি আজ যুদ্ধাপরাধের বিচারের সম্মুখিন) জন্য মুক্ত একটি দিন ভিক্ষা চাই। আমার আবেদন-আমার জীবনের বিনিময়ে আপনি মজলুম মাওলানাকে একটি দিনের জন্য মুক্তি
দিবেন। সে দিন এ দেশের মানুষ শেষ বারের মতো তার কণ্ঠে কোরআনের তাফসীর শুনবে...
হে পরাক্রমশালী প্রধানমন্ত্রী, আপনি বাংলাদেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। 'আপনি চাইলে আমাকে শূলে চড়িয়ে মারতে পারেন। কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার মঞ্চে ফাঁসিতে ঝুলাতে পারেন। যদি চান তবে ক্রসফায়ারে ফেলতে পারেন। আপনি ইচ্ছে করলে, গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে আমার মতো গিনিপিগকে আগুনে পোড়াতে পারেন। আপনি চাইলে আমাকে হাজার বার মারতে পারেন।' এসবে আমার কোন
আপত্তি নেই। আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়ে আপনাকে এ চিঠি লেখলাম। তবে সম্ভব হলে 'লাশটা' আমার মায়ের কাছে পৌঁছে দিবেন। আমার লাশ দেকে মা যেন না কাঁদে তাকে বলে দিবেন কিন্তু।
হে বাংলাদেশের অধিপতি,
আপনি শেখের বেটি, আমি আপনার দেশের একজন বৈধ নাগরিক। আপনি হয়তো মাওলানাকে প্রচণ্ড ঘৃণা করেন বলে তাকে জেলে রেখেছেন, ফাঁসির আয়োজন করেছেন। আপনাদের দাবি মতে, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অপরাধ করেছেন ধরে নিলাম আমি। কিন্তু এর পরের ৪০ বছর তার জীবন ছিল কোরআনের বিশুদ্ধ এক জীবন। আমি উত্তর প্রজন্ম বর্তমান সাঈদীকে দেখে তার ভক্ত হয়ে গেলাম। আমার কাছে সেতো পৃথিবীর পবিত্র এক গোলাপ। আমার বিশ্বাস সে মানুষ খুনের মতো অপরাধ করতে পারে না।
আর আমি কিন্তু তার নি:শর্ত মুক্তি চাচ্ছি না মাননীয়। একটি জীবনের বিনিময়ে তার জন্য মুক্ত একটি দিন মাত্র চাচ্ছি।
কি করব বলেন, আমি এ যুদ্ধাপরাধীকেই ভালবাসি, শ্রদ্ধাকরি। প্রধানমন্ত্রী আপনি আমার এ ভালবাসার সাথে একমত না হতে পারেন। আমার এ ভালবাসাকে স্বীকৃতি না দেন। কিন্তু অস্বীকারতো করতে পারেন না, ভালবাসতে পারব না সে নিষেধাজ্ঞাও দিতে পারেন না।
আমি আমার ভালবাসার মূল্য রাখতে আপনাকে চিঠি লিখেছি। পুরো জীবনটাই আপনাকে গিফট করে দিলাম। আপনি চাইলে আমৃত্যু আপনার দাশ হয়ে থাকব আমি। তবু একজন
ভোটার হিসেবে আমার আকুতি আপনি শুনুন। একজন তরুণ তার স্বপ্নেভরা জীবনটা আপনাকে গিফট করল-আপনি তার ভালবাসার মানুষটিকে একটি দিনের জন্য মুক্ত করে
দিন।
আপনাকে কেন এত আকুতি করছি জানেন প্রধানমন্ত্রী?
আমি অক্ষম এক তরুণ। আমার কোন উদ্দীপনা নেই। যদি থাকত তবে শিকল ভেঙে আমার ভালবাসার মানুষটিকে মুক্ত করে নিয়ে আসতাম।
আমি দুর্বল বলে চিঠি লিখেছি, করুণা ভিক্ষা চেয়েছি আপনার। আপনি আমার আকুতি না শুনলে জানি আপনার কিছু আসবে যাবে না। তবে দুর্বলের সবল হতে
কয়দিন লাগে শেখের বেটি!
বিষয়: বিবিধ
১৩২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন