"ফ্রিডম অব স্পিচ" বিদেশী প্রেক্ষাপটঃ
লিখেছেন লিখেছেন বলদের রাজা ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৩:২৬:৪২ দুপুর
বাংগালি এই শব্দটার সাথে পরিচয় লাভ করে " ইনোসেন্স অব মুহম্মদ"(সঃ) নামক সেই মার্কিন মুভি কেলেংকারিতে,যেখানে নবী(সঃ) কে চরম ভাবে অবমাননা করা হয়।তখন মার্কিন সরকারসহ পশ্চিমা বিশ্ব এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার নায়কদের রক্ষায় এই ৩ টা শব্দ কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।কিন্তু আপনি জানেন কি আপনি যদি হলোকাস্ট অস্বীকার করেন তবে ইউরোপ, আমেরিকায় নির্ঘাত গ্রেফতার হবেন। তার মানে তাদের মুল্যবোধে আঘাত করলে তা আর ফ্রিডম অব স্পিচে সীমাবদ্ধ থাকবে না।তা দন্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশি প্রেক্ষাপট- যখন কিছু ব্লগার ইসলামের চরম অবমাননা করল,আমাদের বিটিআরসি নিশ্চুপ,কারন আমাদের সুশীল সমাজের নজরে এটা ফ্রিডম অফ স্পিচ।তাই বিটিআরসি নিশ্চুপ।মিডিয়ায় তারা হিট। যখন মুসলিম তরুনরা তাদের মুখোশ খুলে দিতে শুরু করল তখনি আমাদের মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর বোধদয় হলো যে কিছু করা দরকার।আমাদের বুঝতে বাকি নেই এতে কারা লাভবান হবে আর কাদের রক্ষায় এই পদক্ষেপ।তবে তিনি ধর্মীয় অনুভুতি না বলে সামাজিক অনুভুতি ব্যবহার করে ধর্ম টা রাষ্ট্র থেকে চাতুর্যের সাথে দুরে সরিয়ে দিয়েছেন। তারপর মেনে নিলাম তার কথা।কিন্তু সরকার বিরোধি,স্বাধীনতাবিরোধী শব্দ গুলো তিনি যুক্ত করে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? আমরা জানি এই শব্দ দুটো আমাদের দেশে কতো মিসইউজ করা হয়।সরকারিদল ভিন্নমতের কাউকে পেলেই এই ট্যাগ লাগিয়ে দেয়। মন্তব্যঃ ইনু সাহেবের এই হুংকার আর কিছুই নয়,এটা ভিন্নমতালম্বীদের থেকে সরকারকে এবং মুসলিম তরুনদের লেখনী থেকে ইসলাম বিরোধিদের রক্ষা করার নতুন চাল মাত্র। (বিঃ দ্রঃ ইসলাম বিরোধি সকল ব্লগ যেমন আমার ব্লগ,সামহোয়ার ইন ব্লগ,সচলায়তন ব্লগসহ ইসলামবিরোধিরা এখনো বহাল তবিয়তেই আছে,পক্ষান্তরে রাজিবের মুখোশ উন্মোচনকারী সোনার বাংলা ব্লগ টি বন্ধ করা হয়েছে )এটা আমাদের জাতিকে আরো বিভক্ত করবে যদিনা সঠিক ভাবে প্রয়োগ না করা হয়।
বিষয়: বিবিধ
১২২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন