এত লাশের ভার সইবে কেমনে বাংলাদেশ---রক্ত যদি উগরে দেয় এ ভূমি!

লিখেছেন লিখেছেন শামস্ আমিন ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:২৫:৪১ রাত

ছোপ ছোপ রক্তে ভরা পুরো বাংলাদেশের মাটি। কোথাও পুলিশের গুলিতে কিংবা পৈশাচিক লাঠিতে ঝরছে রক্ত। কোথাও র্যাব কোথাও বা সাদা পোশাকধারীরা। আর মানুষ নামধারী হায়েনাদের আঘাতে ঝরে গেছে কত প্রাণ।

এই রক্তের হোলিখেলার শেষ বলি চট্টগ্রামের চার পবিত্র গোলাম। আমাদের ছোট ভাই আবিদ। আবিদের স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু সে হয়ে গেল আল্লাহর মেহমান। আহা! এ ছোট্ট ছেলেটির চোখ দুটি কি করে উপরে ফেলল জালিমের দল। চট্টগ্রামে একদিনে ঝরে গেল চারটি প্রাণ। এর আগে বগুড়ায় চলে গেল আরও চার ভাই। এভাবে লাশের সারি যেন পাহাড় হচ্ছে প্রিয় মাতৃভূমিতে। হাসিনার প্রাণের তৃষ্না হয়তো লাশ। তাই যত্র-তত্র কারণে অকারণে লাশের সারি বাড়ছে।

গত চারবছরে রক্তের বন্যা বসিয়ে দিয়েছে মহান ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। কতশত তাজা প্রাণ কুরবানি হলো তাদের হাতে। কত ক্যাম্পাস এখনও লাল রাঙ্গা হয়ে আছে ছাত্রলীগের বন্য আঘাতে। স্বপ্নের কত কিছু জ্বলছে ছাত্রলীগের আগুনে। যে আগুন জ্বালিয়েছে ছাত্রলীগ, তা নেভানোর ক্ষমতা তারা রাখে কি? তাদের ভাংচুরে বিনষ্ট হলো কত বাস্তবতা।

প্রতিটি ক্যাম্পাস আজ স্তদ্ধ ছাত্রলীগ নামক বাস্তবতার মুখে পড়ে। এ বাস্তবতাই হয়তো সমূলে ধ্বংশ করে দিবে ছাত্রলীগ নামক ব্যাধিটি।

রাজশাহীর মতিহারের লাল চত্বর, চট্টলার বনভূমি, সিলেটের পূণ্যভূমি-স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয় প্রতিটি জায়গায় এত বেশি রক্ত ঝরেছে যে আমরা রক্ত দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমরা ভুগন্মোখ এমন জাতিতে পরিণত হচ্ছি-মৃত্যু এখন আমাদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এত রক্ত দেখেও আমরা প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছি। তাইতো এ জনপদ এখন মজলুমের আর্তনাদে ফেটে পড়ছে। আমরা না হয় মুখ বোঝে সব সইলাম। কিন্তু এ মাটি কি করে সইবে এত লাশ আর রক্ত। আমি দেখছি মাটি কাঁপছে। হয়তো যে কোন সময় বাংলার মাটি উগরে দিবে সব রক্ত। সে রক্তে ভেসে যাবে সব অত্যাচারি।

বন্ধুরা তোমরা প্রস্তুত হও। আশা হারিও না। চলো রাজপথে চলো। আমরা সবাই একসাথে রক্ত বিলিয়ে দিয়ে আসি।

এ দেশকে হায়েনা মুক্ত করতে প্রয়োজনে শহীদ আবিদ-রুহানীদের মতো জীবন বাজি রাখি...মনে এ রক্ত ও তার পবিত্র ঢেউই আমাদের এনে দেবে চূড়ান্ত বিজয়।

বিষয়: বিবিধ

১০৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File