শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে কিন্তু অনেক ভাবে সম্মান করছেন! জাতির কাছে খালেদা জিয়ার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত।
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রবিউল ইসলাম ১৪ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:৩৯:৫৬ রাত
• আমাদের দৃঢ়চিত্তে ভাবতে হবে এই সরকার জঙ্গিবাদকে কিন্তু সম্পূর্নভাবে নিমূল করতে সক্ষম হয়েছেন। নতুবা হাসিনার উপর যেভাবে জঙ্গি হামলা হয়েছিল সেভাবে এতদিনে হয়তো খালেদার উপর একটা হামলা হতে পারতো। সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার মহান রবের প্রশংসা করা উচিত।
• সেনানিবাসের বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দিয়ে তার উপর কিন্তু মূলত ন্যায় কাজটি করেছে। ঐ বাড়িতে এতদিন থাকলে তিনি হয়তোবা সেনাবাহিনী দ্বারা অতি সহজে গৃহবন্দী হতে পারতো। সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার মহান রবের প্রশংসা করা উচিত।
• ১৯৭১ সালে খালেদা জিয়া পাকিস্তানী সেনা দপ্তরে আটক ছিলেন এবং তিনি যৌন অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাঝে মধ্যে জিগির তোলেন সেক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২ সালে লন্ডনে বক্তব্যের কথা তুলে ধরব তিনি বলেছিলেন তিন মিলিয়ন লোক শহীদ হয়েছেন এবং দুই লক্ষ মা-বোন তাদের পবিত্র ইজ্জত হারিয়েছেন। সেক্ষেত্রে বলব দেশ স্বাধীনের জন্য জিয়াউর রহমান সাহসিকতার সাথে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং খালেদা জিয়া তার ইজ্জত হারিয়েছিলেন কিন্তু প্রশ্ন হলো মুজিব বা হাসিনা কি করেছিলেন? মুজিব কোন প্রস্তুতি ছাড়াই দেশবাসীকে একটা হিংস্র জানোয়ারের ধাবায় ফেলে রেখে পকিস্তানী সেনাদের দ্বারা ধৃত হয়েছিলেন। আর হাসিনাকে তো কোন ইজ্জত হারাতে হয়নি। এক্ষেত্রে বিষয়টি গবেষণার দাবী রাখে। শেখ হাসিনা বেগম খালেদাকে হিরোইন ঘোষণা করে স্বর্নমুকুট মাথায় পরিয়ে দেওয়া উচিত।
• শেখ হাসিনা কতৃক সংবিধানের উপর যথেষ্ট অথ্যাচার করা হয়েছে। সংবিধান আজ ক্ষত বিক্ষত, অসহায়ভাবে কাতরাচ্ছে, উদ্ধারের জন্য সাহায্য চাচ্ছে। সংবিধানকে বাঁচাতে পারলে এদেশের মানুষ বাঁচবে। আর সংবিধান বাঁচাতে এদেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনবারের প্রধান মন্ত্রী বেগম জিয়া। তাকে মহান আল্লাহ এভাবে সম্মান দিচ্ছেন।
• বিসমিল্লাহ আজ আওয়ামী লীগের করতাল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরে বেশ স্বাধীনতা ভোগ করছে। এই বিসমিল্লাহকে হেফাজত আর বেগম জিয়া চেষ্টা করছে তার স্থানে ফিরিয়ে দিতে। সেক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তাকে একাজে নিয়োগ করে যথেষ্ট সম্মান দিচ্ছেন।
• দেশের বৃহত্তর জনগোষ্টীকে খালেদার নেতৃত্বে একত্রিত হতে শেখ হাসিনাই সাহায্য করছেন। খালেদা এখন আন্দোলনে অবিচল। তাকে এভাবে সম্মান দওেয়া হয়েছে।
• গোটা পৃথিবী আজ লজ্জায় মুখ লুকাচ্ছে। লজ্জায় ঘৃণায় বিশ্ববাসী হতবাক। কিভাবে পদত্যাগী মন্ত্রীরা আবার মন্ত্রী সভা করবে? এটা সভ্য পৃথিবীর সকল রীতিনীতিকে ম্লান করে দিয়ে বাংলার ভাগ্যাকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা ঘটিয়েছে। সংবিধানকে তারা বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছে। এটা তাদের নিজস্ব পাঠ্যপুস্তকের মতো মনে করছে। কখনও সংবিধানকে নিয়ে এমন জটিলতা ৪২ বছরে সৃষ্টি হয়নি।
• শেখ হাসিনা অসংখ্য কেস দিয়ে বেগম জিয়াকে দমিয়ে রেখেছে যে কোন সময় আটক করতে পারে। আর জাতি হৃদয়ভরে জানে যে হাসিনার নামে অনেক কেস ছিল তিনি সেগুলি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে একে একে তুলে নিয়েছেন রাজনৈতিক কেস হিসাবে। তাহলে এখানে খালেদাকেই সম্মান দেওয়া হলো।
• দেশের প্রয়োজনে শেখ হাসিনা শেখ মুজিবের নামে বিমান বন্দর বানাতে চেয়েছিল কিন্তু এদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করেছিল। তার অর্থ এদেশের মানুষ শেখ হাসিনা বা মুজিবকে চায় না। তাহলে তারা সানন্দ চিত্তে গ্রহণ করতো। অথচ জিয়ার নামে প্রতিটি বিষয় মেনে নিয়েছে এদেশের মানুষ।
• এক ঘণ্টা সময় পরিবর্তনও এদেশের মানুষ মেনে নেইনি।
• শেখ হাসিনার প্রতিটি সিদ্ধান্ত লেজে গোবরে অবস্থা হয়। আর সেই সুযোগে মানুষ বেগম জিয়াকে ভালবেসে ফেলছে।
বিষয়: রাজনীতি
৮৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন