শয়তান ও আওয়ামীলীগঃ একটি সাদৃশ্যমূলক বিশ্লেষণ
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রবিউল ইসলাম ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:৫৮:১৬ দুপুর
আল্ হামদু লিল্লাহ্ ওয়াছ্ ছালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ্।
সম্মানিত ব্লগার! আল্লাহ আপনাকে এবং আমাকে শয়তান থেকে রক্ষা করুন। শয়তান মানুষের প্রথম এবং শেষ প্রকাশ্য শত্রু। তার কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য মানুষ মাত্রই প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু অস্ত্র যদি ধারালো না হয় বা সঠিকভাবে নিক্ষিপ্ত না হয় তবে শত্রু লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে। তাই শয়তান নামক শত্রু থেকে বাঁচার জন্য মহান ক্ষমতাধর আল্লাহ্ তা‘আলার এলাহী অস্ত্রই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
মনে রাখবেন, এই শয়তান থেকে বাঁচতে হলে মনগড়া রক্ষা-কবচ ব্যবহার করলে হবে না। যেমন তাবীয-কবচ, সুতা, তাগা, রিং প্রভৃতি। কেননা এগুলো ব্যবহার করা শির্ক। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমরা আপনাদের সামনে ইসলামে অনুমোদিত সেই সমস্ত মাধ্যম উল্লেখ করছি যা দ্বারা আপনি শয়তানকে বিতাড়িত ও পরাজিত করতে পারবেন। তার চক্রান্ত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
মূল শয়তানঃ
শয়তান হল একটি চরিত্র যা বিভিন্ন ধর্মে একে দুষ্ট বা খারাপ প্রকৃতিক, একই সাথে ক্ষমতাশালী, স্রষ্টার এবং মানবজাতির শত্রু বলে চিহ্নিত করেছে। সাধারণভাবে ধরা হয় যে শয়তান উৎপথগামী, অবিশ্বাসী এবং অন্যান্যদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। শয়তান শব্দটি গ্রিক ভাষার, Διάβολος, Diábolos, থেকে এসেছে। শব্দিক যার অর্থ হল অপবাদদানকারী ব্যক্তি অথবা অভিযোক্তা।
আওয়ামী শয়তানঃ
আওয়ামী শয়তান হল একটি স্বর্গীয় চরিত্র যার মাধ্যমে মানুষকে কন্ট্রোল করা হয়। যেমন নির্বাচনের সময় ওমরা করা, মাথায় পট্রি বাঁধা, মাজারে যেয়ে নির্বাচনী কাজ শুরু করা। মানুষকে ধাঁধায় ফেরার জন্য এমন শয়তানই যথেষ্ঠ।
মূল শয়তানঃ
মহান আল্লাহর উপর শিরক মুক্ত নিখাদ পরিপূর্ণ ঈমান ধ্বংস করাই মূল শয়তানের কাজ। কেননা বান্দা শিরক করলে শয়তান সবচেয়ে বেশী খুশি হয়। চাই তা বড় শিরক হোক বা ছোট শিরক। কারণ এতে বান্দার ঈমান নষ্ট হয় তার জন্য জান্নাতের পথ বন্ধ হয়।
আওয়ামী শয়তানঃ
একই ভাবে আওয়ামী শয়তান মানুষকে মহান আল্লাহর উপর থেকে বিশ্বাস বন্ধে ইসলামী কালাকানুন বন্ধ করে তাদের প্রচলিত ইসলাম চালুর চেষ্টা করে।
মূল শয়তানঃ
মূল শয়তান একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত-দাসত্ব করা থেকে বিরত রাখে। রিয়া বা লোক দেখানোর আমল করাতে সাহায্য করে।
আওয়ামী শয়তানঃ
আওয়ামী শয়তানও একইভাবে মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করে, বোরখার ধোয়া তুলে, কোর।এনর প্রচলন বন্ধ করে তাঁর ইবাদত-দাসত্ব করা থেকে বিরত রাখে।
মূল শয়তানঃ
মূল শয়তান সার্বিক ক্ষেত্রে নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে বাধা দেয়। পরিপূর্ণরূপে তাঁর অনুসরণ করতে নানা পরিকল্পনা করে। সবধরনের বিদআত থেকে দূরে থাকা শয়তান অপছন্দ করে। কেননা সাধারণ পাপকর্মে লিপ্ত হওয়ার চেয়ে বিদআতে লিপ্ত হওয়াতে শয়তান বেশী খুশি হয়। কারণ সাধারণ পাপকর্ম থেকে তওবা করা হয় কিন্তু বিদআত থেকে তওবা করা হয়না। তাছাড়া বিদআত পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত আল্লাহ্ তা‘আলা তার তওবা কবুল করেন না।
আওয়ামী শয়তানঃ
আওয়ামী শয়তানও সার্বিক ক্ষেত্রে নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে বাধা দেয়, তার পরিপূর্ন নির্দেশ পালন করলে গুলি চলে, জল কামান, পিপার স্প্রে চলে। গান বাজনা, সিনেমা, অসভ্যতা চলে।
মূল শয়তানঃ
মূল শয়তান পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত যথাসময়ে আদায় করতে বাধা দেয়। বিনয়-নম্রতার সাথে ছালাত সমূহ আদায় করা এবং মসজিদে গিয়ে মুসলমানদের জামাতে শরীক হওয়া থেকে শয়তান সর্বোচ্চ কাজ করে। নামাজ না পড়লে শয়তান তাকে দারুন প্রশংসা করে।
আওয়ামী শয়তানঃ
আওয়ামী শয়তানও একইভাবে মানুষের মাঝে কোন নামাজের দাওয়াতের প্রচলন করে না। বিভিন্ন নামাজের ওয়াক্তে প্রোগ্রাম চলতে থাকে, গান চলতে থাকে, বক্তৃতা চলতে থাকে, মানুষ মারার হুমকি চলতে থাকে।
মূল শয়তানঃ
মূল শয়তান ফরয সমাপনান্তে সুন্নত-নফল ছালাত সমূহ অধিকহারে আদায়ের চেষ্টা করা থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করে।
আওয়ামী শয়তানঃ
আওয়ামী শয়তানও বিভিন্ন ভাল কাজ, ওয়াজ মাহফিল, ইসলামী মিডিয়া বন্ধ ইত্যাদি কাজ করে থাকে।
মূল শয়তানঃ
মূল শয়তান আল্লাহর দরবারে তওবা করা এবং আত্ম সমালোচনা করা থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর কাছে দু‘আ করা এবং তাঁর কাছে সাহায্য কামনা করা থেকে বিরত রাখে।
আওয়ামী শয়তানঃ
আওয়ামী শয়তানও একই ভাবে গুলি করে, রামদা দিয়ে, লগি দিয়ে, পিস্তল দিয়ে মানুষ মারে অথচ তার সমালোচনা করানো থেকে বিরত থাকতে বিধি নিষেধ আরোপ করে। পুলিশ হলো প্রকৃত বন্ধু অথচ সেই বন্ধুকে শত্রু বানিয়ে কারো কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া যায় না।
মূল শয়তান থেকে কিভাবে আশ্রয় পাবেনঃ
মহান আল্লাহর দরবারে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করা। যে সকল স্থানে শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করতে হয় তা হল: ছালাতে, কুরআন তেলাওয়াত করার সময়, রেগে গেলে, সকাল-সন্ধ্যায়, নিজগৃহে প্রবেশ করার সময়, দ্বীনের মৌলিক কোন বিষয়ে সন্দেহ হলে, স্ত্রী সহবাস করার আগে, ঘুমানোর সময়, কোন খারাপ স্বপ্ন দেখলে।
আওয়ামী শয়তান থেকে কিভাবে আশ্রয় পাবেনঃ
মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া না চেয়ে তাদের শয়তানীর বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া। তাদেরকে যেখানে পাওয়া যায় সেখানে প্রতিহত করা। দেশব্যাপী এমনকি বিশ্বব্যাপী আওয়ামী শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করা।
বিষয়: বিবিধ
১১৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন