মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাসূলের দরবার থেকে কেহ খালি হাতে ফেরে না!
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রবিউল ইসলাম ২৪ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:৩৮:২০ সকাল
আপনার ছবিটাই বলে দেয় আপনি কতটা ভদ্র ছিলেন! কিন্তু কোন বিষয়টি আপনাকে এত ভয়ংকর করলো তা ভেবে আমরা শংকিত!
আবু জেহেল বদর যুদ্ধে যাওয়ার পূর্বে কাবার গিলাপ ধরে দোয়া করেছিল হে রব যেটি সঠিক দল সেটিকে বিজয়ী করো। বাস্তবে তাই হয়েছিল। মুহাম্মদ সা.-এর দলই বিজয়ী হয়েছিল। ইদানিং দোয়া নেওয়ার হিড়িক পড়ে যাচ্ছে। বঙ্গ দৌহিত্র জয় বিভিন্ন পীরের মাজারে যেয়ে দোয়া নিয়েছে, এরশাদের হেফাজত আমিরের দরবারে যেয়ে দোয়া নিয়েছে, সবশেষ আমাদের বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কা’বা ও রাসূল সা. দরবার যেয়ে দোয়া নিয়েছে, আর সব দোয়ার একটাই উদ্দেশ্য নির্বাচনী যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় থাকা। পরে দেখলাম জয় দোয়া নিয়ে পালিয়েছে, এরশাদ দোয়া নিয়ে ডিগবাজি দিয়েছে, আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব আপনি দোয়া নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে কত সময় টিকে থাকেন সেই পরাজয় দেশবাসী দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কয়েকটি পরামর্শ:
ক. নির্মম অত্যাচার করে সারা জীবন ক্ষমতায় থাকা যায় না। দয়া করে অত্যাচার বন্ধ করুন। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে আপনি যেমন তত্বাবধায়কের দাবী আদায় করেছিলেন সেই জনগনই সেভাবেই দাবী আদায় করে ছাড়বে। আড়িয়াল বিলের কথা স্মরণ করুন, এক ঘণ্টা সময় পেছানোর কথা স্মরণ করুন জীবন দিয়ে হলেও জনগণ আপনার বাবার নামে বিমান বন্দর হতে দেয়নি। আপনার বাবার ডাকেও কিন্তু এই জনগণ সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিনিয়ে এনেছিল। সেই জনগণ জেগে উঠলে আপনার পরাজয়ও অনিবার্য করে তুলবে।
খ. ঢাকার বয়স ৪০৯ বছর এর মধ্যে অনেক অত্যাচারী রাজা বাদশা বিদায় নিয়েছে। ক্ষমতা আজীবন নয়। সময় থাকতে তওবা করে ফিরে আসুন। তওবার যায়গায় কিন্তু আপনি গেছেন।
গ. চিরচেনা, বিশ্ব বেহায়া এরশাদও কিন্তু অনেক দাপট নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল কিন্তু এখন কোথায়? থুতু বাবা হিসাবে বেঁচে আছে।
ঘ. আপনার বাবাও ছিলেন দেশের স্বাধীনতার নায়ক, রুপকার কিন্তু নির্মম অত্যাচার করে তিনিও আজ একজন খলনায়ক হিসাবে জাতির সামনে উপস্থাপিত হয়েছে।
ঙ. আপনি যেভাবে অত্যাচার করছেন, নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছেন আপনিও এমন খলনায়ক হবেন না সেটিও ঠিক নয়। থুথু উপরে ছুড়লে গায়েই কিন্তু পড়ে।
চ. আবু জেহেলরা অনেক নির্যাতন করেও কিন্তু টিকে থাকতে পারেনি। তাদের অত্যাচারে রাসূল সা. কে মদিনায় যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। আজ সেই নিদারুন অবস্থা স্মরণ করুন তাহলে আপনার বোধদয় হবে। তবে সুন্দর মন থাকতে হবে।
ছ. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, যে পরিবারের লোককে গুম করে, নির্যাতন করে হত্যা করছেন, তার প্রতি ফোটা রক্ত কথা বলছে তাকি আপনি খেয়াল করেছেন? সেই পরিবারের সদস্যরা, তার সকল আত্নীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, প্রতিবেশী একযোগে আওয়ামী বিরোধী হয়ে যাচ্ছে আর ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে।
জ. আপনার দলীয় কোন আদর্শ থাকলে সেটাই বাস্তবায়ন করুন, যার যার আদর্শ প্রচার করুন। কোন দল যখন দলীয় আদর্শ প্রচারে বার্থ হয় তখনই অপরের উপর আক্রমন করে।
ঝ. বিচার বিভাগকে দলীয় করণ থেকে মুক্ত করুন কেননা অচিরেই দেখবেন এই বিচারকরাই আপনার প্রতি অন্যায় বিচার করছে।
ঞ. আপনার দল আওয়ামীলীগ অনেক পুরানো দল। পুরানো দল হিসাবে আপনাকে সঠিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে আপনাকে মুসলিম লীগের মতো করে চির বিদায় নিতে হবে।
ট. আপনি দ্রুত নির্বাচনী ইসতেহার ঘোষণা করুন। এবার দেখি দেশ একবারে বিক্রি করার কোনো আর্টিকেল আছে কিনা? ১০ টাকায় চাউল, বিনা পয়সায় সার, ঘরে ঘরে চাকুরি, পদ্মা সেতু নির্মাণ, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ইত্যাদি কোন কোন বিষয় আছে তা জাতি দেখতে চায়।
ঠ. আপনার তো বিভিন্ন বাহিনী আছে। আপনি সারা দেশে খোঁজ নিয়ে দেখেন আপনার দলের কি অবস্থা? জাতি আপনাকে আর চায় না। আপনার মিথ্যা বুলিতে জাতি আর ভুলতে চায় না। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন তাহলে দেখবেন আপনার প্রকৃত অবস্থা কি?
ড. আপনি পরাজয়ের ভয়ে কিন্তু ঢাকার নির্বাচনও বন্ধ করে রেখেছেন।
ঢ. তাই বলি গদি ছেড়ে দিন, রাজপথে লেভেল পেলেয়িং দল নিয়ে মাঠে নামুন। জাতিকে সুযোগ দিন ভালভাবে ভোট প্রদান করার।
ণ. দেশে আজ গৃহযুদ্ধের দারপ্রান্তে। তার জন্য আপনিই সর্বাগ্রে দায়ী থাকবেন।
ত. বিদেশী কোন রাষ্ট্রের পরামর্শও আপনি শুনছেন না। সেটাও একটা হটকারী সিদ্ধান্ত।
অনেক ধন্যবাদ।
বিষয়: রাজনীতি
১০৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন