নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা বিএনপির নেই: হানিফ; এটি অসভ্য ভাষা, গণতন্ত্রের ভাষা নয়!

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রবিউল ইসলাম ১৩ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:১৫:০৫ সকাল



i. যেমন একদল সন্ত্রাসী বলল আমরা হানিফকে হত্যা করব; আমাদের ঠেকানোর ক্ষমতা হানিফের নেই। তাহলে কথাটি বেমনান হয় কেননা রাষ্ট্র আছে, আইন আছে, আইন শৃংখলা রক্ষার বাহিনী আছে, তারা সন্ত্রাসীদের কবল থেকে আপনাকে রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে।

ii. ধরুন অন্য একদল দখলবাজ বলল আমরা হানিফের সমস্ত সম্পদ দখল করব; আমাদের ঠেকানোর ক্ষমতা হানিফের নেই। তাহলে একইভাবে কথাটি ধোপে টিকে না কেননা দখল করতে হলে দখলবাজদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকতে হবে। আর সেক্ষেত্রে আইন আপনাকে সুরক্ষা দিবে। দখলবাজদের কবল থেকে আপনার সম্পদকে রক্ষা করার জন্য।

iii. অন্য একটি বাস্তব উদাহরণ ধরুন আপনাকে কিছুদিন পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে এক্ষেত্রে আপনি বললেন এই পদ থেকে তাড়ানোর ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর নেই তাহলে কথাটি কেমন হবে? বরং আইন মেনে, গণতন্ত্র মেনে, শ্রদ্ধাশীল হয়ে আপনাকে বিষয়টি মেনে নিতে হবে। কোন ভাবেই গায়ের জোরে কথা বললে পার্টির ক্ষুব্ধ লোকজন আপনার উপর চড়াও হবে। তখন আপনি লুঙ্ঘি পিন্দানোর সময় পাবেন না। লক্ষণ সেনের মতো লুঙ্গি খুলে পালাতে থাকবেন।

iv. যেমন ছাত্রলীগের একদল বৈঠাধারী বলল আমরা হানিফকে ২৮শে, অক্টোবর ২০০৬ এর মতো করে সাপের ন্যায় পিটিয়ে মারবো; আমাদের ঠেকানোর ক্ষমতা হানিফের নেই। তাহলে একইভাবে কথাটি আওয়ামী গঠনতন্ত্র অনুসারে অসাংবিধানিক হবে কেননা আপনি দলীয় নির্বাচনে সহকারী সেক্রেটারী হয়েছেন। তাহলে সেটি আইনসিদ্ধ হয় না। সেক্ষেত্রে পার্টি আপনাকে সমর্থন দিবে।

v. নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। বিএনপি নির্বাচন ঠেকানো দল নয় বরং নির্বাচনমূখী দল। এই দলের রয়েছে ঐতিহ্য। এই দলের কেহ স্পীকারকে চেয়ার দিয়ে সংসদের মধ্যে হত্যা করেনি। এই দলের কেহ বাকশাল কায়েম করেনি। এই দলের কেহ পদত্যাগ করার পরেও মন্ত্রীত্বে সুযোগ, সুবিধা গ্রহণ করেনি। ১৯৯৬ সালে আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই বিএনপিই তত্বাবধায়ক দিয়েছিল। সেই অধীনে এই আওয়ামীলীগই দুইবার ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে কেনো অন্যায়ভাবে সেটি রিলিফখোর বিচারপতি বাতিল করে দেশে একটা বিশৃংখলা সৃষ্টি করলেন? বেশ কয়েকটি নির্বাচনে তো কোন সমস্যা ছিল না। আপনারইতো সংখ্যা গরিষ্টের দোহাই দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলেন।

vi. এখন আপনারা রামদা বাহিনী, বৈঠা বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে বিএনপির উপর অত্যাচার করছেন আর বাকবাকুম করছেন যে নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা বিএনপির নেই। গণতান্ত্রিক হোন, কেহ নির্বাচন ঠেকাবে না।

vii. আপনারা ১৯৭৩ সালে কারচুপির যে নির্বাচন করেছিলেন সেটা সংসদে মওদুদ আহমদ সাহেব ভালভাবে উথ্থাপন করেছিলেন। অনেককে নমিনেশন পর্যন্ত দাখিল করতে দেওয়া হয়নি।

viii. ১০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎসব করছেন কিন্তু বাস্তবে মাত্র ৬৫০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এটা দেশবাসীর সঙ্গে তামাশা আর কি!

ix. হানিফ সাহেব মনে রাখবেন গণতন্ত্র কো সন্ত্রাসী খেলা নয়। এটা কোন পেশী শক্তির ব্যাপার নয়। আপনার দলীয় প্রধান হরতালে মানুষের মৃত্যুর জন্য বিপনপির নেত্রীকে দোষ চাপাচ্ছেন কেনো? আপনারাই ষোল আনা দায়ী। কেননা সুন্দর নির্বাচনী ব্যবস্থাকে তছনছ করে, সংবিধানে আচড়া দিয়ে দেশকে অনিশ্চয়তা দিকে ঠেলে দিয়েছেন।

x. জয় বলে বেড়াচ্ছে বিএনপি নাকি সন্ত্রাসী দল। ওকে লীগের সন্ত্রাসী স্কুলে, রামদা কলেজে আর লগি বিশ্ববিদ্যালযে, ভর্তি করিয়ে দিন, তাহলে নতুন একটি সন্ত্রাসী আই টি ডক্টরেট ডিগ্রী সার্টিফিকেট নিতে পারবে।

xi. দেশের প্রতিটি হত্যাকান্ডের একদিন বিচার হবে দেখবেন সেদিন আপনাদের

মতো কুলঙ্কার, হাইব্রিড নেতার গালে জুতা পড়ছে।

xii. প্রধানমন্ত্রী বা কোন মন্ত্রীর পকেটের পয়সায় রাষ্ট্র বা পুলিশ বাহিনী চলে না! দেশের জনগণের বিভিন্ন রেভিনিউতে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। সুতরাং এদেশে কারো কেনা নয়। এ দেশের মানুষ এই জালিম সরকারের অধীনে নিবার্চন চায় না। সুতরাং সেই নির্বাচন ঠেকানো ঈমানী দায়িত্ব।

বিষয়: রাজনীতি

১০৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File