আওয়ামীলীগকে অনুরোধ করবো দ্রুত নির্বাচনী ইসতেহার ঘোষণা করুন! বাংলার মানুষ জানতে চায় ১০ জাতীয় সংসদের আওয়ামী ইসতেহারে দেশ পরিচালনার কি বিষয় অন্তর্ভূক্ত থাকে!
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রবিউল ইসলাম ১১ নভেম্বর, ২০১৩, ০২:১৮:০৩ দুপুর
আপনি দেশটাকে শান্তি দিন। আপনার হাতে অনেক শান্তি রয়েছে।
৯ম জাতীয় সংসদের আওয়ামী ইসতেহারে দেশ পরিচালনার জন্য অনেক বিষয় অন্তর্ভূক্ত ছিল, তার অন্যতম ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সেটা সুন্দরভাবে প্রতিপালিত হলো। পদ্মাসেতু, সেটা চুরির দায়ে আটকে গেলো। সন্ত্রাস কমানো, দুর্নীতি কমানো। সেটা কমেছে কিন্তু সরকারি দলে বেড়েছে।
অনেক কিছু মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল যেমন ১০ টাকায় চাল খাবো নৌকায় ভোট দিব। ফ্রি সার দিব। ঘরে ঘরে চাকুরি দিব।
কোনটাই তো বাস্তবায়ন হলো না। বরং অনেক মানুষের ঘরে ঘরে কান্নার রোল উঠেছে। চাকুরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তার প্রমাণ অনেককে ওএসডি করে রাখা, বাধ্যতামূলক অপসারণ, আদালতের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি খাওয়া ইত্যাদি।
তাই এবার একটা ভাল নির্বাচনী ইসতিহার দিবেন যাতে মানুষের গুলি করা বন্ধ হয়। রাষ্ট্রীয় ট্যাক্সর টাকায় কেনা বন্দুকের গুলি খেতে চাই না। বিরোধী দল থাকবে, সরকারী দল থাকবে এটাই গণতন্ত্র। সেটা যদি না হয়। তাহলে দেশ থাকবে না। মীর জাফরম ঘসেটি বেগমদের মতো করে দেশ দখল হয়ে যাবে। এত আস্ফালনের ক্ষমতা থাকবে না, দেশও থাকবে না! ভিন দেশিদের হাতে দেশ চলে যাবে। তাদের তত্বাবধানে দেশ পরিচালিত হবে। আর আপনারা আঙ্গুল চুষবেন। বিগত তত্বাবধায়ক সরকার যেমন: দুই নেত্রীকে জেলে ভরে রেখেছিল সেটা আবারো দেখা যাবে না এটা নিশ্চিত করে বলা যবে না।
এখনও সময় আছে দু’দল বসে চিরস্থায়ীভাবে ঠিক করেন সামনের প্রতিটি নির্বাচন কেমন করে হবে। তাহলে নির্বাচন কেন্দ্রিক মারামারি, হানাহানি, রক্তপাত বন্ধ হবে। লাশ ঝরানো বন্ধ হবে। শান্তি ফিরে আসবে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি বিপদ ডেকে আনে। ফলাফল শুভ হয় না। বানরের কাছে রুটি ভাগ করতে দেবেন না। বিদেশীদের ডেকে দেশের মান মর্যরা ক্ষুন্ন করবেন না। দেশের জনগনের বৃহত্তম অংশ অশান্তি চায় না।
বিষয়: রাজনীতি
১১২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন