প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশোধের নিশানা এবং প্রতিশোধ গ্রহণের চিত্র-
লিখেছেন লিখেছেন উদাস পথিক ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৭:৫৭:৪০ সন্ধ্যা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করে দলের দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন তিনি প্রতিশোধ নিতে রাজনীতিতে এসেছেন। চলুন দেখি কারা তার প্রতিশোধের নিশানা এবং কিভাবে তিনি তা নিয়েছেন বা নিচ্ছেন-
১) দেশের সামরিক অফিসারগণ তার পিতামাতা ও আপনজনদের হত্যা করেছিল।
যেভাবে প্রতিশোধ নিয়েছেন- এক দিনে দেশের প্রায় ৬০জন অার্মি অফিসারকে হত্যা করে তার প্রতিশোধ নিয়েছেন। এতো অার্মি অফিসার হত্যা পুরো মুক্তিযুদ্ধে বা কোন বিশ্বযুদ্ধে একদিনে হয়নি।
২) দেশের জনগণ যারা সেদিন তারা সে হত্যার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল করেনি।
৩) যারা সেদিন খুশিতে ঢাকার রাস্তায় আনন্দ-মিছিল করেছিল এবং মিষ্টি বিতরন করেছিল।
৪) আওয়ামী বিরোধী সে সব রাজনৈতীক দল যাদেরকে শেখ মুজিব তার বাকশালী স্বৈরাচরি শাসনের আওতায় নিষিদ্ধ করেছিলেন।
যেভাবে প্রতিশোধ নিয়েছেন এবং এখনও নিচ্ছেন- বিরোধী দলের নেতাদের গুম খুন, জুলুম- নির্যাতন, হামলা-মামলা করে কারাগারে প্রেরণ করে তার প্রতিশোধ নিচ্ছেন।
৫) সেসব আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দও যারা শেখ মুজিবের মৃত্যূতে আব্দুল মালেক উকিলের মত মহাখুশিতে বলেছিলেন,“ফিরাউনের মৃত্যু হয়েছে।”
৬) শেখ হাসিনার ক্ষোভ আওয়ামী লীগের সেসব নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধেও যারা তাঁর পিতার রক্তঝরা লাশকে সিঁড়ির উপর ফেলে খোন্দকার মোশতাকের মন্ত্রীসভায় যোগ দিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করেছিলেন।
যেভাবে প্রতিশোধ নিয়েছেন এবং এখনও নিচ্ছেন-
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে কোনঠাসা করে বামদের নিয়ে সরকার গঠন করে তার প্রতিশোধ নিচ্ছেন।
৭) বাংলাদেশের ভূমিতে যে ব্যক্তি তাঁর পিতার চেয়ে বেশী সম্মান পাক সেটি হাসিনার কাম্য নয়। মুজিব ডিঙ্গিয়ে অনেকে মাথায় তুলেছে ভাষানীকে।
যেভাবে প্রতিশোধ নিয়েছেন- আওয়ামী লীগের ইতিহাসে ভাষানীর অবদান উল্লেখ করা হয়না।
৮) নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় জনগন মাথায় তুলে অানন্দ করেছে প্রফেসর ইউনুসকে নিয়ে।
যেভাবে প্রতিশোধ নিয়েছেন- ড: ইউনুসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বিতাড়ন এবং দলীয় ভাবে তার বিরুদ্ধে বিষোদগার।
৯) তার পিতার হত্যাদিবস ১৫ই আগষ্টের দিনে বহুমানুষ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জন্ম দিবস রূপে উৎসব করে।
যেভাবে প্রতিশোধ নিয়েছেন- খালেদা জিয়াকে তার মইনুল রোডের বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করে।
শেখ হাসিনার কাছে এসব কি সহ্য করার মতো? এতে প্রচণ্ড ক্রোধ জেগেছে জনগণের বিরুদ্ধেও। ফলে প্রতিশোধ নিচ্ছেন তাদের থেকেও।
এবার দেখি মুল যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানীদের প্রতি শেখ মুজিব বা হাসিনার ক্ষোভ না থাকার কারন-
পাকিস্তান আর্মি মুজিবের গায়ে একটি আঁচড়ও দেয়নি। আঁচড় দেয়নি মুজিব পরিবারের অন্য কোন সদস্যের বিরুদ্ধে। বরং একাত্তরের যুদ্ধকালীন ৯ মাস মুজিব পরিবার ও গর্ভবতী শেখ হাসিনা পাকিস্তান আর্মি থেকে সেবা পেয়েছেন। অপরদিকে মুজিবকে নিহত হতে হলো বাঙালীদের হাতে।
হাসিনার অাপনজন-
হাসিনার কাছে একমাত্র আপনজন হলো দিল্লীর শাসকচত্রু। শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর তিনি প্রতিপালন পেয়েছেন একমাত্র দিল্লিতেই; বাংলাদেশে যেমন নয়,পৃথিবীর অন্য কোন দেশেও নয়।
ইসলামপন্থীদেরকে অাক্রমনের কারন-
শেখ হাসিনার দীর্ঘ দিল্লীবাসের কারণে তার রাজনীতির দর্শন অাবর্তিত হয়েছে দিল্লীর শাসকচক্রের রাজনৈতিক দর্শনের অাদলে। ফলে তাঁর রাজনীতির মূল চরিত্রটি তখন থেকেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। সেটি যেমন ইসলামপন্থি-নির্মূল, তেমনি ভারতের প্রতি নিমক হালালীর।
তাই বলা যায় ইসলামপন্থী নির্মূলে আওয়ামী লীগ ও এক ভারতের নীতি এক ও অভিন্ন দুটি ধারা।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! উপরের অনুভূতি গুলো অামার একান্ত নিজস্ব। তারপরো মনে হচ্ছে অাসলে যেভাবে লিখতে চেয়েছি সেভাবে লিখতে পারিনি, কেমন যেন একটু অাগোছালো হয়ে গেছে। জানি, এলেখার সাথে সবাই একমত হবেন না; অার এটাই স্বাভাবিক। গঠনমূলক সমালোচনা কাম্য।
বিষয়: বিবিধ
১১৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন