এ বিচারপতিরা জল্লাদ-আমি তাই আল্লাহর দরবারে বিচার চাইলাম
লিখেছেন লিখেছেন শামস্ আমিন ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:৪০:২৯ রাত
৫ জানুয়ারি ২০১৩। বেলা ১০টা ৪৩ মিনিট। তিন বিচারক এজলাসে আসন গ্রহণের পরই কাঠগড়া থেকে দাঁড়িয়ে কাদের মোল্লা বললেন, মাননীয় আদালতের সামনে আমার কিছু বলার আছে। এ সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান তাকে বসতে বলেন। তিনি আবার বলতে চান। ট্রাইব্যুনাল বেশ কয়েকবার বলার পর বসে পড়েন তিনি। একজন আসামি এতো নির্মল আর শান্ত হতে পারে তা মোল্লা সাহেবকে না দেখলে জীবনেও বুঝতাম না। তার নির্বিকার চেহারাই বলে দিচ্ছিল-তিনি এ রায়ে মোটেও বিচলিত নন। এটাকে দুনিয়ায় এক ঈমানি পরীক্ষা হিসেবেই নিয়েছেন। এরপর গোষণা করা হলো ৩৫ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায়।
রায় ঘোষণার পরপরই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আব্দুল কাদের মোল্লা বলে ওঠেন ‘আল্লাহু আকবার। আমি এ রায় মানি না। এ রায় অন্যায় হয়েছে। যেসব অভিযোগে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাও অন্যায়, আর যে অভিযোগে খালাস দেয়া হয়েছে তাও অন্য্যায়। বিচারকরা জল্লাদের মতো এ রায় দিয়েছে। তারা তাদের বিবেককে শয়তানের কাছে বন্ধক দিয়ে অন্যায়ভাবে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এ রায় দিয়েছেন।’
আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ঢাকায় ছিলাম না। আমি ফরিদপুরে ছিলাম। আমি পবিত্র কুরআন হাতে নিয়ে বলছি এ ঘটনার সঙ্গে আমি যুক্ত নই। আমি কিয়ামতের দিন বিচারকদের বিরুদ্ধে কেয়ামতের দিন মামলা দায়ের করব। যখন তাদের মুখে কথা বলার কোনো শক্তি থাকবে না। সেদিন তাদের হাত, তাদের পা তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। আমি এ জল্লাদগুলোর কাছে ন্যায় বিচার আশা না করে আল্লাহর দরবারে বিচার দিলাম। এরপর পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যায়।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন