বিপদে ভারতই আমাদের প্রকৃত বন্ধু কি?

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রবিউল ইসলাম ১২ নভেম্বর, ২০১৩, ০৮:৪৯:০৫ সকাল



যেমন ভারত! কিন্তু করে না!

কেন বাংলাদেশকে ভারত হাত করতে চায়।" ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান ১৫-২০ বছরের মধ্যে ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে!’ এর উপর ভিত্তি করে লিখছি বিশ্লেষণ ভিত্তিক আলোচনা "কেন বাংলাদেশকে ভারত হাত করতে চায়।" (সংক্ষিপ্ত ও পয়েন্ট ভিত্তিক লেখা) শুধু বাংলাদেশ নয় পাকিস্তানের কথাও আসবে কারন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি ভারত থেকে আলাদা হয়েছিল। আমি গত ৭ বছর ধরে এ কথা আমার বন্ধু, আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের বলে আসছি কিন্তু কেউ গুরুত্তের সঙ্গে নায়নি। তাই এতদিন (‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান ১৫-২০ বছরের মধ্যে ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে!’ ) এই রকম একটি নিউজের অপেক্ষায় ছিলাম। গত ৭ এপ্রিল রেডিও তেহরান নিউজটি করার পর ফেসবুকে এটি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমি লিখছি, জাতে করে বিষয়টি আরেকটু স্বচ্ছ হয়। কেন বাংলাদেশকে ভারত হাত করতে চায় > কারনঃ

১. প্রথম কারন হল বিশ্বের বুকে ভারত তাদেরকে সর্ব শক্তিশালী হিসেবে প্রমান করতে চায়।

২. সাতভগ্নী রাজ্য (আরুনাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা) তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে দেখে স্বাধীনতা চায়। যদি বাংলাদেশ এতুটুক ছোট একটা দেশ ভারত থেকে ছুটে ভালো থাকতে পারে তাহলে সাতভগ্নীর স্বাধীনতাকামি আন্দোলন আরো জোরদার হবে। তাহলে তাদেরকে স্বাধীন করে দিতে হবে। তাই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে তারা বিভিন্ন ভাবে নেগ্লেট করে চলে এবং এই দু’দেশে সবসময় বিভিন্ন ঝামেলা লাগিয়ে রাখে “র”।

৩. ভারতীয় হিন্দুরা চায় সকল ভারতীয় মুসলমানদের উপর শোষণ বজায় রাখতে। তাই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উপর বিভিন্ন দায় চাপিয়ে দিয়ে মুসলিমদের দুর্বল করে রাখে। আর বাংলাদেশ ও পাকিস্তান যদি ভারতের হাতের মুঠোয় চলে যায় তাহলে এটি আরো জোরদার হবে।

৪. বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশী যুবকদের মেধাবী ফ্যাশন ও কারুকাজে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বময় ১ম স্থান অর্জন করেছিল। যা ছিল ভারতের হাতে। বাংলাদেশের পোশাক সবচেয়ে ভালো বলে বিশ্ব বাজার বাংলাদেশ থেকে সবসময় পোশাক আমদানি করে। যা আগে ভারতের কাছে ছিল।

৫. দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ও সুন্দর সমুদ্র সৈকত কক্স বাজার। যা ভারত নিজের বলে দাবী করে।

৬. আমাদের বঙ্গব সাগর বা বায় অফ বেঙ্গল কে তারা ভারত সাগর বলে আক্ষাইত করে। বঙ্গব সাগরের দ্বীপ সেন্টমারটিন তারা তাদের বলে দাবী করে তারা বিশ্ব আদালতে হেরে বাংলাদেশকে দিতে বাধ্য হয়েছে। তাই তারা বাংলাকে দখল করে এর মালিক হতে চায়।

৭. বাংলাদেশের সবচেয়ে আশার দিক হল প্রত্যেক ১০০ বছর পর বাংলাদেশের সাগর বঙ্গব সাগরে আরেকটি বাংলাদেশের আবির্ভাব ঘটবে, যার ছোট একটি নমুনা সেন্টমারটিন। তাই ভারত আমাদের দেশকে মুঠোয় নিয়ে তাদের সিমানা বড় করতে চায়। এবং আমেরিকাও চায় বাংলাদেশের পরবর্তী দ্বিপের উদ্ভবনের পর তারা একটি খ্রিস্টান জাতী অবলম্বী দেশ গড়ে তুলবে। তাই কিছু দিন আগে হিলারি ক্লিনটন কক্স বাজারের একটি খ্রিস্টান অবলম্বী গ্রাম সম্পর্কে চুক্তি করে গিয়েছেন। তথ্য সূত্রঃ প্রোফেসর আয়াত আলি স্যার (ভুগল ও পরিবেশ বিভাগ চবি)

৮. পৃথিবীর সুন্দর প্রাণীর একটি হল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। যার বেশির ভাগ বাংলাদেশের সুন্দরবনে আছে। ভারত চায় সম্পূর্ণ মালিকানা।

৯. রয়েল বেঙ্গল টাইগার নয় বরং রয়েল হিন্দ টাইগার নামে প্রাণীটাকে পরিচয় দিতে।

১০. প্রজুক্তি বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সফটওয়্যারে ১৭ তম ও হার্ডওয়্যারে ১ম। যার দাবীদার ভারত।

১১. বাংলাদেশের কর্মীরা বিভিন্ন দেশে নিজেদের নাম সম্মান স্থানে নিয়ে গিয়েছিলো ২০০৩ ও ২০০৪ সালে। এ কারনে ভারত থেকে কর্মী না নিয়ে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতো। যা বর্তমানে ভারত চাল খাটিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। যার দাবীদার এক মাত্র ভারত বলে তারা দাবী করে।

১২. বিশ্বময় বাংলাদেশের অনেক মেধাবীরা তাদের খমতা প্রসারিত করেছে যা ভারতের কোন লোক পারেনি।

১৩. ইউএস ও ইউকে তে বাংলাদেশী অনেক মেধাবী রাজনীতিবিদ রয়েছেন যার মধ্যে স্ট্রেট মেয়র রয়েছে। এই ক্ষেত্রে ভারতীয় কোন লোক নেই।

১৪. ঔষধ বাজারে দিনে দিনে বাংলাদেশের প্রভাব বাড়ছে এই কারনে ভারতের ঔষধ বাজার কমে যাচ্ছে।

১৫. খনিজ সম্পদ গ্যাস যা বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বেশী। যা ভারত তাদের বলে পরিচয় দিতে চায়।

১৬. বঙ্গব সাগরে দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী পারমানবিক বিস্ফোরক উপাদান আছে। যা ভারতের কাছে এক বিন্দুও নেই।

১৭. বিশ্বের ১০০ ভাগ বিশুদ্ধ পানির ৫৫ ভাগ বাংলাদেশে। আর ভারতের কাছে মাত্র ১৭ ভাগ।

১৮. বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী বিশ্বের ২ নম্বর স্থানে যেখানে ভারতের অবস্থান ৬৪ তম।

১৯. বর্তমানে আউট সোরসিং দিয়ে বাংলাদেশের তরুন-তরুণিরা ভারতের মার্কেট দখল করে নিয়েছে।

২০. বাংলাদেশ আর্মি জাতী সংঘের প্রত্যেক মিশনেই থাকে যা ভারতীয় আর্মি পায়না।

২১. বাংলাদেশের ধান সকল দেশের চেয়ে স্বাদের ও ভাঁড়ি, এবং বাংলাদেশ ছিল ১ম ধান উৎপাদনশীল দেশ যে স্থান থেকে ভারত বাংলাদেশকে সরিয়ে দিয়েছে। এ ছারাও আরো অনেক কারন রয়েছে যা আস্তে আস্তে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হবে। সর্ব শেষ একটি কথাঃ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন “ আমাদের লক্ষ রাখতে হবে কে আমাকে শোষণ করছে। কে আমাকে শোষণ করেছিলো এটা নয়।” বর্তমান আওয়ামীলীগ ঠিক তার উল্টোটা করছে। ভারতকে সব কিছুতেই হ্যাঁ বলছে কিন্তু চিন্তা করছেনা যে আমাদের দেশের কি হবে। আপনাদের প্রতি আমার অনুরধ সজাগ দৃষ্টিতে দেখুন ও প্রতিহত করুন। আমরা স্বাধীন দেশ ও সার্বভৌমত্ব দুটোই চাই।

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত!

বিষয়: আন্তর্জাতিক

১৬২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File