সাঈদী রায়কে প্রভাব বিস্তারের রায় বলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন তাকে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দেয়।

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রবিউল ইসলাম ০১ মার্চ, ২০১৩, ১২:৩৯:৫৪ দুপুর



ভিসি সাহেব এই ছবিটা দেখেন! আপনার কি তখন মনে হয়নি সম্মানিত নেত্রীর সাথে এরা কুত্তার বাচ্চারা একত্রে আন্দোলন করছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন আসলেই খাঁটি কুত্তার বাচ্চা বলে মনে হয় নইলে তিনি এভাবে গালি দিতে পারে না। তাদের দিন অবশ্যই আসবে!

আদালতে ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যুনালে এজলাসের কাঠগড়ায় বসা সাঈদীকে অশালীন ভাষায় গালি দেয়ায় তুমূল হট্টগোলের সুষ্টি হয়। ওই সময় সাঈদী রায়কে প্রভাব বিস্তারের রায় বলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন তাকে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দেয়।

ওই সময় সাঈদীকে পুলিশ নামিয়ে নেয়ার সাঈদীর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

জামায়াত নেতা সাঈদীর মামলায় সবোর্চ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় বসে থাকা সাঈদী বলেন, ‘মাননীয় আদালত আপনারা আপানাদের বিবেক দ্বারা ন্যায়বিচার করেননি। এ রায় দিয়ে আপনারা আপনাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। শাহবাগের কতিপয় নাস্তিক ও মুরতাদের চাপে আপনারা এ রায় দিয়েছেন’।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা সাঈদীর কথা বলা শেষ হতে না হতেই ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত সরকার সমর্থক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ার হোসেন চিৎকার দিয়ে সাঈদীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কুত্তার বাচ্চা চুপ থাক’।

সঙ্গে সঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ইউসুফ হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘ঐ রাজাকারের বাচ্চা চুপ কর’। এ সময় তিনি কাঠগড়ায় থাকা সাঈদীর দিকে তেড়ে আসার চেষ্টা করলে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটররা তাকে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবিরা সরকার সমর্থকদের ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়ে এমন আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরর সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের ভেতরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে দ্রুত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যায়। পরে হাজতখানার সম্মুখভাগ পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে।

বিচার শুরুর আগে সাঈদীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয়। ১১টা ১০ মিনিটে তাকে ট্রাইব্যুনালের ভেতর আসামির কাঠগড়ায় নিয়ে বসানো হয়।

রায় পড়া শুরু হলো তিনি প্রথমে রায় শুনতে থাকেন, মাঝে চোখও বন্ধ করে থাকেন, আবার হাতে থাকা কুরআন শরিফ তেলাওয়াত করতে থাকেন। রায় শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি কুরআন পড়েন। রায়ের পরে তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করায় হট্টগোল শুরু হয়।

বিষয়: বিবিধ

১৩২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File